শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকাদানের আওতা বৃদ্ধিতে সমঝোতা স্বাক্ষর!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৩:০৩:৪৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮১৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকাদানের আওতা বৃদ্ধিতে আইসিডিডিআরবি’র সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (কইকা) এবং কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মঙ্গলবার এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। বাংলাদেশে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য নামের এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য গর্ভবতী নারী ও শিশুদের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকাদানের আওতা বৃদ্ধি করা।

বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত অ্যান সং-ডু, কইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর জোই হেন-গু এবং আইসিডিডিআরবি’র নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর জন ডি. ক্লেমেন্স চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন। জোই হেন-গু বলেন, ‘কইকা প্রথমবারের মতো আইসিডিডিআরবির সঙ্গে সহযোগী হচ্ছে এবং এই প্রকল্পে সরকারি-বেসরকারি ও দ্বিপাক্ষিক-বহুপাক্ষিক সহযোগিতার সম্মিলন ঘটবে।’

গর্ভবতী নারীদের ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকাদানের কার্যকারিতার ওপর গবেষণা করার জন্য কইকা, আইসিডিডিআরবি এবং কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের যৌথ প্রকল্পে ৫ লাখ ডলারের অর্থায়ন করবে। মা এবং নবজাতকের ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কমিয়ে তাদের স্বাস্থ্য উন্নয়ন করাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।

প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটি ১০ হাজার অংশগ্রহণকারী নিয়ে শুরু হবে, কিন্তু প্রকল্পটির দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা, যার ফলে প্রতি বছর বাংলাদেশে ৪০ লাখ গর্ভবতী মাকে টিকাদান করা হবে। সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে প্রতিবছর ১২-১৫ কোটি মানুষ শ্বাসতন্ত্রের মারাত্মক সংক্রমণে আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে ১৪ লাখ মৃত্যুবরণ করে।

গবেষণা প্রকল্পটির প্রধান গবেষক ড. জামান বলেন, আমরা আশা করি এই সহযোগিতামূলক গবেষণা গর্ভবতী মহিলাদের ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকাদানের মাধ্যমে মা এবং তাদের শিশুদের স্বাস্থ্য উন্নয়ন করবে। মা ও শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের রোগ উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে, অকালিক জন্ম বা নির্দিষ্ট সময়ের আগে শিশু জন্ম কমাবে এবং নবজাতকের জন্মের সময়কার ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

২০০৮ সালে নিউ ইংল্যান্ড জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণার ওপর ভিত্তি করে আইসিডিডিআরবি ও কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের এই প্রকল্প গ্রহণ করে। গবেষণাটি বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যসেবা অধিদফতরের অধীনে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় পরিচালিত হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট

ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকাদানের আওতা বৃদ্ধিতে সমঝোতা স্বাক্ষর!

আপডেট সময় : ০৩:০৩:৪৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকাদানের আওতা বৃদ্ধিতে আইসিডিডিআরবি’র সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (কইকা) এবং কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মঙ্গলবার এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। বাংলাদেশে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য নামের এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য গর্ভবতী নারী ও শিশুদের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকাদানের আওতা বৃদ্ধি করা।

বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত অ্যান সং-ডু, কইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর জোই হেন-গু এবং আইসিডিডিআরবি’র নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর জন ডি. ক্লেমেন্স চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন। জোই হেন-গু বলেন, ‘কইকা প্রথমবারের মতো আইসিডিডিআরবির সঙ্গে সহযোগী হচ্ছে এবং এই প্রকল্পে সরকারি-বেসরকারি ও দ্বিপাক্ষিক-বহুপাক্ষিক সহযোগিতার সম্মিলন ঘটবে।’

গর্ভবতী নারীদের ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকাদানের কার্যকারিতার ওপর গবেষণা করার জন্য কইকা, আইসিডিডিআরবি এবং কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের যৌথ প্রকল্পে ৫ লাখ ডলারের অর্থায়ন করবে। মা এবং নবজাতকের ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কমিয়ে তাদের স্বাস্থ্য উন্নয়ন করাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।

প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটি ১০ হাজার অংশগ্রহণকারী নিয়ে শুরু হবে, কিন্তু প্রকল্পটির দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা, যার ফলে প্রতি বছর বাংলাদেশে ৪০ লাখ গর্ভবতী মাকে টিকাদান করা হবে। সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে প্রতিবছর ১২-১৫ কোটি মানুষ শ্বাসতন্ত্রের মারাত্মক সংক্রমণে আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে ১৪ লাখ মৃত্যুবরণ করে।

গবেষণা প্রকল্পটির প্রধান গবেষক ড. জামান বলেন, আমরা আশা করি এই সহযোগিতামূলক গবেষণা গর্ভবতী মহিলাদের ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকাদানের মাধ্যমে মা এবং তাদের শিশুদের স্বাস্থ্য উন্নয়ন করবে। মা ও শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের রোগ উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে, অকালিক জন্ম বা নির্দিষ্ট সময়ের আগে শিশু জন্ম কমাবে এবং নবজাতকের জন্মের সময়কার ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

২০০৮ সালে নিউ ইংল্যান্ড জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণার ওপর ভিত্তি করে আইসিডিডিআরবি ও কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের এই প্রকল্প গ্রহণ করে। গবেষণাটি বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যসেবা অধিদফতরের অধীনে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় পরিচালিত হবে।