শিরোনাম :
Logo ঘাতকের বুলেটে সাভারের রাজপথে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন শিক্ষার্থী ইয়ামিন Logo পলাশবাড়ীতে ধানের শীর্ষ প্রতিকের পক্ষে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত Logo হাবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী ব্র‍্যাকনেট প্রেজেন্টস আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি সামার সিম্পোজিয়াম ২০২৫ Logo সাজিদের মৃত্যু ‘অস্বাভাবিক’ দাবি করে ইবি শিক্ষার্থীদের প্রেস কনফারেন্স Logo শেরপুরে ‘রূপসী শেরপুর’-এর মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন Logo জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত Logo খাগড়াছড়ির ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন Logo সাজিদের জানাজা সম্পন্ন, মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তদন্তের ঘোষণা Logo ঊচত এর দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

মারাত্মক লিভার ক্যান্সার ডেকে আনে বাঙালির যে প্রিয় খাবার !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৮:১৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

এক চিকিৎসকের পিতামাতা থাইল্যান্ডের স্থানীয় একটি খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে মারা যান। এই ঘটনার পর তিনি সেই বিপজ্জনক খাবারের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মারাত্মক লিভার ক্যান্সার তৈরি করতে পারে এই খাবারটি।

খাবারটির নাম কোই প্লা। কাঁচা মাছের কিমার সাথে বিভিন্ন মশলা, পাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি করা হয় ভর্তার মতো এই খাবারটি। থাইল্যান্ডের দরিদ্র এলাকা, ইসানে এই খাবারটি বেশি জনপ্রিয়। মিলিয়নেরও বেশি মানুষের মাঝে এই খাবারটি জনপ্রিয়।

এই খাবারটি বিপজ্জনক হবার পেছনে দায়ী মাছ নয়, বরং এসব মাছের ভেতরে থাকা কিছু পরজীবী কৃমি। এই খাবারটায় এই কৃমি এত বেশি থাকে যে ইসান এলাকায় লিভার ক্যান্সারের প্রবণতা অস্বাভাবিক রকমের বেশি। এই ক্যান্সার হলে তাতে বাঁচার সম্ভাবনাও খুব কম। এই খাবারটি এত ক্ষতিকর, যে এই এলাকায় যত ক্যান্সার ধরা পড়ে তার মাঝে ৫০ শতাংশই হলো লিভার ক্যান্সার। বছরে বিশ হাজারের মতো মানুষ মারা যায় এই খাবারটি খেয়ে।

নারং খুনতিকেও নামের এক ডাক্তারের পিতামাতা উভয়েই মারা যান এক ধরণের লিভার ক্যান্সার- বাইল ডাক্ট ক্যান্সারে (যার আরেক নাম কোলানজিওকার্সিনোমা)। এরপর তিনি লিভার সার্জন পেশা বেছে নেন। এখন তিনি কোই প্লা এর বিপদের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার সাথে একদল ডাক্তার, গবেষক এবং বিজ্ঞানী ইসান এলাকার গ্রামবাসীদের মাঝে আলট্রাসাউন্ড মেশিন এবং ইউরিন টেস্টের মাধ্যমে এই রোগ শনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই খাবার তৈরির মাছ আসে মেকং নদী থেকে, যেখানে ক্ষতিকর কৃমিটি বেশি পরিমাণে আছে। কাঁচা খাওয়া হয় বলে এই মাছ থেকে কৃমি চলে যায় মানুষের পেটে। একটা সময় কৃমির আধিক্যে লিভার ক্যান্সার দেখা দেয়। বেশিরভাগ মানুষ এই খাবারটি খাওয়ার বিপদের ব্যাপারে জানে না। কারণ এতে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধ মানুষ বেশি মারা যায় এবং তাদের তেমন কোনো চিকিৎসা হয় না। এই রোগ শনাক্ত করার পরীক্ষা করতেও সে এলাকার মানুষে অনীহা দেখা যায়। খাবারটি বিপজ্জনক হলেও তা ওই এলাকার ঐতিহ্যবাহী একটি পদ এবং অনেক বছর ধরে তা প্রচলিত। নিরাপত্তার জন্য এই খাবারটি তৈরির আগে মাছ ভেজে নিতে বলা হলেও তারা তা শুনতে রাজি না, কারণ তাতে এর স্বাদ পালটে যায়।

সূত্রঃ আইএফএল সায়েন্স

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঘাতকের বুলেটে সাভারের রাজপথে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন শিক্ষার্থী ইয়ামিন

মারাত্মক লিভার ক্যান্সার ডেকে আনে বাঙালির যে প্রিয় খাবার !

