মু.ওয়াছীঊদ্দিন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ- আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় রামগঞ্জে নির্বাচনী এলাকায় ক্ষমতাশীন দলের নেতাকর্মীরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোতা মিয়ার রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট। চার বছর ধরে তিনি ওই থানায় রয়েছেন।
ওই আসনে সরকার দলের প্রার্থীর পক্ষে তিনি প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং বিএনপি জোটের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে থানায় এনে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের ২০ দলীয় জোট প্রার্থী শাহাদাত হোসেন সেলিম।
তিনি আজ বিকালে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব সংলগ্ন জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলণে এ সব অভিযোগ করেন।
এসময় তিনি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওসিকে প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুশিয়ারী দেন। এবং নির্বাচন যদি বাধাগ্রস্থ হয় এর দায়ভার প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলণে তিনি আরো জানান, নির্বাচনে প্রশাসন থেকে যে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা সে অনুযায়ী কিছুই হচ্ছে না। লেভেল প্লেয়িংয়ের মাধ্যমে নির্বাচনে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু রামগঞ্জে ভোট করার কোন পরিবেশ নাই। মানুষকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে । প্রতিরাতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে হায়নার মত বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা করছে। এছাড়া প্রশাসনের লোক রাতের অন্ধকারে আমাদের নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
এসময় রামগঞ্জ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি বাহার এর বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ২০ দলীয় জোটের এ প্রার্থী। তিনি এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচনের কমিশনের প্রতি দাবি জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছায়েদুর রহমান ভুট্টু,সাধারণ সম্পাদক সাহবুদ্দিন সাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান, জেলা যুবদল সভাপতি রেজাউল করিম লিটনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।