এই দুনিয়ার এমন কিছু অবিশ্বাস্য জায়গা রয়েছে যা জানলে চমকে যাবেন !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৩:৪৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৩ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৭২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মানুষের মন অত্যন্ত ভ্রমণ পিপাসু। সুদূরের প্রতি তার টান কমে না কোনোদিনই। তাও যদি সেই জায়গা হয় অ’সাধারণ’। তেমনই কিছু অদ্ভুত জায়গার সন্ধান রইল আপনাদের জন্য। যা চোখে না দেখলে তাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে সন্দেহই জাগে।

দ্য গেটস টু হেল:

নরকের দরজা। তুর্কমেনিস্তানের এক অন্যতম আকর্ষণ এটি। প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎস ছিল একসময়। তারপরই আচমকাই মাটি ধসে যায় ওই জায়গায়। সেখান থেকে বেরতে থাকে বিষাক্ত মিথেন গ্যাস। সেই গ্যাস রুখতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বিজ্ঞানীরা। সেই থেকে দাউদাউ করে জ্বলছে ওই গ্যাসের জালা। এর ব্যাস ৬৯ মিটার। গভীরতা ৩০ মিটার। আপাতত এটি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। গত পাঁচ বছরে ৫০,০০০ পর্যটক গিয়েছে এই জায়গায়। আশেপাশে রয়েছে মরুভূমি।

ফ্লাই গেজার:

গ্রিন গেজারও বলা হয় একে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক নয়। মানুষের তৈরি একটি উষ্ণপ্রস্রবণ এটি। নাভেদায় ওয়াশো কাউন্টিতে অবস্থিত এই উষ্ণপ্রস্রবণ। ২০ মাইল জুড়ে রয়েছে এই আকর্ষণীয় জায়গা। ফ্লাই বাঁধের কাছে অবস্থিত এটি। উচ্চতায় পাঁচ ফুট। চওড়ায় ১২ ফুট।

ইটারনাল ফ্লেম ফলস:

একটি সুন্দর ঝর্ণা। যেখানে জল পড়ে চলেছে সমানে। তার ঠিক নিচেই জ্বলছে আগুন। এমন দৃশ্যও নাকি ইহজগতে দেখা সম্ভব! হ্যাঁ, এটাই দেখা যায় নিউ ইয়র্কের চেস্টনাট রিজ পার্কের একটি ঝর্ণায়। যার তলায় রয়েছে ছোট্ট একটি প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎস। যাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া সম্ভব। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হলে সারাবছর জ্বলতে পারে সেটি। আবার আগুন নিভিয়ে দেওয়াও যায়।

সালার দে তুনুপা:

বিশ্বের সবথেকে বড় লবণহ্রদ এটি। ১০, ৫৮২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে এটি। দক্ষিণ-পশ্চিম বলিভিয়ায় রয়েছে এই অদ্ভুত-সুন্দর জায়গাটি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩,৬৫৬ মিটার উঁচুতে। বিশ্বের মোট লিথিয়ামের ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পাওয়া যায় এখানে। মিটার মিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে আকারে সমতল নুনের স্তর। ঝকঝকে আকাশের স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি পড়ে এখানে।

ফিঙ্গালস কেভ:

এটি একটি সামুদ্রিক গুহা। স্কটল্যান্ডের স্টাফায় একটি দ্বীপে অবস্থিত এই গুহা। প্রকৃতির যে স্থাপত্য রয়েছে এই গুহায় সেটাই টানে পর্যটকদের। ন্যাচরাল নেচার রিসার্ভের আওতায় রয়েছে এটি। গুহায় ঢুকলেই প্রকৃতির অদ্ভুত কারুকার্যে চোখ আটকে যাবে।

ডাংসিয়া ল্যান্ডফর্ম: 

ঠিক মনে হয় কেউ যেন রঙ-তুলি দিয়ে এঁকেছে। চিনে দক্ষিণ-পূর্ব থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকা জুড়ে রয়েছে এই পার্বত্য এলাকা। মূল লালরঙের বালিপাথর দিয়ে তৈরি এটি। রয়েছে লাইমস্টোনও। এমন জায়গা যে বাস্তবে থাকা সম্ভব তা বিশ্বাসই করা যায় না। চিনের এই অদ্ভূত ল্যান্ডস্কেপ বহু পর্যটক টানতে যথেষ্ট।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

এই দুনিয়ার এমন কিছু অবিশ্বাস্য জায়গা রয়েছে যা জানলে চমকে যাবেন !

