বুধবার (২৬ জুন) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এমন প্রতিশ্রুতির কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, এজন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে। তারা প্রথমে কীভাবে ভোটার হয়েছিলেন, কোন কোন তথ্যগুলো এখানে এসেছে, একেবারো আদ্যোপান্ত-শুরু কীভাবে হলো, কোথায় ওলটপালট হলো, ডিটেইল তারা তদন্ত করেছেন। তদন্ত কমিটি আমাদের কাছে আরো সময় চেয়েছে। আমি মনে করি যে আরো সময় লাগতে পারে। আমরা যাতে আরো বিস্তারিত ও নিখুঁতভাবে তদন্তটা করতে চাই, যাতে কোনো ধরনের ফাঁক-ফোকর না থাকে। তদন্ত কমিটি ওপর আমাদের আস্থা আছে।
আরো দুই সপ্তাহের সময় চেয়েছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, কারণ তারা শুরু থেকে এই পর্যন্ত অনেকগুলো ডকুমেন্ট জমা দিয়েছিলেন। সবগুলো ডকুমেন্ট জোগাড় করা, পরীক্ষা করা, সোর্সে গিয়ে এগুলো আবার ভেরিফাই করা, আমরা চাচ্ছি বৈজ্ঞানিকভাবে যাতে কোনো ধরনের কোথাও খুঁত না থাকে। আমরা চাই না, আবার আরেক ধরনের ভুল হোক।
সন্দেহের আওতায় ইসির কর্মকর্তারা বা যোগসাজশ আছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, যেই থাকুক কেউ সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা সবাইকেই সন্দেহ করছি। আবার এটা তদন্তেই প্রমাণ হবে। এতটুকু কথা দিতে পারি, বিন্দুমাত্র কারো যদি এখানে ইনভলমেন্ট থাকে, তার আইন অনুযায়ী যে সর্বোচ্চ শাস্তি সেটা আমরা এনশিউর করবো।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃতি খুনি রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের সন্তানদের এনআইডিতে বাবার নাম পরিবর্তন করার বিষয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন নামে তিনি কিন্তু আত্মগোপনে ছিলেন। বিভিন্ন নাম ধারণ করেছেন বলে আমাদের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। কোথায় কোথায় তিনি ছিলেন, কী কী কাজে সেই নামগুলো ব্যবহার করেছেন, তার আত্মীয় স্বজনটা এটা কোথায় কোথায় ব্যবহার করেছেন; সমস্ত তথ্যগুলো নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত কমিটি এ নিয়ে রাত-দিন পরিশ্রম করছে। পুরোদমে একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি কাজ করছে।
শফিউল আজিম বলেন, এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এটা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। কোনো ধরনের ফাঁক ফোকর যেন না থাকে আমরা সেটা নিশ্চিত করবো। আমরা নিখুঁত, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট উত্থাপন করবো।