নিউজ ডেস্ক:
চিকুনগুনিয়া জ্বরে দেহের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যায়। জ্বরের সঙ্গে হাত পা ও কোমরের অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা, হাঁটাচলা করতে অসুবিধা, মাথাব্যথা, চোখ জ্বালা, গায়ে লাল লাল দানার মতো র্যাশ, বমি বমি ভাব দেখা দেয়। চিকুনগুনিয়া জ্বরের উপসর্গ নিরাময়ে ভেষজ দাওয়াই দিলেন তিব্বিয়া হাবিবিয়া কলেজর অধ্যক্ষ হাকীম ফেরদৌস ওয়াহিদ
- দুটি কাগজিলেবুর রস এক গ্লাস আখের গুড়ের শরবতে মিশিয়ে সকালে ও সন্ধ্যায় পান করলে চোখ জ্বালা ও বমি বমি ভাব দূর হবে।
- ছোট আনারস কুচি করে কেটে ব্লেন্ড করে সামান্য গোল মরিচ ও বিট লবণের গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে জ্বরে আরাম পাবেন এবং রুচি বাড়বে।
- জাম্বুরা ব্লেন্ড করে রস ছেঁকে বিট লবণ ও গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে জ্বর কমবে।
- তুলসী পাতার রস চার চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে দুবার চেটে খেলে ঠাণ্ডার কষ্ট কমবে।
- বাঙ্গি বীজ গুঁড়া পাঁচ গ্রাম, শসা বীজ গুঁড়া পাঁচ গ্রাম একত্রে ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে এরপর পাটায় পিষে গুলে দিনে দুবার পান করলে ব্যথা কমবে এবং আরাম পাওয়া যাবে।
- আফসানতীন পাঁচ গ্রাম দুই কাপ পানিতে ভিজিয়ে ১২ ঘণ্টা পর জ্বাল দিয়ে ছেঁকে সকালে ও সন্ধ্যায় পান করলে শরীরে ওঠা র্যাশ কমে যাবে।
- নিমের কচি পাতা পাঁচ গ্রাম সঙ্গে পাঁচটি গোলমরিচ মিশিয়ে পাটায় বেটে সকালে ও সন্ধ্যায় পান করলে পা ও কোমড়ে ব্যথায় আরাম পাওয়া যাবে।
- গুলঞ্চ লতা পাঁচ গ্রাম ছেঁচে রস করে সকালে ও সন্ধ্যায় খালি পেটে পান করলে জ্বর ও পায়ের ব্যথায় উপকার হবে।
- নাটাকরঞ্জ বীজের শাঁস তিন গ্রাম, গোলমরিচ পাঁচটি একত্রে পাটায় পিষে সকাল-সন্ধ্যা খেলে জ্বর ও ব্যথায় আরাম পাওয়া যাবে।
- জৈন পাঁচ গ্রাম, বাসক পাতা পাঁচ গ্রাম একত্রে পাটায় পিষে সকালে ও সন্ধ্যায় খেলে জ্বর, কোমর ও পা ব্যথায় আরাম হবে।
- চিরতা পাঁচ গ্রাম, আনীসুন পাঁচ গ্রাম একত্রে তিন কাপ গরম পানিতে ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে জ্বাল দিয়ে অর্ধেক হলে ছেঁকে হালকা গরম অবস্থায় সকালে ও পান করতে হবে। এতে চিকুনগুনিয়ায় সহ ভাইরাস জ্বর দ্রুত সেরে যাবে।