শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান: ভারতীয় মদ ও মালামাল জব্দ Logo সাতক্ষীরায় ডিবি পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান: ভারতীয় মদসহ একজন গ্রেফতার Logo বাংলাদেশে পরিচ্ছন্ন ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার Logo সাতক্ষীরায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প Logo রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ Logo বই মাসের শ্রেষ্ঠ সারথি পুরস্কার পাচ্ছেন জয়ন্তী ভৌমিক Logo সহপাঠীদের সাথে পুকুরে সাঁতার শিখতে গিয়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু Logo রাশিয়ায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প Logo সাইবার স্পেসে জুয়ার শাস্তি ২ বছরের কারাদণ্ড Logo ইউপিইউ কাউন্সিলে বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

বস্তিগুলোতে চলছে অবৈধ বিদ্যুতের রমরমা ব্যবসা

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৫:২৩:০৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:বস্তিতে একের পর এক আগুনের পর সামনে চলে আসে গ্যাস-বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগের বিষয়টি ৷ অথচ দিনের পর দিন বিভিন্ন উপায়ে বস্তিবাসী এসব সুবিধা ভোগ করে এলেও আড়ালেই থেকে যায় সেবা সংস্থাগুলোর ভূমিকা। বস্তিবাসীর অসচেতনতার পাশাপাশি এমন দুর্ঘটনার দায় সেবা সংস্থাগুলোও এড়াতে পারে না জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিকল্প নেই কঠোর নজরদারি নিশ্চিতের।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) মোহাম্মদপুরের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্থলে যায় সময় সংবাদ। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বস্তির এক ঘর থেকে অন্য ঘরে নিম্নমানের তারের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। একটি তার থেকে আরেকটি তার জোড়া লাগিয়ে সংযোগ দেওয়া হয়েছে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে। আর ঝূঁকিপূর্ণ এসব তারের বিদ্যুৎ নিরোধকের নেই আধুনিক ব্যবস্থা। টেপ পেঁচিয়ে নিরোধক করা হলেও অধিকাংশ জায়গায় সেগুলো আলগা হয়ে পরিণত হয়েছে ঝূঁকিতে।

অথচ বছরের পর বছর ধরে একরকম বাধ্য হয়েই এমন ঝুঁকি নিয়ে জীবনযাপন করছেন এসব বস্তিবাসী। নুন আনতে পান্তা ফুরালেও নিত্য মেটাতে হয় বিদ্যুতের বিল।

মোহাম্মদপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকায় দেওয়া হয় অবৈধ বিদ্যুতের লাইন। তারা বলছেন, বস্তির সব সংযোগই অবৈধ। চাইলেও কেউ পান না বিদ্যুতের মিটার।

মহাখালী, মিরপুর কিংবা মোহাম্মদপুর সব যেনো একই সূত্রে গাঁথা। বৈধ কিংবা অবৈধ যে উপায়ই সেবা পান তা উল্টা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

প্রভাবখাটিয়ে যারা এসব লাইন সরবারহ করছে ঝুঁকির বিষয় তারাও মানছেন অকপটে। অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে বস্তিবাসির ‘সেবা’ করতে পারছেন এমনও দাবিও করছেন তারা। নগরবিদরা বলছেন শুধু সেবা সংস্থা নয় দায় এড়াতে পারবে না নগর কর্তৃপক্ষ।

নগরপরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব সময় সংবাদকে বলেন, এখনই সরকারের উচিত সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ব দেওয়া। এখন পর্যন্ত সিটি করপোরেশন আমাদের বহু উদ্যোগের পরিকল্পনার গল্প শুনিয়েছে। তাদের দায়িত্ব দেওয়া হোক। আপতত সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ব দিয়ে বস্তিবাসির জীবনমান উন্নত করতে পরিচ্ছন্ন সেবা প্রদান করা হোক। পাশাপাশি সব সেবার বৈধ সংযোগের ব্যবস্থা করা হোক।

