শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ইউপি সদস্যের  হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে একদল দুর্বৃত্তরা  Logo ঝালকাঠির নবগ্রাম কৃষি ব্যাংক ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে সরেজমিনে ডিজিএম Logo সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারে জর্জরিত দেশের শিল্পাঙ্গন বিনোদন প্রতিবেদন Logo ইবি কারাতে ক্লাবের নেতৃত্বে নোমান-সাদিয়া Logo গৌরবের অষ্টম বর্ষে আলোর দিশার পদার্পণে থাকছে নানা আয়োজন Logo শিক্ষার্থীদের রিটেক সমস্যা সমাধানে গাফিলতির অভিযোগ যবিপ্রবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে  Logo নতুন ভবনেই বদলে যাবে সফিবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র” Logo ভুয়া নিয়োগপত্রে প্রতারণা: সিরাজগঞ্জের যুবকের কাছ থেকে আদায় ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা Logo সাতক্ষীরায় ব্র্যাকের আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo কয়রায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

স্ত্রী-সন্তানদের তাড়িয়ে দিয়ে পরকীয়া প্রেমিকাকে নিয়ে বিয়ের পিড়িতে ফায়ার সার্ভিসের ড্রাইভার টিটল

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৪৯:১৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৭৯৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের নাজমা আক্তার। ১১ বছর বয়সী সিয়াম মাহমুদ জিম ও ৫ বছর বয়সী ছেলে আব্রাহাম সাদকে নিয়ে ঘুরছেন পথে পথে। সন্তানদের ও নিজের অধিকার ফিরে পেতে অসহায়ের মত মানুষের কাছে ঘুরে ফিরছেন। সম্মুখীন হচ্ছে নানা বাঁধার। লম্পট স্বামী ফায়ার সার্ভিসের কর্মরত আকাশ মাহমুদ টিটল পদে পদে হেনস্থাসহ হুমকি দিচ্ছেন।

জানা গেছে, প্রায় ১২ বছর পুর্বে মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার বেথলী গ্রামের হারেজ উদ্দিন মোল্লা ছেলে আকাশ মাহমুদ টিটলের সাথে পারিবারিক ভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর নাজমার কোলজুড়ে ২ সন্তানের
জন্ম হয়। বিয়ের পর সুখেই চলছিল তাদের সংসাদ। কিন্তু কয়েক বছর আগে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফায়ার সার্ভিসে চাকুরী নেয় আকাশ মাহমুদ টিটল। চাকুরীর সুবাদে বাইরে থাকায় একাধিক নারীর সাথে পরকীয়া জড়িয়ে পড়েন তিনি। শুরু হয় নাজমার উপর অত্যাচার।

কারণে অকারণে গালি-গালাজ আর বাড়িতে এসে শুরু করে মারধর। নানা অত্যাচার সহ্য করেও ২ ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে  শশুর বাড়িতে ছিলো নাজমা। মারধর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে যৌতুক দাবি করে অর্থলোভী, নারীলোভী টিটল। নাজমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে চরম নির্যাতন শুরু করে টিটল। নাজমা সেখান থেকে না এলে তাকে তালাক দেয় টিটল। ছেলেদের খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেয় সে। ডিভোর্স লেটারে স্বাক্ষর না করেও স্বামীর বাড়ি থেকে পিতার বাড়ি চলে যায় নাজমা। নাজমা চলে আসার পর টিটল পরকীয়া প্রেমিকাকে বাড়ি নিয়ে এসেছে।

