আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আমেরিকার টেক্সাসের সীমান্তবর্তী মেক্সিকোর রেনোসা শহরের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালালো বন্দুকধারীরা। রোববারের (২০ জুন) এ হামলায় কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মেক্সিকোর নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছে, রোববার বিকেলে বেশ কয়েকটি গাড়িতে এসে পূর্ব রেনোসার বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তের একটি সেতুর কাছে পুলিশের ওপর হামলার সময়ে নিহত হন এক ব্যক্তি। বাকিদের নির্দিষ্টভাবে নিশানা করে হামলা চালানো হয়েছে, নাকি তাঁরা এলোপাতাড়ি হামলার শিকার হয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
হামলার পরেই অভিযানে নামে সেনা, ন্যাশনাল গার্ড, পুলিশ ও অন্য নিরাপত্তা সংস্থা। পুলিশ জানিয়েছে, তারা এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। তার গাড়ির বুট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুই নারীকে। পুলিশের অভিযোগ, আটক ব্যক্তি ওই দু’জনকে অপহরণ করেছিল। তিনটি গাড়িও আটক করেছে বাহিনী।
ঘটনার পরে রেনোসার মেয়র মাকি এস্থার ওর্টিজ এই হামলা নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকার হিংসার জন্য মাদক পাচারে যুক্ত ‘গাল্ফ কার্টেল’ মাফিয়া গোষ্ঠীকে দায়ী করে এসেছে মেক্সিকো সরকার। এক সময়ে মদ পাচারে যুক্ত এই গোষ্ঠী ১৯৮০-র দশক থেকে মাদক পাচারের কাজ শুরু করে। আমেরিকা, ইউরোপ, পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন মাফিয়া গোষ্ঠীর সঙ্গে এদের যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে করেন গোয়েন্দারা।
১৯৯০-এর দশকের শেষ দিক থেকে ওই মাফিয়া গোষ্ঠীর মধ্যে একাধিক দল তৈরি হয়। ২০১০ সালে রেনোসা এলাকায় গোষ্ঠীর কর্তা হওয়ার দৌড়ে হেরে যায় শীর্ষ নেতা জুয়ান মেজিয়া গনজ়ালেজ়। তার পর থেকেই ওই গোষ্ঠীর বিভিন্ন দলের মধ্যে লড়াই শুরু হয়।
রেনোসার বদলে জুয়ানকে টেক্সাসের সীমান্তবর্তী ‘ফ্রন্টেরা চিকা’ এলাকার দায়িত্ব দেয় গোষ্ঠী। অন্য একটি দলের নেতা স্যামুয়েল ফ্লোরেস বোরেগো পায় রেনোসার দায়িত্ব।
আমেরিকান সংবাদমাধ্যমের মতে, স্যামুয়েলকে খুন করার ছক কষে জুয়ান। তারপর থেকেই বিভিন্ন দলের লড়াই আরও তীব্র হয়। তবে এ দিনের ঘটনা মাফিয়া গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের ফল কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্র- ওয়াশিংটন পোস্ট।