রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলি সংরক্ষণের দাবি
নিউজ ডেস্ক:১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে ঘোষিত ‘চুয়াডাঙ্গা বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী’ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় স্থানীয় শহীদ হাসান চত্ত্বরে মানববন্ধন করেছে চুয়াডাঙ্গা প্রথম রাজধানী সংগ্রাম পরিষদ। প্রতি বছর এ আন্দোলন নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা থাকলেও এ বছর ভিন্ন উদ্যোগে কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কয়েকটি সেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রথম রাজধানীর স্বীকৃতি আদায় আন্দোলন করেছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম রাজধানী সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব হাবীবি জহির রায়হানের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবু হোসেন, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আশু বাঙ্গালী, বীরবিক্রম সাইদুর রহমান, সিপিবি’র জেলা সভাপতি লুৎফর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘দক্ষিন পশ্চিম রণাঙ্গনের সদর দপ্তর ও বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের এই সূতিকাগার চুয়াডাঙ্গাকে অস্থায়ী রাজধানী করে এলাকার বিভিন্ন জেলায় তৎকালীন আনসার মুজাহিদ, ইপিআর ও পুলিশ নিয়ে যৌথবাহিনী গঠনকরে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা হতো। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের এই অস্থায়ী রাজধানীতে প্রথম যুদ্ধে যাবার শপথ গ্রহন করেন ৪৭ জন আনসার ও মুজাহিদ। এদের অনেকেই এখনো জীবিত আছেন, যারা একক এবং যৌথভাবে মুক্তিযুদ্ধে সন্মুখ সমরে অংশ গ্রহন করেছিলেন। এ কারণে মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের প্রথম সরকার গঠন, শপথ গ্রহণ এবং প্রথম রাজধানী হিসেবে চুয়াডাঙ্গাকে বেঁছে নেয়া হয়। পাক বাহিনী বিষয়টি টের পেয়ে হামলা চালালে সকল প্রস্তুতি ভেস্তে যায়। বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম ও সিলমোহর তৈরি করা হয়েছে এই চুয়াডাঙ্গা থেকেই। তবে কেনো আজ আমাদের চুয়াডাঙ্গাকে প্রথম রাজধানীল রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হবে না।’
মানববন্ধন শেষে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী চুয়াডাঙ্গার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ বদ্ধভূমি চিন্থিত করে ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলি সংরক্ষন করার দাবি জানান। এতে জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য ও জেলার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে নানান ইতিহাসের সাক্ষী, চুয়াডাঙ্গার সর্বস্তরের জনগণ এ জেলাকে অস্থায়ী রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করতে প্রতি বছরের ১০ এপ্রিল তাদের অধিকার আদায়ে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচী পালন করে।
























































