শিরোনাম :
Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ 

কিশমিশের কিছু অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:২৮:৪৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০১৭
  • ৭৬০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

কিশমিশ এমনিতে খাওয়া হয় অনেক কম। সাধারণত রান্নার কাজে এটি বেশি ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় খাবারে কিশমিশ বেশ জনপ্রিয়। তবে অনেকের ধারণা শুধু কিশমিশ খাওয়া দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু এই ধারণাটি মোটেও সঠিক নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিশমিশ খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরী। প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস মুক্তি দিতে পারে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই কিশমিশের কিছু অসাধারন স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।

১. কিশমিশ কলেস্টোরলের সমস্যা কমায়
কিশমিশে খারাপ কোলেস্টরল রয়েছে ০%। এছাড়া কিশমিশের স্যলুবল ফাইবার খারাপ কোলেস্টরল দূর করে কোলেস্টরলের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। ১ কাপ কিশমিশ থেকে প্রায় ৪ গ্রাম পরিমাণে স্যলুবল ফাইবার পাওয়া যায়।

২. মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
কিশমিশে রয়েছে বোরন যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বোরন মনোযোগ বৃদ্ধিতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী একটি উপাদান। মাত্র ১০০ গ্রাম কিশমিশ থেকে প্রায় ২.২ মিলিগ্রাম বোরন পাওয়া সম্ভব।

৩. অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধান করে
কিশমিশের ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম আমাদের পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড যা অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করে তা দূর করতে সহায়তা করে।

৪. উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে
কিশমিশের পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত সোডিয়াম রক্ত থেকে দূর করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা প্রতিরোধ করে।

৫. দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা করে
অনেকে ভাবতে পারেন কিশমিশে চিনি রয়েছে যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু চিনির পাশাপাশি কিশমিশে রয়েছে ওলিনোলিক অ্যাসিড যা মুখের ভেতরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাঁধা দেয় এবং ক্যাভিটি প্রতিরোধে কাজ করে।

৬. চোখের সুরক্ষা করে
প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস বার্ধক্যজনিত চোখের সমস্যা সমাধান করে। কিশমিশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেলন ম্যাকুলার ডিগ্রেডেশন প্রতিরোধ করে চোখের সুরক্ষায় কাজ করে।

৭. রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করে
আমরা সকলেই জানি দেহে আয়রনের অভাবের কারণে রক্তস্বল্পতার সমস্যা শুরু হয়। কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। ১ কাপ কিশমিশে রয়েছে প্রায় ৬ মিলিগ্রাম আয়রন যা আমাদের দেহের প্রায় ১৭% আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম।

৮. কলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচাইতে বেশি কার্যকরী। মাত্র ১ টেবিল চামচ কিশমিশ আপনাকে প্রায় ১ গ্রাম পরিমাণ ফাইবার দিতে পারে। এছাড়াও কিশমিশের টারটারিক অ্যাসিড হজম সমস্যা দূর করে পরিপাকতন্ত্রের সুরক্ষা করে।

তবে, ডায়বেটিস রোগীদের কিশমিশ থেকে দূরে থাকাই ভালো।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান

কিশমিশের কিছু অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা !

আপডেট সময় : ০২:২৮:৪৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

কিশমিশ এমনিতে খাওয়া হয় অনেক কম। সাধারণত রান্নার কাজে এটি বেশি ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় খাবারে কিশমিশ বেশ জনপ্রিয়। তবে অনেকের ধারণা শুধু কিশমিশ খাওয়া দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু এই ধারণাটি মোটেও সঠিক নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিশমিশ খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরী। প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস মুক্তি দিতে পারে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই কিশমিশের কিছু অসাধারন স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।

১. কিশমিশ কলেস্টোরলের সমস্যা কমায়
কিশমিশে খারাপ কোলেস্টরল রয়েছে ০%। এছাড়া কিশমিশের স্যলুবল ফাইবার খারাপ কোলেস্টরল দূর করে কোলেস্টরলের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। ১ কাপ কিশমিশ থেকে প্রায় ৪ গ্রাম পরিমাণে স্যলুবল ফাইবার পাওয়া যায়।

২. মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
কিশমিশে রয়েছে বোরন যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বোরন মনোযোগ বৃদ্ধিতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী একটি উপাদান। মাত্র ১০০ গ্রাম কিশমিশ থেকে প্রায় ২.২ মিলিগ্রাম বোরন পাওয়া সম্ভব।

৩. অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধান করে
কিশমিশের ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম আমাদের পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড যা অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করে তা দূর করতে সহায়তা করে।

৪. উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে
কিশমিশের পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত সোডিয়াম রক্ত থেকে দূর করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা প্রতিরোধ করে।

৫. দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা করে
অনেকে ভাবতে পারেন কিশমিশে চিনি রয়েছে যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু চিনির পাশাপাশি কিশমিশে রয়েছে ওলিনোলিক অ্যাসিড যা মুখের ভেতরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাঁধা দেয় এবং ক্যাভিটি প্রতিরোধে কাজ করে।

৬. চোখের সুরক্ষা করে
প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস বার্ধক্যজনিত চোখের সমস্যা সমাধান করে। কিশমিশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেলন ম্যাকুলার ডিগ্রেডেশন প্রতিরোধ করে চোখের সুরক্ষায় কাজ করে।

৭. রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করে
আমরা সকলেই জানি দেহে আয়রনের অভাবের কারণে রক্তস্বল্পতার সমস্যা শুরু হয়। কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। ১ কাপ কিশমিশে রয়েছে প্রায় ৬ মিলিগ্রাম আয়রন যা আমাদের দেহের প্রায় ১৭% আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম।

৮. কলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচাইতে বেশি কার্যকরী। মাত্র ১ টেবিল চামচ কিশমিশ আপনাকে প্রায় ১ গ্রাম পরিমাণ ফাইবার দিতে পারে। এছাড়াও কিশমিশের টারটারিক অ্যাসিড হজম সমস্যা দূর করে পরিপাকতন্ত্রের সুরক্ষা করে।

তবে, ডায়বেটিস রোগীদের কিশমিশ থেকে দূরে থাকাই ভালো।