রবিবার | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo ভৈরব খননের শত কোটি টাকা জলে; বাধা ওয়াসার পাইপ Logo স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পুরানো সিন্ডিকেট: নেপথ্যে স্বাচিপ Logo চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি সোহেল রুশদী, সাধারণ সম্পাদক এম এ লতিফ নির্বাচিত Logo বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে ওসমান হাদির গ্রাফিতি  Logo পলাশবাড়ীতে দলিল লেখকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ Logo শীতার্ত মানুষের পাশে প্রশাসন: বেদে পল্লীতে কম্বল দিলেন চাঁদপুর ডিসি Logo মাদকের কুফল সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টি ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সমাবেশ সন্তানরা কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে মিশছে—এ বিষয়ে বাবা-মাকে আরও সচেতন হতে হবে-চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোঃ নাজমুল ইসলাম সরকার Logo সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজে আগুনে একজনের মৃত্যু Logo দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক Logo শান্তর সেঞ্চুরিতে জয় দিয়ে বিপিএল শুরু রাজশাহীর

ঝিনাইদহে ১০৭ ইটভাটার মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ নিবন্ধন রয়েছে ১৮ টি

  • আপডেট সময় : ০২:২৬:২০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২০ মার্চ ২০১৯
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ জেলায় ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে অধিকাংশ ইটভাটাগুলো। আবার ইটপোড়াতে বাগানের হাজার হাজার মন কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। সুবিধার্তে কাঠ চেরাই করার জন্য ইটভাটার পাশে স’মিল (করাতকল) বসিয়ে নেয়া হয়েছে। স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালি ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আইনকে অমান্য করে ইটভাটা তৈরি করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে বনই উজাড় হচ্ছেনা। পরিবেশেও বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এক্ষেত্রে প্রশাসন কর্তারাও দেখেও না দেখার ভান করছে। ইটভাটা সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলায় ১’শ ৭টি ইটভাটা রয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলায় ৯২ টি ইট ভাঁটা রয়েছে। যার মধ্যে ১৮ টি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ নিবন্ধন রয়েছে। আর বাকি ৭৪ টি ইটভাটা রয়েছে অবৈধ। ইট প্রস্তুত এবং ভাঁটা স্থাপনা (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০১৩-এর ৮ ধারা অনুযায়ি, লোকালয় ও কৃষি জমিতে ইটভাটা তৈরি দন্ডনিয় অপরাধ। কিন্তু কর্মকর্তাদের উদাসিনতা এবং ইট ভাঁটা মালিকেরা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালি ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আইনকে অমান্য করে ইটভাটা গড়ে তোলেন। যে কারণে কোন সময় অভিযোগ উঠলেও বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অধিকাংশ ইটভাটাগুলোই ফসলি জমিতে, যা পাশের জমি গুলোর ফসল ছাই, ধোয়ায় নষ্ঠ হচ্ছে। অন্যদিকে তাদের কোন বৈধ লাইসেন্স নেই। তারা আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে ফসলি জমিতে ও অবাধে কাঠ পোড়াচ্ছেন। সেই সাথে ব্যারেল চিমনিও ব্যবহার করছেন মফস্ফলের ইটভাটাতে। কৃষকের অভাবের সুযোগে কমদামে গাছপালা কিনছে। আর উজার করা হচ্ছে বন। ঝিনাইদহ সদর, হরিনাকুন্ডু, শৈলকুপা ও কালীগঞ্জ মহাসড়কের পাশের দুটি এবং কোটচাঁদপুর সড়কের কালীগঞ্জের মধ্যে ২ টি ইটভাটায় দেখা যায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। একটি ইটভাটায় ব্যারেল চিমনি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গড়ে উঠেছে নতুন নতুন অনুমোদনহীন ইটভাটা। অনুমোদনের জন্য আবেদন কেরই চলছে বছরের পর বছর। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, আমরা খুব দ্রুত অবৈধ ও পরিবেশ দুষণকারী ইট ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে প্রচুর পরিমান ইটের প্রয়োজন। ফলে পরিবেশ বান্ধব ইটভাটা তৈরিতে অনুরোধ জানাবো।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভৈরব খননের শত কোটি টাকা জলে; বাধা ওয়াসার পাইপ

ঝিনাইদহে ১০৭ ইটভাটার মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ নিবন্ধন রয়েছে ১৮ টি

আপডেট সময় : ০২:২৬:২০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২০ মার্চ ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ জেলায় ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে অধিকাংশ ইটভাটাগুলো। আবার ইটপোড়াতে বাগানের হাজার হাজার মন কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। সুবিধার্তে কাঠ চেরাই করার জন্য ইটভাটার পাশে স’মিল (করাতকল) বসিয়ে নেয়া হয়েছে। স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালি ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আইনকে অমান্য করে ইটভাটা তৈরি করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে বনই উজাড় হচ্ছেনা। পরিবেশেও বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এক্ষেত্রে প্রশাসন কর্তারাও দেখেও না দেখার ভান করছে। ইটভাটা সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলায় ১’শ ৭টি ইটভাটা রয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলায় ৯২ টি ইট ভাঁটা রয়েছে। যার মধ্যে ১৮ টি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ নিবন্ধন রয়েছে। আর বাকি ৭৪ টি ইটভাটা রয়েছে অবৈধ। ইট প্রস্তুত এবং ভাঁটা স্থাপনা (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০১৩-এর ৮ ধারা অনুযায়ি, লোকালয় ও কৃষি জমিতে ইটভাটা তৈরি দন্ডনিয় অপরাধ। কিন্তু কর্মকর্তাদের উদাসিনতা এবং ইট ভাঁটা মালিকেরা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালি ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আইনকে অমান্য করে ইটভাটা গড়ে তোলেন। যে কারণে কোন সময় অভিযোগ উঠলেও বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অধিকাংশ ইটভাটাগুলোই ফসলি জমিতে, যা পাশের জমি গুলোর ফসল ছাই, ধোয়ায় নষ্ঠ হচ্ছে। অন্যদিকে তাদের কোন বৈধ লাইসেন্স নেই। তারা আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে ফসলি জমিতে ও অবাধে কাঠ পোড়াচ্ছেন। সেই সাথে ব্যারেল চিমনিও ব্যবহার করছেন মফস্ফলের ইটভাটাতে। কৃষকের অভাবের সুযোগে কমদামে গাছপালা কিনছে। আর উজার করা হচ্ছে বন। ঝিনাইদহ সদর, হরিনাকুন্ডু, শৈলকুপা ও কালীগঞ্জ মহাসড়কের পাশের দুটি এবং কোটচাঁদপুর সড়কের কালীগঞ্জের মধ্যে ২ টি ইটভাটায় দেখা যায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। একটি ইটভাটায় ব্যারেল চিমনি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গড়ে উঠেছে নতুন নতুন অনুমোদনহীন ইটভাটা। অনুমোদনের জন্য আবেদন কেরই চলছে বছরের পর বছর। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, আমরা খুব দ্রুত অবৈধ ও পরিবেশ দুষণকারী ইট ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে প্রচুর পরিমান ইটের প্রয়োজন। ফলে পরিবেশ বান্ধব ইটভাটা তৈরিতে অনুরোধ জানাবো।