সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ নজরুল ইসলাম –
সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে কর্মমুখী যাত্রীবাহি গাড়ী যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে শুক্রবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। এদিকে কাঙ্খিত বাসের টিকিট না পেয়ে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ঢাকামুখী কয়েক যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেকেই আবার বাসের সিট না পেয়ে পিকআপ কিংবা ট্রাকে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন।
কড্ডার মোড় এলাকায় আয়শা সিদ্দিকা নামের এক গার্মেন্টসকর্মী বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে গাড়ির জন্য কড্ডার মোড়ে রোদের মধ্যে বসে আছি। কিন্তু বাসের টিকিট মিলছে না। লোকাল বাসগুলোও ভাড়া বেশি চায়। দুপুর হয়ে গেছে। ছুটিও শেষ, শনিবার থেকে অফিস খোলা। আজ না গেলে চলবে না। তাই পিকআপে বসে রয়েছি ঢাকা যাবো বলে।’ হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় হান্নান পরিবহনের যাত্রী মারুফ হাসান বলেন, ‘বগুড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি সকাল ৯ টায়। হাটিকুমরুল গোলচত্বরে এসে দুপুর হয়ে গেছে।
রাস্তার যানবাহনের যে চাপ তাতে মনে হয় না রাত ১২টার আগে ঢাকা পৌঁছাতে পারবো কিনা সন্দেহ আছে।’ হাটিকুমরুল হাইওয়ের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান নীলকন্ঠকে বলেন, ঈদের ছুটির শেষ দিন হওয়ায় হাটিকুমরুল হাইওয়ের গোলচত্বর ও তার আশপাশের এলাকায় যানবাহনের প্রচুর চাপ রয়েছে। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। তবে কোথাও যানজট নেই। যানজট যাতে সৃষ্টি না হয় এজন্য হাইওয়ে পুলিশ সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক সালেকুজ্জামান খাঁন সালেক নীলকন্ঠকে বলেন, হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় পর্যন্ত মহাসড়কের প্রায় ২২ কিলোমিটার জুড়ে যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। বেলা গড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আশা করছি এটি কমে যাবে।