এনবিআর কর্মকর্তা মতিউরের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুদক

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:০৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪
  • ৭৪৫ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেক্সঃ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে দুদকের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। রোববার (২৩ জুন) দুপুরে সেগুনবাগিচায় সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।

তিনি জানান, মতিউরের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত হয় ৪ জুন।

এরপর একজন উপপরিচালককে প্রধান করে যে তিন সদস্যের তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে, তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

এর আগে আজই এনবিআরের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে মতিউর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

মতিউর রহমান কিছুদিন ধরে আলোচনায় আছেন তাঁর ছেলের কারণে। কোরবানির ঈদে সাদিক অ্যাগ্রো নামের একটি খামার থেকে তাঁর ছেলে মুশফিকুর রহমান ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনা ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

এর পর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি থাকার বিষয়ে একের পর এক খবর প্রকাশিত হতে থাকে।

দুদক সচিব ব্রিফিংয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিষয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, বেনজীর আহমেদের আজ অফিস সময়ের মধ্যে দুদকে উপস্থিত হয়ে তাঁর বক্তব্য না দিলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া আগামীকাল বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও মেয়েদের দুদকে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া রয়েছে। তাঁরা আগামীকাল না এলে তাঁদের বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

এনবিআর কর্মকর্তা মতিউরের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুদক

আপডেট সময় : ১১:৩৯:০৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

অনলাইন ডেক্সঃ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে দুদকের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। রোববার (২৩ জুন) দুপুরে সেগুনবাগিচায় সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।

তিনি জানান, মতিউরের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত হয় ৪ জুন।

এরপর একজন উপপরিচালককে প্রধান করে যে তিন সদস্যের তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে, তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

এর আগে আজই এনবিআরের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে মতিউর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

মতিউর রহমান কিছুদিন ধরে আলোচনায় আছেন তাঁর ছেলের কারণে। কোরবানির ঈদে সাদিক অ্যাগ্রো নামের একটি খামার থেকে তাঁর ছেলে মুশফিকুর রহমান ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনা ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

এর পর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি থাকার বিষয়ে একের পর এক খবর প্রকাশিত হতে থাকে।

দুদক সচিব ব্রিফিংয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিষয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, বেনজীর আহমেদের আজ অফিস সময়ের মধ্যে দুদকে উপস্থিত হয়ে তাঁর বক্তব্য না দিলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া আগামীকাল বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও মেয়েদের দুদকে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া রয়েছে। তাঁরা আগামীকাল না এলে তাঁদের বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।