আপডেট সময় : ০৭:৩৮:১৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

এক চিকিৎসকের পিতামাতা থাইল্যান্ডের স্থানীয় একটি খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে মারা যান। এই ঘটনার পর তিনি সেই বিপজ্জনক খাবারের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মারাত্মক লিভার ক্যান্সার তৈরি করতে পারে এই খাবারটি।

খাবারটির নাম কোই প্লা। কাঁচা মাছের কিমার সাথে বিভিন্ন মশলা, পাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি করা হয় ভর্তার মতো এই খাবারটি। থাইল্যান্ডের দরিদ্র এলাকা, ইসানে এই খাবারটি বেশি জনপ্রিয়। মিলিয়নেরও বেশি মানুষের মাঝে এই খাবারটি জনপ্রিয়।

এই খাবারটি বিপজ্জনক হবার পেছনে দায়ী মাছ নয়, বরং এসব মাছের ভেতরে থাকা কিছু পরজীবী কৃমি। এই খাবারটায় এই কৃমি এত বেশি থাকে যে ইসান এলাকায় লিভার ক্যান্সারের প্রবণতা অস্বাভাবিক রকমের বেশি। এই ক্যান্সার হলে তাতে বাঁচার সম্ভাবনাও খুব কম। এই খাবারটি এত ক্ষতিকর, যে এই এলাকায় যত ক্যান্সার ধরা পড়ে তার মাঝে ৫০ শতাংশই হলো লিভার ক্যান্সার। বছরে বিশ হাজারের মতো মানুষ মারা যায় এই খাবারটি খেয়ে।

নারং খুনতিকেও নামের এক ডাক্তারের পিতামাতা উভয়েই মারা যান এক ধরণের লিভার ক্যান্সার- বাইল ডাক্ট ক্যান্সারে (যার আরেক নাম কোলানজিওকার্সিনোমা)। এরপর তিনি লিভার সার্জন পেশা বেছে নেন। এখন তিনি কোই প্লা এর বিপদের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার সাথে একদল ডাক্তার, গবেষক এবং বিজ্ঞানী ইসান এলাকার গ্রামবাসীদের মাঝে আলট্রাসাউন্ড মেশিন এবং ইউরিন টেস্টের মাধ্যমে এই রোগ শনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই খাবার তৈরির মাছ আসে মেকং নদী থেকে, যেখানে ক্ষতিকর কৃমিটি বেশি পরিমাণে আছে। কাঁচা খাওয়া হয় বলে এই মাছ থেকে কৃমি চলে যায় মানুষের পেটে। একটা সময় কৃমির আধিক্যে লিভার ক্যান্সার দেখা দেয়। বেশিরভাগ মানুষ এই খাবারটি খাওয়ার বিপদের ব্যাপারে জানে না। কারণ এতে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধ মানুষ বেশি মারা যায় এবং তাদের তেমন কোনো চিকিৎসা হয় না। এই রোগ শনাক্ত করার পরীক্ষা করতেও সে এলাকার মানুষে অনীহা দেখা যায়। খাবারটি বিপজ্জনক হলেও তা ওই এলাকার ঐতিহ্যবাহী একটি পদ এবং অনেক বছর ধরে তা প্রচলিত। নিরাপত্তার জন্য এই খাবারটি তৈরির আগে মাছ ভেজে নিতে বলা হলেও তারা তা শুনতে রাজি না, কারণ তাতে এর স্বাদ পালটে যায়।

সূত্রঃ আইএফএল সায়েন্স