শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির প্রথম সভা Logo নারী শিক্ষার্থীদের কটুক্তির প্রতিবাদে ইবি ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন  Logo তারেক রহমান ও টুকুর খালাসে শিয়ালকোলে মিষ্টি বিতরণ Logo জাবির হল সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে মানহানি, ছাত্রদলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ Logo স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত কয়রার জনগণ, নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান  Logo জবির দু’টি হলের কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর Logo সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার মাধ্যমে আমাদের নিয়োগের কাজ হচ্ছে: রাবি উপাচার্য Logo পলাশবাড়ীতে ভিডব্লিউবি তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ। Logo সাতক্ষীরায় কুখ্যাত সন্ত্রাসী কোপা মাসুদসহ গ্রেপ্তার-৩ Logo সিরাজগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় কলেজ ছাত্র কারাগারে

বিলুপ্তির পথে চুয়াডাঙ্গার মৃৎশিল্প

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১০:২০:৫৬ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:মৃৎ কারিগররা মৃৎ শিল্পে লাভবান না হওয়ায় এ পেশা ছাড়তে বাধ্য হয়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হচ্ছেন। মৃৎ কারিগরদের তৈরি পণ্য অন্য আধুনিক পণ্যের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। মৃৎ কারিগররা বলছেন, সরকারি সহযোগিতা পেলে মৃৎ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভাব হবে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে মৃৎ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতাসহ বিভিন্ন সংগঠনের সহযোগিতা প্রয়োজন। মৃৎ শিল্পে আধুনিকতার ছোয়া লাগলে আবারও সুদিন ফিরে পাবে মৃৎ কারিগররা। মৃৎ কারিগররা তাদের পুরাতন পেশা টিকিয়ে রাখতে গিয়ে দরিদ্র থেকে অতি দরিদ্র হচ্ছেন। তারপরও আশার আলো দেখছেন, একদিন এ পেশায় সুদিন ফিরবে।
মৃৎ শিল্পের প্রয়োজনীয় জিনিস মাটি, খঁড়ি, বিদ্যুত, লেবারসহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। মৃৎ শিল্পের কাজ এখনও হাতেই তৈরি করছেন কারিগররা। এ শিল্পে আধুনিকতার ছোঁয়া না লাগা বিলুপ্তির কারণ। বছরের কিছু বিশেষ দিন পহেলা বৈশাখ, ঈদ, পূজা ছাড়া এ শিল্পের জিনিসের চাহিদা নেই। তৈরি জিনিসের দাম কম থাকায় লোকসানের মুখে পড়তে হয়। এ সব কারণে তারা পেশা বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলা গ্রাম, মোমিনপুর গ্রাম, ডিঙ্গেদহ গ্রাম, দামুড়হুদা উপজেলার কুষাঘাটা গ্রামের ৮-১০টি পরিবার, জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর, শিয়ালমারী, আন্দুলবাড়িয়া মৃৎ শিল্পের কাজ করেন। আগে জেলার চারটি উপজেলায় প্রায় ২৫০টি পরিবার এ শিল্পের সাথে জড়িত ছিল। সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা ও ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে ঋণ পেলে এ শিল্প বাঁচিয়ে রাখা সম্ভাব। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও এ কাজ করেন।
একজন মৃৎ শিল্পী জানান, মৃৎ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকারিভাবে পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। মাটির তৈরি জিনিসের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় লাভ তেমন হয়না। এ পেশা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছি। বাপ-দাদার পুরাতন পেশা বলে কষ্ট করে বাঁচিয়ে রেখেছি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্ষুদ কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) চুয়াডাঙ্গার উপব্যবস্থাপক হামিদুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গায় এক সময় অনেক মৃৎ শিল্প গড়ে উঠেছিল। নানা কারণে বিলুপ্ত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪টি উপজেলাতেই কিছু সংখ্যক পরিবার মৃৎ শিল্পের সাথে জড়িত। আর এ মৃৎ শিল্পের কাজ করেই তারা জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির প্রথম সভা

বিলুপ্তির পথে চুয়াডাঙ্গার মৃৎশিল্প

আপডেট সময় : ১০:২০:৫৬ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:মৃৎ কারিগররা মৃৎ শিল্পে লাভবান না হওয়ায় এ পেশা ছাড়তে বাধ্য হয়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হচ্ছেন। মৃৎ কারিগরদের তৈরি পণ্য অন্য আধুনিক পণ্যের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। মৃৎ কারিগররা বলছেন, সরকারি সহযোগিতা পেলে মৃৎ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভাব হবে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে মৃৎ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতাসহ বিভিন্ন সংগঠনের সহযোগিতা প্রয়োজন। মৃৎ শিল্পে আধুনিকতার ছোয়া লাগলে আবারও সুদিন ফিরে পাবে মৃৎ কারিগররা। মৃৎ কারিগররা তাদের পুরাতন পেশা টিকিয়ে রাখতে গিয়ে দরিদ্র থেকে অতি দরিদ্র হচ্ছেন। তারপরও আশার আলো দেখছেন, একদিন এ পেশায় সুদিন ফিরবে।
মৃৎ শিল্পের প্রয়োজনীয় জিনিস মাটি, খঁড়ি, বিদ্যুত, লেবারসহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। মৃৎ শিল্পের কাজ এখনও হাতেই তৈরি করছেন কারিগররা। এ শিল্পে আধুনিকতার ছোঁয়া না লাগা বিলুপ্তির কারণ। বছরের কিছু বিশেষ দিন পহেলা বৈশাখ, ঈদ, পূজা ছাড়া এ শিল্পের জিনিসের চাহিদা নেই। তৈরি জিনিসের দাম কম থাকায় লোকসানের মুখে পড়তে হয়। এ সব কারণে তারা পেশা বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলা গ্রাম, মোমিনপুর গ্রাম, ডিঙ্গেদহ গ্রাম, দামুড়হুদা উপজেলার কুষাঘাটা গ্রামের ৮-১০টি পরিবার, জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর, শিয়ালমারী, আন্দুলবাড়িয়া মৃৎ শিল্পের কাজ করেন। আগে জেলার চারটি উপজেলায় প্রায় ২৫০টি পরিবার এ শিল্পের সাথে জড়িত ছিল। সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা ও ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে ঋণ পেলে এ শিল্প বাঁচিয়ে রাখা সম্ভাব। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও এ কাজ করেন।
একজন মৃৎ শিল্পী জানান, মৃৎ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকারিভাবে পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। মাটির তৈরি জিনিসের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় লাভ তেমন হয়না। এ পেশা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছি। বাপ-দাদার পুরাতন পেশা বলে কষ্ট করে বাঁচিয়ে রেখেছি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্ষুদ কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) চুয়াডাঙ্গার উপব্যবস্থাপক হামিদুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গায় এক সময় অনেক মৃৎ শিল্প গড়ে উঠেছিল। নানা কারণে বিলুপ্ত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪টি উপজেলাতেই কিছু সংখ্যক পরিবার মৃৎ শিল্পের সাথে জড়িত। আর এ মৃৎ শিল্পের কাজ করেই তারা জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।