দর্শনায় ট্রেনে কাঁটা পড়ে অজ্ঞাত এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার দিবাগত রাতে ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই নারীর লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে চুয়াডাঙ্গা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের সভাপতি অনিশ্চিত ও অনুপস্থিত থাকায় অজ্ঞাত লাশটি দাফন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের সদস্য আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়রের মাধ্যমে অজ্ঞাত লাশগুলো দাফন করা হতো। দাফনের যাবতীয় খরচ কমিটি বহন করতো। এখন কমিটির কেউ নেই, লাশ নিয়ে আমি বিপাকে পড়েছি। থানা পুলিশ বিষয়টি সমাধানে একটি ব্যবস্থা করবে জানিয়েছে।
দর্শনা হল্ট স্টেশন জিআরপি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতাউর রহমান জানান, পোড়াদহ রেলওয়ে থানাধীন দর্শনা হল্ট স্টেশন গ্যাং কোয়ার্টারপাড়া সংলগ্ন স্থানে বুধবার দিবাগত রাতের খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী নকশিকাঁথা কমিউটার অথবা ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী চিত্রা বা চিলাহিটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন অথবা খুলনাগামী মালবাহী ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে অজ্ঞাতনামা এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সকালে তার লাশ মাথা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রেললাইনের ধারে পড়ে থাকার খবর পেয়ে দর্শনা হল্ট স্টেশন জিআরপি পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরে ক্রাইমসিন ইউনিট ও ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দর্শনা হল্ট স্টেশন জিআরপি ফাঁড়ির পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, ওই নারীর বয়স আনুমানিক ৩২ বছর হবে। গায়ের রং ফরসা। তার পরনে ছিল লাল-কালো চেক সালোয়ার ও খয়েরি কালারের পায়জামা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘দুপুরের পর লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। পরিচয় সনাক্ত না হওয়ায় লাশটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এবং অজ্ঞাত পরিচয়ে দাফনের প্ররবর্তী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’