মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে

চসিক মেয়রের সহায়তা ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়: সিডিএ চেয়ারম্যান !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:১০:৩২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

চট্টগ্রাম সিটি মেয়রের সহযোগিতা ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয় মন্তব্য করে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেছেন, আগামি তিন বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা ও যানজটমুক্ত করা হবে। এ পরির্বতনের মাধ্যমে প্রকৃত পক্ষে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিণত হবে চট্টগ্রাম।

তাছাড়া চসিক, সিডিএ ও ওয়াসাসহ সকলের সমন্বয়ের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরবাসি পরিপূর্ণ যানজট এবং জলাবদ্ধতামুক্ত হলে ৫ বছরের মধ্যে বদলে যাবে চট্টগ্রামের চিত্রও।

গতকাল দুপুরে নগরীর একটি রেষ্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সাথে চট্টগ্রামের উন্নয়নসহ নানাবিধ বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে গত বুধবার জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ’র প্রস্তাবিত ৫ হাজার ৬’শ ১৬ কোটি টাকার ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন।

সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুছ ছালাম বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম সিটি মেয়রের (আজম নাছির উদ্দিন) সহায়তা প্রয়োজন। তার সহযোগিতা ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমার বিশ্বাস তিনি (মেয়র) মনেপ্রাণে সাপোর্ট দিবেন। এখনো উনার সঙ্গে কথা হয়নি। ওয়াসার এমডির সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন- এ প্রকল্প বাস্তবায়নে মেয়র সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।

তিনি আরো বলেন, তিনটি প্রকল্পের আওতায় ২৮টি খালের মুখে টাইডাল রেগুলেটর (জোয়ার প্রতিরোধক) স্থাপন করা হবে। এগুলোর কাজ শেষ হলে জোয়ারের পানি ঢুকে হালিশহর ও আগ্রাবাদে আর জলাবদ্ধতা হবে না। জোয়ারের পানিতে চাক্তাইয়ের পণ্যও নষ্ট হবে না। জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিক পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। তবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ বাস্তবায়নে আগামী বর্ষা মৌসুমের মধ্যে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে। এতে তিনবছরে জলাবদ্ধতামুক্ত হবে চট্টগ্রাম।

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতা ও যানজটমুক্ত, শিল্পবান্ধব নগরে পরিণত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, জিইসি মোড়ের লুপ নির্মাণ ছাড়া এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে মুরাদপুর-লালখান বাজার ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাবে। লুপ নির্মাণসহ ফ্লাইওভারটির পুরোপুরি কাজ এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে। আগামী অক্টোবরে লালখানবাজার-বিমানবন্দর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হবে। এই ফ্লাইওভারের উপর টাইগারপাস, আগ্রাবাদ, কাস্টমস, ইপিজেড ও কেইপিজেড এলাকায় বাস স্টপেজ থাকবে। ফ্লাইওভারে যাতে গণপরিবহন চলতে পারবে।

সিডিএ চেয়ারম্যান ছালাম আরো বলেন, ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বাইপাস সড়কের ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে এটি চালু হলে চট্টগ্রামের যানজট অর্ধেকে নেমে আসবে। পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত আউটার রিংরোডের কাজ ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ২০১৯ সালের মধ্যে আউটার রিংরোডের কাজ পুরোপুরি শেষ হবে। এখানে পাঁচ কিলোমিটারজুড়ে লোকজনের জন্য বিনোদন স্পট গড়ে তোলা হবে। আগামী পাঁচবছর পর চট্টগ্রাম প্রকৃত অর্থে বাণিজ্যিক রাজধানীতে রূপান্তর হবে। ফিরে পাবে তার হারানো গৌরব। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিডিএ’র বোর্ড সদস্য ও উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ নেতা জসিম উদ্দিন শাহ, কেবিএম শাহজাহান, জসিম উদ্দিন, স্থপতি সোহেল শাকুর, সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলাম খান ও উপ-সচিব অমল গুহ, সিডিএ চেয়ারম্যানের একান্ত সহকারি তারেক গণি প্রমুখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

চসিক মেয়রের সহায়তা ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়: সিডিএ চেয়ারম্যান !