ভুক্তভোগী নাজমা বলেন, আমার বিয়ের আগেও টিটলের চরিত্র খারাপ ছিল। তার আগেও একটি বউ ছিল। অন্যনারীদের সাথে কথা বলার জন্য আগের বউ গর্ভাবস্তায় বিষপান করে আত্মহত্যা করে। এখন আবার
আমাকে তালাক দিচ্ছে। আমার ২ ছেলের কথা চিন্তা না করে আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমি এখন কি করব। আমার সন্তানদের নিয়ে কোথায় উঠব। আমি আদালতে মামলা ও ফায়ার সার্ভিসের হেড অফিসে অভিযোগ দিয়েছি। এখনও কোন প্রতিকার পাইনি। আমি আমার সন্তানদের ও আমার অধিকার ফিরে পেতে চাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আকাশ মাহমুদ টিটল বলেন, আমি তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। পারিবারিক
নানা ঝামেলার কারণে তাকে ডিভোর্স দিয়েছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ইউপি সদস্যের  হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে একদল দুর্বৃত্তরা 

স্ত্রী-সন্তানদের তাড়িয়ে দিয়ে পরকীয়া প্রেমিকাকে নিয়ে বিয়ের পিড়িতে ফায়ার সার্ভিসের ড্রাইভার টিটল

আপডেট সময় : ১১:৪৯:১৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের নাজমা আক্তার। ১১ বছর বয়সী সিয়াম মাহমুদ জিম ও ৫ বছর বয়সী ছেলে আব্রাহাম সাদকে নিয়ে ঘুরছেন পথে পথে। সন্তানদের ও নিজের অধিকার ফিরে পেতে অসহায়ের মত মানুষের কাছে ঘুরে ফিরছেন। সম্মুখীন হচ্ছে নানা বাঁধার। লম্পট স্বামী ফায়ার সার্ভিসের কর্মরত আকাশ মাহমুদ টিটল পদে পদে হেনস্থাসহ হুমকি দিচ্ছেন।

জানা গেছে, প্রায় ১২ বছর পুর্বে মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার বেথলী গ্রামের হারেজ উদ্দিন মোল্লা ছেলে আকাশ মাহমুদ টিটলের সাথে পারিবারিক ভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর নাজমার কোলজুড়ে ২ সন্তানের
জন্ম হয়। বিয়ের পর সুখেই চলছিল তাদের সংসাদ। কিন্তু কয়েক বছর আগে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফায়ার সার্ভিসে চাকুরী নেয় আকাশ মাহমুদ টিটল। চাকুরীর সুবাদে বাইরে থাকায় একাধিক নারীর সাথে পরকীয়া জড়িয়ে পড়েন তিনি। শুরু হয় নাজমার উপর অত্যাচার।

কারণে অকারণে গালি-গালাজ আর বাড়িতে এসে শুরু করে মারধর। নানা অত্যাচার সহ্য করেও ২ ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে  শশুর বাড়িতে ছিলো নাজমা। মারধর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে যৌতুক দাবি করে অর্থলোভী, নারীলোভী টিটল। নাজমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে চরম নির্যাতন শুরু করে টিটল। নাজমা সেখান থেকে না এলে তাকে তালাক দেয় টিটল। ছেলেদের খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেয় সে। ডিভোর্স লেটারে স্বাক্ষর না করেও স্বামীর বাড়ি থেকে পিতার বাড়ি চলে যায় নাজমা। নাজমা চলে আসার পর টিটল পরকীয়া প্রেমিকাকে বাড়ি নিয়ে এসেছে।

ভুক্তভোগী নাজমা বলেন, আমার বিয়ের আগেও টিটলের চরিত্র খারাপ ছিল। তার আগেও একটি বউ ছিল। অন্যনারীদের সাথে কথা বলার জন্য আগের বউ গর্ভাবস্তায় বিষপান করে আত্মহত্যা করে। এখন আবার
আমাকে তালাক দিচ্ছে। আমার ২ ছেলের কথা চিন্তা না করে আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমি এখন কি করব। আমার সন্তানদের নিয়ে কোথায় উঠব। আমি আদালতে মামলা ও ফায়ার সার্ভিসের হেড অফিসে অভিযোগ দিয়েছি। এখনও কোন প্রতিকার পাইনি। আমি আমার সন্তানদের ও আমার অধিকার ফিরে পেতে চাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আকাশ মাহমুদ টিটল বলেন, আমি তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। পারিবারিক
নানা ঝামেলার কারণে তাকে ডিভোর্স দিয়েছি।