নিউজ ডেস্ক:
কলকাতার হাওড়া স্টেশন কর্মব্যস্ত কত শত পা ছুটে চলছে! যে যার গন্তব্যে চলেছে। আর এই স্টেশন চত্বরেই পড়ে আছে এক শিশু। যাওয়া-আসার পথে অনেকেরই চোখ পড়ছে বাচ্চাটার দিকে। কিন্তু কেউ দাঁড়াচ্ছেন না সেখানে। আসলে এমন দৃশ্য দেখে তারা অভ্যস্ত। সকলেই ভেবেছেন, বাচ্চাটা স্টেশন নিবাসী গৃহহীন অসহায় কোনো পরিবারের সদস্য। আশপাশেই বুঝি রয়েছে ওর মা। কে জানবে, বাচ্চাটিকে ওখানে রেখেই চলে গেছে তার বাবা-মা। পরিত্যক্ত অবস্থায়, অসহায় ধুলোমাখা পৃথিবীতে, একা।
মাথার কাছে রাখা ফিডিং বোতল। পাশে রাখা আধখোলা ব্যাগ। সেখান থেকে উঁকি দিচ্ছে ডায়াপার। থেকে থেকে কেঁদে উঠছিল শিশুটি। হয়তো খিদে, কিংবা অন্য কিছু। কিন্তু কারও ভ্রুক্ষেপ ছিল না। ‘কারও’ বলতে মানুষের কথা বলা হচ্ছে। কারণ ওখানকার বাসিন্দা কুকুরগুলো কিন্তু ঠিকই বুঝে গিয়েছিল শিশুটি একেবারেই শিকড়ছেঁড়া, নিরাপত্তাহীন, পরিত্যক্ত। আর তাই তারা মানুষকে ‘লজ্জা’ দিয়ে ঘিরে রেখেছিল ছয় মাসের নিষ্পাপ প্রাণটিকে। যাতে শিশুটির কোনো ক্ষতি না হয়। একটি সংবাদমাধ্যমের সূত্রে সামনে এসেছে এই হৃদয়স্পর্শী ঘটনাটি।
পরে ফাঁকা হয়ে আসা প্ল্যাটফর্মে আরপিএফের এক কনস্টেবল বাচ্চাটির দিকে এগিয়ে যান। তিনিই খবর দেন আরপিএফের দফতরে। উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে পাঠানো হয় হাসপাতালে ও পরে চাইল্ড লাইনে।