বায়েজিদ পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) :
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় একটি পুকুর থেকে সালাম মিয়া (২৫) নামের এক যুবকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত সালাম দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগ ও মৃগী রোগে ভুগছিলেন। মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে পলাশবাড়ী পৌর এলাকার উদায়সাগর গ্রামের বাড়ির পাশের একটি পুকুরে সালামের মরদেহ ভাসতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে।
নিহত সালাম মিয়া পলাশবাড়ী পৌর এলাকার উদায়সাগর গ্রামের মৃত আফছার আলীর ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সালাম দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অসুস্থতা ও মৃগী রোগে ভুগছিলেন। প্রায় আড়াই বছর আগে তার বিয়ে হলেও অসুস্থতার কারণে সেই সংসার টেকেনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সরোয়ার আলম খান বলেন, পানিতে ডুবে মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে সালাম পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে মারা গেছেন। নিহতের স্বজনদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মামা বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
উদায়সাগর গ্রামের বাসিন্দা ও গণমাধ্যমকর্মী সিরাজুল ইসলাম রতন জানান, সালামের পারিবারিক ইতিহাস ছিল অত্যন্ত বেদনাদায়ক। প্রায় তিন বছর আগে অসুস্থতায় তার মা মারা যান। এর আগে সাত বছর আগে মৃগী রোগে আক্রান্ত বড় বোন পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যান।
তিনি আরও জানান, বাবা-মা ও বোনের মৃত্যুর পর সালাম একাই নিজের এক শতক জমির ওপর থাকা ভাঙাচোরা বাড়িতে বসবাস করতেন। জীবিকার কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা না থাকায় দিনভর মানুষের কাছে হাত পেতে যা পেতেন, তা দিয়েই তার দিন চলত। নিহতের আপনজন বলতে কেউ না থাকায় স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগ ও সহযোগিতায় তার দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।






















