আপডেট সময় : ০২:১০:৩২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

চট্টগ্রাম সিটি মেয়রের সহযোগিতা ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয় মন্তব্য করে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেছেন, আগামি তিন বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা ও যানজটমুক্ত করা হবে। এ পরির্বতনের মাধ্যমে প্রকৃত পক্ষে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিণত হবে চট্টগ্রাম।

তাছাড়া চসিক, সিডিএ ও ওয়াসাসহ সকলের সমন্বয়ের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরবাসি পরিপূর্ণ যানজট এবং জলাবদ্ধতামুক্ত হলে ৫ বছরের মধ্যে বদলে যাবে চট্টগ্রামের চিত্রও।

গতকাল দুপুরে নগরীর একটি রেষ্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সাথে চট্টগ্রামের উন্নয়নসহ নানাবিধ বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে গত বুধবার জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ’র প্রস্তাবিত ৫ হাজার ৬’শ ১৬ কোটি টাকার ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন।

সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুছ ছালাম বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম সিটি মেয়রের (আজম নাছির উদ্দিন) সহায়তা প্রয়োজন। তার সহযোগিতা ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমার বিশ্বাস তিনি (মেয়র) মনেপ্রাণে সাপোর্ট দিবেন। এখনো উনার সঙ্গে কথা হয়নি। ওয়াসার এমডির সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন- এ প্রকল্প বাস্তবায়নে মেয়র সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।

তিনি আরো বলেন, তিনটি প্রকল্পের আওতায় ২৮টি খালের মুখে টাইডাল রেগুলেটর (জোয়ার প্রতিরোধক) স্থাপন করা হবে। এগুলোর কাজ শেষ হলে জোয়ারের পানি ঢুকে হালিশহর ও আগ্রাবাদে আর জলাবদ্ধতা হবে না। জোয়ারের পানিতে চাক্তাইয়ের পণ্যও নষ্ট হবে না। জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিক পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। তবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ বাস্তবায়নে আগামী বর্ষা মৌসুমের মধ্যে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে। এতে তিনবছরে জলাবদ্ধতামুক্ত হবে চট্টগ্রাম।

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতা ও যানজটমুক্ত, শিল্পবান্ধব নগরে পরিণত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, জিইসি মোড়ের লুপ নির্মাণ ছাড়া এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে মুরাদপুর-লালখান বাজার ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাবে। লুপ নির্মাণসহ ফ্লাইওভারটির পুরোপুরি কাজ এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে। আগামী অক্টোবরে লালখানবাজার-বিমানবন্দর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হবে। এই ফ্লাইওভারের উপর টাইগারপাস, আগ্রাবাদ, কাস্টমস, ইপিজেড ও কেইপিজেড এলাকায় বাস স্টপেজ থাকবে। ফ্লাইওভারে যাতে গণপরিবহন চলতে পারবে।

সিডিএ চেয়ারম্যান ছালাম আরো বলেন, ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বাইপাস সড়কের ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে এটি চালু হলে চট্টগ্রামের যানজট অর্ধেকে নেমে আসবে। পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত আউটার রিংরোডের কাজ ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ২০১৯ সালের মধ্যে আউটার রিংরোডের কাজ পুরোপুরি শেষ হবে। এখানে পাঁচ কিলোমিটারজুড়ে লোকজনের জন্য বিনোদন স্পট গড়ে তোলা হবে। আগামী পাঁচবছর পর চট্টগ্রাম প্রকৃত অর্থে বাণিজ্যিক রাজধানীতে রূপান্তর হবে। ফিরে পাবে তার হারানো গৌরব। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিডিএ’র বোর্ড সদস্য ও উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ নেতা জসিম উদ্দিন শাহ, কেবিএম শাহজাহান, জসিম উদ্দিন, স্থপতি সোহেল শাকুর, সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলাম খান ও উপ-সচিব অমল গুহ, সিডিএ চেয়ারম্যানের একান্ত সহকারি তারেক গণি প্রমুখ।