আপডেট সময় : ০৫:৫৩:৪৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৩ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মানুষের মন অত্যন্ত ভ্রমণ পিপাসু। সুদূরের প্রতি তার টান কমে না কোনোদিনই। তাও যদি সেই জায়গা হয় অ’সাধারণ’। তেমনই কিছু অদ্ভুত জায়গার সন্ধান রইল আপনাদের জন্য। যা চোখে না দেখলে তাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে সন্দেহই জাগে।

দ্য গেটস টু হেল:

নরকের দরজা। তুর্কমেনিস্তানের এক অন্যতম আকর্ষণ এটি। প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎস ছিল একসময়। তারপরই আচমকাই মাটি ধসে যায় ওই জায়গায়। সেখান থেকে বেরতে থাকে বিষাক্ত মিথেন গ্যাস। সেই গ্যাস রুখতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বিজ্ঞানীরা। সেই থেকে দাউদাউ করে জ্বলছে ওই গ্যাসের জালা। এর ব্যাস ৬৯ মিটার। গভীরতা ৩০ মিটার। আপাতত এটি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। গত পাঁচ বছরে ৫০,০০০ পর্যটক গিয়েছে এই জায়গায়। আশেপাশে রয়েছে মরুভূমি।

ফ্লাই গেজার:

গ্রিন গেজারও বলা হয় একে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক নয়। মানুষের তৈরি একটি উষ্ণপ্রস্রবণ এটি। নাভেদায় ওয়াশো কাউন্টিতে অবস্থিত এই উষ্ণপ্রস্রবণ। ২০ মাইল জুড়ে রয়েছে এই আকর্ষণীয় জায়গা। ফ্লাই বাঁধের কাছে অবস্থিত এটি। উচ্চতায় পাঁচ ফুট। চওড়ায় ১২ ফুট।

ইটারনাল ফ্লেম ফলস:

একটি সুন্দর ঝর্ণা। যেখানে জল পড়ে চলেছে সমানে। তার ঠিক নিচেই জ্বলছে আগুন। এমন দৃশ্যও নাকি ইহজগতে দেখা সম্ভব! হ্যাঁ, এটাই দেখা যায় নিউ ইয়র্কের চেস্টনাট রিজ পার্কের একটি ঝর্ণায়। যার তলায় রয়েছে ছোট্ট একটি প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎস। যাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া সম্ভব। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হলে সারাবছর জ্বলতে পারে সেটি। আবার আগুন নিভিয়ে দেওয়াও যায়।

সালার দে তুনুপা:

বিশ্বের সবথেকে বড় লবণহ্রদ এটি। ১০, ৫৮২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে এটি। দক্ষিণ-পশ্চিম বলিভিয়ায় রয়েছে এই অদ্ভুত-সুন্দর জায়গাটি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩,৬৫৬ মিটার উঁচুতে। বিশ্বের মোট লিথিয়ামের ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পাওয়া যায় এখানে। মিটার মিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে আকারে সমতল নুনের স্তর। ঝকঝকে আকাশের স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি পড়ে এখানে।

ফিঙ্গালস কেভ:

এটি একটি সামুদ্রিক গুহা। স্কটল্যান্ডের স্টাফায় একটি দ্বীপে অবস্থিত এই গুহা। প্রকৃতির যে স্থাপত্য রয়েছে এই গুহায় সেটাই টানে পর্যটকদের। ন্যাচরাল নেচার রিসার্ভের আওতায় রয়েছে এটি। গুহায় ঢুকলেই প্রকৃতির অদ্ভুত কারুকার্যে চোখ আটকে যাবে।

ডাংসিয়া ল্যান্ডফর্ম: 

ঠিক মনে হয় কেউ যেন রঙ-তুলি দিয়ে এঁকেছে। চিনে দক্ষিণ-পূর্ব থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকা জুড়ে রয়েছে এই পার্বত্য এলাকা। মূল লালরঙের বালিপাথর দিয়ে তৈরি এটি। রয়েছে লাইমস্টোনও। এমন জায়গা যে বাস্তবে থাকা সম্ভব তা বিশ্বাসই করা যায় না। চিনের এই অদ্ভূত ল্যান্ডস্কেপ বহু পর্যটক টানতে যথেষ্ট।