মসজিদুল হারামে জুমার নামাজ পড়াবেন প্রসিদ্ধ আলেম ও কারি ইয়াসির বিন রশিদ আদ-দাওসারি। তার জন্ম ৬ আগস্ট ১৯৮০ সৌদি আরবের আল খারজ এলাকায়।
ইয়াসির আদ-দাওসারি মাত্র ১৫ বছর বয়সে কোরআন হিফজ করেন। এরপর ইমাম মুহাম্মদ বিন সৌদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়া অনুষদ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক আইনশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং তুলনামূলক ফিকহের ওপর পিএইচডি করেন।
তার উল্লেখযোগ্য শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে শায়েখ আবদুল আজিজ আলে শায়েখ, শায়েখ সালেহ আল-ফাওজান এবং আব্দুল্লাহ ইবনে জিবরেন প্রমুখ। তিনি বাকরি আল-তারাবিশি ও ইব্রাহিম আল-আখদারসহ বেশ কয়েকজন প্রখ্যাত কারির কাছে কেরাত পড়েছেন।
শায়েখ আদ-দাওসারি ১৯৯৫ সাল থেকে রিয়াদের বেশ কিছু মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৫ সালে তিনি মসজিদে হারামে তারাবিহ ও তাহাজ্জুদের ইমাম নিযুক্ত হন। ২০১৯ সালে তিনি মসজিদে হারামের স্থায়ী ইমাম নিযুক্ত হন। তাকে মসজিদে হারামের সর্বকনিষ্ঠ ইমাম মনে করা হয়।
মসজিদে নববিতে জুমার নামাজ পড়াবেন আলেম ও কারি শায়েখ ড. খালিদ ইবনে সুলাইমান ইবনে আবদুল্লাহ আল মুহান্না। ১৯৭৬ সালে সৌদি আরবের আল আহসায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শায়েখ সুলাইমান ইবনে আব্দুল্লাহও স্বনামখ্যাত একজন আলেম এবং রিয়াদের পাবলিক কোর্টের বিচারক ছিলেন।
ড. আল মুহান্না কোরআনের হাফেজ। শৈশবেই তিনি পবিত্র কোরআন হিফজ করেছেন। ১৯৯৭ সালে ইমাম মুহাম্মাদ বিন সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উসুলে দীন বিভাগ থেকে অনার্স করেন। ২০০৩ সালে মাস্টার্স করেন। ২০০৯ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি শায়েখ আব্দুল্লাহ বিন বাজ (রহ.) ও শায়েখ আব্দুল্লাহ বিন আকিলের (রহ.) সরাসরি ছাত্র।
ড. খালিদ আল মুহান্না অধ্যাপনার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি ইমাম মুহাম্মাদ বিন সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উসুলে দীন বিভাগের প্রভাষক নিযুক্ত হন। ২০০৯ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির সহকারী অধ্যাপক হন।
২০১৫ ও ২০১৬ সালে রমজানের জন্য তিনি মসজিদে নববীর ইমাম নিযুক্ত হন। আজ তিনি মসজিদে নববিতে খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।