শিরোনাম :
Logo ছাত্রদল কর্মীর নেতৃত্বে হাবিপ্রবিসাসের অফিসরুম ভাঙচুর Logo ইবিতে ঠিকাদারদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo জবির স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় আয় ১২ কোটি টাকা Logo বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার নির্বাচন সম্পন্ন Logo আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo সরকার উদ্যোগ না নিলে আমরা বসে থাকব না: নাহিদ ইসলাম Logo সার্কের বিকল্প জোট গঠনে কাজ করছে চীন-পাকিস্তান, রয়েছে বাংলাদেশও Logo পহেলা জুলাই থেকে ৫ আগস্টের কর্মসূচি ঘিরে হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo নতুন নেতৃত্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘তারুণ্য’ Logo সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলা, আহত-৩০

সরকারি চাকরিতে ‘রাজাকার প্রজন্মকে’ সুযোগ না দেয়ার অনুরোধ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:০২:৪৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
  • ৭৩৪ বার পড়া হয়েছে

একাত্তরের শহীদদের রক্তে ভেজা এ মাটিতে রাজাকারের সন্তান, নাতি-পুতিদের সরকারি চাকরিতে সুযোগ থাকা কোনভাবেই উচিৎ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি হাফেজ মওলানা জিয়াউল হাসান।

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল ৫৩ বছরেও রাজাকারের তালিকা তৈরি করতে পারেনি এবং তাদের ব্যর্থতার দায়ও স্বীকার করেনি। সরকারি চাকরি প্রত্যাশী গুটিকয়েক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি-পুতি ব্যতীত অন্য সকল চাকরি প্রার্থীদের সকলকেই কী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী   রাজাকারের সন্তান হিসেবে অবহিত করছেন কি না- এ বিষয়ে জাতির সামনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য পরিষ্কার হওয়া উচিত।

কারণ হিসেবে তিনি জানান, রাজাকারদের তালিকা তৈরি করা থাকলে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কাছে পিএসসি, সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের পিতার নাম রাজাকারের তালিকায় থাকার কারণে অটোমেটিক্যালি পিএসসির নিকট চলে আসার কথা ছিল।

এক্ষেত্রে সরকারকে অতি দ্রুত নীতিমালা তৈরি করতে হবে। আজ যদি সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের বিষয়ে নীতিমালা তৈরি থাকতো তাহলে, রাজাকারের সন্তান, নাতি-পুতিদের সরকারি  চাকরিতে ইন্টারভিউ কার্ড পাওয়ারও যোগ্যতাও থাকতো না।

তিনি আরও বলেন, রাজাকারের সন্তান, নাতি পুতিরা নৈতিকভাবেই সরকারি চাকরিতে সুবিধাও পেতো না।

সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে জিয়াউল হাসান বলেন, অবিলম্বে রাজাকারদের তালিকা তৈরি করে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সংরক্ষণ করতে হবে। যাতে করে রাজাকারের বংশধরেরা সরকারি চাকরিতে যোগদান করার কোন সুযোগ না পায়। সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু করার সময় পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে (পিএসসি) অবশ্যই চাকরি প্রত্যাশীদের মধ্যে কেউ রাজাকারের সন্তান, নাতি-পুতি কি না তা যাচাই-বাছাই করেই ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু করতে হবে।

এ ব্যাপারে সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের মধ্যে রাজাকারের সন্তান, নাতি-পুতির বিষয়ে সরকারকে দ্রুত নীতিমালা তৈরি করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এই নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য অবিলম্বে আসন্ন জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আইন প্রণয়ন করার জন্য আমি দেশবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। কারণ, একাত্তরের শহীদদের রক্ত ঝরা এই মাটিতে রাজাকারের সন্তানদের সরকারি চাকরিতে যোগদান করার কোনরকম সুযোগ থাকা কোনভাবেই উচিৎ হবে না। যুক্তি সঙ্গতও হবে না।

ট্যাগস :

ছাত্রদল কর্মীর নেতৃত্বে হাবিপ্রবিসাসের অফিসরুম ভাঙচুর

সরকারি চাকরিতে ‘রাজাকার প্রজন্মকে’ সুযোগ না দেয়ার অনুরোধ

আপডেট সময় : ০৩:০২:৪৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

একাত্তরের শহীদদের রক্তে ভেজা এ মাটিতে রাজাকারের সন্তান, নাতি-পুতিদের সরকারি চাকরিতে সুযোগ থাকা কোনভাবেই উচিৎ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি হাফেজ মওলানা জিয়াউল হাসান।

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল ৫৩ বছরেও রাজাকারের তালিকা তৈরি করতে পারেনি এবং তাদের ব্যর্থতার দায়ও স্বীকার করেনি। সরকারি চাকরি প্রত্যাশী গুটিকয়েক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি-পুতি ব্যতীত অন্য সকল চাকরি প্রার্থীদের সকলকেই কী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী   রাজাকারের সন্তান হিসেবে অবহিত করছেন কি না- এ বিষয়ে জাতির সামনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য পরিষ্কার হওয়া উচিত।

কারণ হিসেবে তিনি জানান, রাজাকারদের তালিকা তৈরি করা থাকলে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কাছে পিএসসি, সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের পিতার নাম রাজাকারের তালিকায় থাকার কারণে অটোমেটিক্যালি পিএসসির নিকট চলে আসার কথা ছিল।

এক্ষেত্রে সরকারকে অতি দ্রুত নীতিমালা তৈরি করতে হবে। আজ যদি সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের বিষয়ে নীতিমালা তৈরি থাকতো তাহলে, রাজাকারের সন্তান, নাতি-পুতিদের সরকারি  চাকরিতে ইন্টারভিউ কার্ড পাওয়ারও যোগ্যতাও থাকতো না।

তিনি আরও বলেন, রাজাকারের সন্তান, নাতি পুতিরা নৈতিকভাবেই সরকারি চাকরিতে সুবিধাও পেতো না।

সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে জিয়াউল হাসান বলেন, অবিলম্বে রাজাকারদের তালিকা তৈরি করে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সংরক্ষণ করতে হবে। যাতে করে রাজাকারের বংশধরেরা সরকারি চাকরিতে যোগদান করার কোন সুযোগ না পায়। সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু করার সময় পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে (পিএসসি) অবশ্যই চাকরি প্রত্যাশীদের মধ্যে কেউ রাজাকারের সন্তান, নাতি-পুতি কি না তা যাচাই-বাছাই করেই ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু করতে হবে।

এ ব্যাপারে সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের মধ্যে রাজাকারের সন্তান, নাতি-পুতির বিষয়ে সরকারকে দ্রুত নীতিমালা তৈরি করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এই নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য অবিলম্বে আসন্ন জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আইন প্রণয়ন করার জন্য আমি দেশবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। কারণ, একাত্তরের শহীদদের রক্ত ঝরা এই মাটিতে রাজাকারের সন্তানদের সরকারি চাকরিতে যোগদান করার কোনরকম সুযোগ থাকা কোনভাবেই উচিৎ হবে না। যুক্তি সঙ্গতও হবে না।