শিরোনাম :
Logo সাজিদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo চীনে ভয়াবহ বন্যা , বৃদ্ধাশ্রমে ৩০ জনের মৃত্যু Logo আধা ঘণ্টার ব্যাটিংয়ে দুই রেকর্ড গিলের, হতে পারে আরও Logo বেইজিংয়ে ভারী বৃষ্টিপাতে ৪৪ জনের মৃত্যু Logo কিয়েভে রাশিয়ার হামলায় নিহত ১, আহত অন্তত ৪০ Logo পিআর পদ্ধতি জানে না জনগণ, চায় পুরোনো পদ্ধতিতে নির্বাচন: টুকু Logo চাঁদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ Logo ঢাকাস্থ চাঁদপুর সমিতির’সাধারন সভা অনুষ্ঠিত চাঁদপুর জেলা হবে বাংলাদেশের মডেল এবং বুদ্ধি ভিত্তিক চর্চার প্রাণকেন্দ্র ……উপাধ্যক্ষ নূরুজ্জামান হীরা Logo বীরগঞ্জে জলবায়ু পরিবর্তন সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo রাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি প্রকাশিত

মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের মুক্তিযুদ্ধ তীর্থস্থান হিসেবে গড়ে তোলা হবে

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:১০ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৩ আগস্ট ২০১৯
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কেন্দ্র প্রকল্পের স্থাপত্য নকশা অনুমোদন-সংক্রান্ত সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক
নিউজ ডেস্ক:মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘হাইকোর্টের একটি নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রকাশ করতে পারিনি। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্য আমরা এদের তালিকা প্রকাশ করতে পারব। প্রতিটা ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।’ গতকাল শুক্রবার সকালে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর পর্যটন মোটেলে আয়োজিত মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কেন্দ্র প্রকল্পের স্থাপত্য নকশা অনুমোদন-সংক্রান্ত সভায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগরে আন্তর্জাতিক মানের মুক্তিযুদ্ধের চিত্র তুলে ধরে অন্যতম তীর্থস্থান হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। আজকে সভার মাধ্যেমে সব পরিকল্পনা ও নকশা মোতাবেক আগামী ১৭ এপ্রিলের আগেই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, মুজিবনগর হচ্ছে স্বাধীনতার শপথ ভূমি, সূর্যোদয় ভূমি। মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ না নিলে দেশ স্বাধীন নিয়ে বড় ধরনের সমস্যা হতো। মুক্তিযুদ্ধের সে স্মৃতি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে এখানে অন্তর্জাতিক মানের মুক্তিযুদ্ধ তীর্থস্থান গড়ে তোলা হবে। নতুন কাজ শুরুর বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা ৩৭ একর জমি অধিগ্রহণ করেছি। আগামী তিন মাসের মধ্য নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। বেশকিছু ভাস্কর্য পরিবর্তন করা হবে।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে মুজিবনগর পর্যটন মোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রালয়ের সচিব এস এম আরিফ-উর-রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গনী, মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী, মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল আলম, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গনীসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সবার সামনে তুলে ধরতে মুজিবনগরের ঐতিহাসিক শপথস্থলে স্মৃতিসৌধ, বাংলাদেশের একমাত্র মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক মানচিত্র, মানচিত্রের সামনে জাতির পিতাসহ মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বগাথা আত্মদানকারী ব্যক্তিদের ভাস্কর্যসহ নানা স্থাপনা রয়েছে। প্রতিবছরই এখানে হাজার হাজার পর্যটক আসেন।

ট্যাগস :

সাজিদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের মুক্তিযুদ্ধ তীর্থস্থান হিসেবে গড়ে তোলা হবে

আপডেট সময় : ১২:৪৭:১০ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৩ আগস্ট ২০১৯

মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কেন্দ্র প্রকল্পের স্থাপত্য নকশা অনুমোদন-সংক্রান্ত সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক
নিউজ ডেস্ক:মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘হাইকোর্টের একটি নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রকাশ করতে পারিনি। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্য আমরা এদের তালিকা প্রকাশ করতে পারব। প্রতিটা ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।’ গতকাল শুক্রবার সকালে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর পর্যটন মোটেলে আয়োজিত মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কেন্দ্র প্রকল্পের স্থাপত্য নকশা অনুমোদন-সংক্রান্ত সভায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগরে আন্তর্জাতিক মানের মুক্তিযুদ্ধের চিত্র তুলে ধরে অন্যতম তীর্থস্থান হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। আজকে সভার মাধ্যেমে সব পরিকল্পনা ও নকশা মোতাবেক আগামী ১৭ এপ্রিলের আগেই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, মুজিবনগর হচ্ছে স্বাধীনতার শপথ ভূমি, সূর্যোদয় ভূমি। মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ না নিলে দেশ স্বাধীন নিয়ে বড় ধরনের সমস্যা হতো। মুক্তিযুদ্ধের সে স্মৃতি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে এখানে অন্তর্জাতিক মানের মুক্তিযুদ্ধ তীর্থস্থান গড়ে তোলা হবে। নতুন কাজ শুরুর বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা ৩৭ একর জমি অধিগ্রহণ করেছি। আগামী তিন মাসের মধ্য নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। বেশকিছু ভাস্কর্য পরিবর্তন করা হবে।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে মুজিবনগর পর্যটন মোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রালয়ের সচিব এস এম আরিফ-উর-রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গনী, মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী, মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল আলম, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গনীসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সবার সামনে তুলে ধরতে মুজিবনগরের ঐতিহাসিক শপথস্থলে স্মৃতিসৌধ, বাংলাদেশের একমাত্র মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক মানচিত্র, মানচিত্রের সামনে জাতির পিতাসহ মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বগাথা আত্মদানকারী ব্যক্তিদের ভাস্কর্যসহ নানা স্থাপনা রয়েছে। প্রতিবছরই এখানে হাজার হাজার পর্যটক আসেন।