নিউজ ডেস্ক:
জেটগতির লাইফস্টাইল, খাদ্যাভাস, বদলে যাওয়া জীবনযাপন। অল্প বিশ্রাম। মোটে কয়েক ঘণ্টার ঘুম। ফল? রোগের ডিপো শরীর। অঙ্গপ্রত্যঙ্গের দফারফা। একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া। তাহলে উপায়?
শিকাগোর হেলথ ও এজিং প্রকল্পের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, পালং শাকে আছে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভনয়েড, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে। মস্তিষ্কের বয়স কমাতে সাহায্য করে। দীর্ঘদিন মস্তিষ্কের শক্তি অটুট রাখে। অনেক বেশি বয়স পর্যন্ত স্নায়ুতন্ত্র নির্ভুলভাবে কাজ করে।
এছাড়া এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘ই’। দিনে গড়ে ৩০ গ্রাম পাংল শাক খেলে ভবিষ্যতে অ্যালঝাইমার্স হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
জাপানের একদল বিজ্ঞানী এবং হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল সম্প্রতি একটি গবেষণা চালায়। গবেষকদের দাবি, পালং শাকের ফ্ল্যাভনয়েড নারীদের শরীরে অব্যর্থ ওষুধের কাজ করে। প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায় গর্ভাশয়ে ক্যানসারের শঙ্কা। এছাড়া পালং শাকে থাকা ক্যারটিনয়েড, নিওজ্যানথিন প্রস্টেট ক্যানসারের কোষকে মেরে ফেলে।
শুধু মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখা বা ক্যানসার প্রতিরোধই নয়, শরীরকে সুস্থ ও নীরোগ রাখতেও পালং শাকের জুড়ি নেই। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’, যা চোখের ভেতরের ও বাইরের অংশগুলোয় পুষ্টি জোগায়; অকাল অন্ধত্ব থেকে চোখকে রক্ষা করে।
এছাড়াও পালং শাকে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এটি মাতৃত্বকালীন ডায়াবেটিস থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
গর্ভস্থ শিশুর মেধা বিকাশেও এই শাকের গুরুত্ব অপরিসীম। ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, ও বি৬ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে পালং শাকে, যা চুল পড়া রোধ করে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।