সিটি করপোরেশন বলছে, শিগগির ভাসমান এসব মানুষের যথাযথ পুনর্বাসনের কথা ভাবছেন তারা।গত দুই মাসে রাজধানীতে ছোট বড় প্রায় পাঁচটি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান: ভারতীয় মদ ও মালামাল জব্দ

বস্তিগুলোতে চলছে অবৈধ বিদ্যুতের রমরমা ব্যবসা

আপডেট সময় : ০৫:২৩:০৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০

নিউজ ডেস্ক:বস্তিতে একের পর এক আগুনের পর সামনে চলে আসে গ্যাস-বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগের বিষয়টি ৷ অথচ দিনের পর দিন বিভিন্ন উপায়ে বস্তিবাসী এসব সুবিধা ভোগ করে এলেও আড়ালেই থেকে যায় সেবা সংস্থাগুলোর ভূমিকা। বস্তিবাসীর অসচেতনতার পাশাপাশি এমন দুর্ঘটনার দায় সেবা সংস্থাগুলোও এড়াতে পারে না জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিকল্প নেই কঠোর নজরদারি নিশ্চিতের।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) মোহাম্মদপুরের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্থলে যায় সময় সংবাদ। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বস্তির এক ঘর থেকে অন্য ঘরে নিম্নমানের তারের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। একটি তার থেকে আরেকটি তার জোড়া লাগিয়ে সংযোগ দেওয়া হয়েছে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে। আর ঝূঁকিপূর্ণ এসব তারের বিদ্যুৎ নিরোধকের নেই আধুনিক ব্যবস্থা। টেপ পেঁচিয়ে নিরোধক করা হলেও অধিকাংশ জায়গায় সেগুলো আলগা হয়ে পরিণত হয়েছে ঝূঁকিতে।

অথচ বছরের পর বছর ধরে একরকম বাধ্য হয়েই এমন ঝুঁকি নিয়ে জীবনযাপন করছেন এসব বস্তিবাসী। নুন আনতে পান্তা ফুরালেও নিত্য মেটাতে হয় বিদ্যুতের বিল।

মোহাম্মদপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকায় দেওয়া হয় অবৈধ বিদ্যুতের লাইন। তারা বলছেন, বস্তির সব সংযোগই অবৈধ। চাইলেও কেউ পান না বিদ্যুতের মিটার।

মহাখালী, মিরপুর কিংবা মোহাম্মদপুর সব যেনো একই সূত্রে গাঁথা। বৈধ কিংবা অবৈধ যে উপায়ই সেবা পান তা উল্টা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

প্রভাবখাটিয়ে যারা এসব লাইন সরবারহ করছে ঝুঁকির বিষয় তারাও মানছেন অকপটে। অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে বস্তিবাসির ‘সেবা’ করতে পারছেন এমনও দাবিও করছেন তারা। নগরবিদরা বলছেন শুধু সেবা সংস্থা নয় দায় এড়াতে পারবে না নগর কর্তৃপক্ষ।

নগরপরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব সময় সংবাদকে বলেন, এখনই সরকারের উচিত সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ব দেওয়া। এখন পর্যন্ত সিটি করপোরেশন আমাদের বহু উদ্যোগের পরিকল্পনার গল্প শুনিয়েছে। তাদের দায়িত্ব দেওয়া হোক। আপতত সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ব দিয়ে বস্তিবাসির জীবনমান উন্নত করতে পরিচ্ছন্ন সেবা প্রদান করা হোক। পাশাপাশি সব সেবার বৈধ সংযোগের ব্যবস্থা করা হোক।

সিটি করপোরেশন বলছে, শিগগির ভাসমান এসব মানুষের যথাযথ পুনর্বাসনের কথা ভাবছেন তারা।গত দুই মাসে রাজধানীতে ছোট বড় প্রায় পাঁচটি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।