শিরোনাম :
Logo মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে Logo স্বর্ণের দামে সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস Logo দুবাইয়ে বিগ টিকিট লটারি জিতে লাখপতি দুই বাংলাদেশি Logo বাবা হলেন যুক্তরাষ্ট্রে আটক খলিল, দেখতে পারলেন না সদ্যোজাত সন্তানের মুখ Logo এটিএম আজহার মুক্তি না পাওয়ায় আমরা ব্যথিত, তবে হতাশ নই Logo আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ ৩ বিচারপতি থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পক্ষে বিএনপি Logo ধর্ম নিরপেক্ষতা বিলুপ্তে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একমত বিএনপি Logo হঠাৎ বৃষ্টিতে চাঁদপুর শহরের মুসলিম কবরস্থান রোড এলাকা সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী Logo ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকেই চব্বিশের লড়াই:ব্যারিস্টার ফুয়াদ Logo ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তসহ দুই দফা দাবিতে প্রশাসন ভবন অবরোধ

কোটা সংস্কারের দাবিতে জবিতে দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভ: রাস্তা অবরোধ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৯:০৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
  • ৭৫১ বার পড়া হয়েছে

 জবি প্রতিনিধি,

সরকারী চাকুরিতে কোটা সংস্কার ও আদালত কর্তৃক ২০১৮ সালে জারিকৃত পরিপত্র বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলনের ব্যনারে এই কর্মসূচি পালন করে তারা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠাল তলার সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে শুরু হয়ে ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে। পরবর্তীতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনের রাস্তা অবরোধ করে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসাইন মুন্না বলেন, আমাদের দাবি হলো ২০১৮ সালের কোটার পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে এবং তৃতীয় এবং চতুর্থ গ্রেডে কোটা প্রয়োগের আমূল সংস্কার করতে হবে। এছাড়া একই কোটা বারবার প্রয়োগের বিষয়টি বাতিল করতে হবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর যে দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ কর্মহীন, সেখানে এই ধরনের কোটা প্রথা রীতিমতো বৈষম্য।

এসময় আন্দোলনকারীরা ৪ দফা দাবি উল্লেখ করেন। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দূর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে

কোটা সংস্কারের দাবিতে জবিতে দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভ: রাস্তা অবরোধ

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:০৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

 জবি প্রতিনিধি,

সরকারী চাকুরিতে কোটা সংস্কার ও আদালত কর্তৃক ২০১৮ সালে জারিকৃত পরিপত্র বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলনের ব্যনারে এই কর্মসূচি পালন করে তারা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠাল তলার সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে শুরু হয়ে ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে। পরবর্তীতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনের রাস্তা অবরোধ করে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসাইন মুন্না বলেন, আমাদের দাবি হলো ২০১৮ সালের কোটার পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে এবং তৃতীয় এবং চতুর্থ গ্রেডে কোটা প্রয়োগের আমূল সংস্কার করতে হবে। এছাড়া একই কোটা বারবার প্রয়োগের বিষয়টি বাতিল করতে হবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর যে দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ কর্মহীন, সেখানে এই ধরনের কোটা প্রথা রীতিমতো বৈষম্য।

এসময় আন্দোলনকারীরা ৪ দফা দাবি উল্লেখ করেন। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দূর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।