নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা শহরের মাছপট্টিতে ইভন (২৬) নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে তাঁরই বন্ধু খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ সময় ইভনের ছোড়া ইটের আঘাতে বন্ধু খাইরুল ইসলামও গুরুতর আহত হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর খাইরুল ইসলাম দলবল নিয়ে হামলার চেষ্টা করেন। এ সময় শহরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং খাইরুল ইসলামকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। গতকাল বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে শহরের মাছপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ইভন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ার ডাবলুর ছেলে ও খাইরুল ইসলাম একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার বিকেলে শহরের মাছপট্টি এলাকায় ইভন, খাইরুলসহ তাঁদের কয়েকজন বন্ধু মিলে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ইভন ও খাইরুলের মধ্যে বাগবিত-ার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ইভন একটি ইট দিয়ে খাইরুলের মাথায় আঘাত করেন। এ সময় খাইরুল উত্তেজিত হয়ে পাশে থাকা একটি ধারালো বটি দিয়ে ইভনের মাথায় কোপ দেন। প্রতিরোধ করতে গেলে ইভনের হাতে একটি কোপ লাগে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেন। পরে চিকিৎসা শেষে খাইরুল পুনরায় দলবল নিয়ে ইভনের ওপর পাল্টা হামলার চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং খাইরুলকে আটক করে সদর থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ওহিদুল ইসলাম (বিপিএম) জানান, গতকাল বিকেলে দুই বন্ধু ইভন ও খাইরুলের মধ্যে বাগবিত-ার একপর্যায়ে ইভনকে কুপিয়ে জখম করেন খাইরুল। পরে খাইরুল লাঠিসোঁটাসহ দলবল নিয়ে আবারও হামলার চেষ্টা করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ঘটনাস্থল থেকে খাইরুলকে আটক করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকেই কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।