শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ফল ও সবজিকে কীটনাশক থেকে মুক্ত রাখার উপায় !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৩৬:০৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বাজারের কেনা ফল থেকে শুরু করে শাকসবজি, বাড়িতে এনেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সামান্য পানি দিয়ে ধুয়েই খেয়ে ফেলি আমরা। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে খাবার খেয়ে থাকি তাতে প্রচুর পরিমানে কীটনাশক থেকে শুরু করে সারের স্তর যুক্ত থাকে। যা সামান্য পরিমান পানি দিয়ে ধুলে কখনোই যায় না। এর ফলে আপনার অজান্তেই বিভিন্ন রোগ খুব সহজেই আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। তাই এই সম্পর্কিত কিছু মূল্যবান পরামর্শ নিয়ে আলোচনা করা হল, যা মেনে চললে খুব সহজেই আপনি রোগ মুক্ত জীবন কাটাতে পারবেন-

১। ফল ও শাকসবজি ধোওয়ার নিয়ম-

খুব হালকা ভাবে পরিস্কার পানি দিয়ে ভালো করে ফল এবং শাকসবজি ধুয়ে কাটা উচিত। পানি দিয়ে ধোয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে খুব কচলে তা ধোয়া না হয়। কোমল ভাবে প্রায় মিনিট কয়েক ধুয়ে তারপর তা আপনি সহজেই খেতে পারবেন। শাকসবজি এবং আলুতে স্যাপোডিলা নামক ময়লা থাকে। যা পেটের বিভিন্ন সমস্যা করে থাকে। তাই এ প্রকার ময়লাকে খুব সহজেই আপনি ধুয়ে পরিস্কার করে রান্নার উপযুক্ত করতে পারবেন।
২। লবণ পানিতে শাকসবজি ভিজিয়ে রাখুন-

আমরা সকলেই জানি যে লবণ যে কোনোও বিষাক্ত জীবানুকে বিনষ্ট করতে সাহায্য করে। বাজারের কেনা শাকসজিতেও তার কোনোও ব্যতিক্রম নেই। গবেষকদের মতে লবন জলে শাকসবজি ধুলে অথবা রান্নাতে স্বাদ অনুসারে লবনের ব্যাবহারে সবজিতে থাকা সারের এবং কীটনাশকের স্তর বিনষ্ট হয়ে যায়।

৩। ব্লানচিং পদ্ধতিতে রান্না-

এটি একটি ফরাসি প্রক্রিয়াতে রান্না। যেই পদ্ধতিতে আপনি ভালো করে বয়েলিং এর মাধ্যমে আপনার রান্নাকরা শাকসবজি গুলোকে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করতে পারবেন।

৪। লেবুর রসে রয়েছে জীবানুকে ধ্বংস করার শক্তি-

লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড। যা খুব সহজেই ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে৷ ফল বা সবজি ধোঁয়ার সময় আপনি অর্ধেক টুকরো লেবু কেটে, তার রস মাখিয়ে রেখে ধুয়ে নিলে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত ফল ও শাকসবজি পাবেন আপনি খুব সহজেই।

৫। পিলিং এর মাধ্যমে-

পিলিং এর ফলে ফল ও সবজির গুনগত মান কমলেও তাতে থাকা কীটনাশক ও সারের স্তর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যার ফলে আপনি রোগের হাত থেকে খুব সহজেই নিজেকে দূরে করাখতে পারবেন।

৬। মোমের প্রলেপ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়-

বাজারে বিক্রি হওয়া বেশির ভাগ ফলের মধ্যেই থাকে মোমের প্রলেপ। যা খালি চোখে খুব সহজেই ধরা পরে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপেল, নাশপাতিতে বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাই এই ধরণের ফলের গায়ে ছুঁরি বা নখ দিয়ে আঁচরের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে তা মোম মুক্ত কিনা।

৭। হোয়াইট ভিনেগার সমাধানের উপায়-

১০ শতাংশ নেনিগার এবং ৯০ শতাংশ পানি এক সঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রন তৈরী করুণ। তারপর তাতে ১৫ থকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন বাজার থেকে নিয়ে আসা শাকসবজি থেকে শুরু করে ফল। এর ফলে খুব সহজেই কীটনাশক এবং ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করতে পারবেন ফল ও সবজি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে

ফল ও সবজিকে কীটনাশক থেকে মুক্ত রাখার উপায় !

আপডেট সময় : ১২:৩৬:০৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বাজারের কেনা ফল থেকে শুরু করে শাকসবজি, বাড়িতে এনেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সামান্য পানি দিয়ে ধুয়েই খেয়ে ফেলি আমরা। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে খাবার খেয়ে থাকি তাতে প্রচুর পরিমানে কীটনাশক থেকে শুরু করে সারের স্তর যুক্ত থাকে। যা সামান্য পরিমান পানি দিয়ে ধুলে কখনোই যায় না। এর ফলে আপনার অজান্তেই বিভিন্ন রোগ খুব সহজেই আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। তাই এই সম্পর্কিত কিছু মূল্যবান পরামর্শ নিয়ে আলোচনা করা হল, যা মেনে চললে খুব সহজেই আপনি রোগ মুক্ত জীবন কাটাতে পারবেন-

১। ফল ও শাকসবজি ধোওয়ার নিয়ম-

খুব হালকা ভাবে পরিস্কার পানি দিয়ে ভালো করে ফল এবং শাকসবজি ধুয়ে কাটা উচিত। পানি দিয়ে ধোয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে খুব কচলে তা ধোয়া না হয়। কোমল ভাবে প্রায় মিনিট কয়েক ধুয়ে তারপর তা আপনি সহজেই খেতে পারবেন। শাকসবজি এবং আলুতে স্যাপোডিলা নামক ময়লা থাকে। যা পেটের বিভিন্ন সমস্যা করে থাকে। তাই এ প্রকার ময়লাকে খুব সহজেই আপনি ধুয়ে পরিস্কার করে রান্নার উপযুক্ত করতে পারবেন।
২। লবণ পানিতে শাকসবজি ভিজিয়ে রাখুন-

আমরা সকলেই জানি যে লবণ যে কোনোও বিষাক্ত জীবানুকে বিনষ্ট করতে সাহায্য করে। বাজারের কেনা শাকসজিতেও তার কোনোও ব্যতিক্রম নেই। গবেষকদের মতে লবন জলে শাকসবজি ধুলে অথবা রান্নাতে স্বাদ অনুসারে লবনের ব্যাবহারে সবজিতে থাকা সারের এবং কীটনাশকের স্তর বিনষ্ট হয়ে যায়।

৩। ব্লানচিং পদ্ধতিতে রান্না-

এটি একটি ফরাসি প্রক্রিয়াতে রান্না। যেই পদ্ধতিতে আপনি ভালো করে বয়েলিং এর মাধ্যমে আপনার রান্নাকরা শাকসবজি গুলোকে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করতে পারবেন।

৪। লেবুর রসে রয়েছে জীবানুকে ধ্বংস করার শক্তি-

লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড। যা খুব সহজেই ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে৷ ফল বা সবজি ধোঁয়ার সময় আপনি অর্ধেক টুকরো লেবু কেটে, তার রস মাখিয়ে রেখে ধুয়ে নিলে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত ফল ও শাকসবজি পাবেন আপনি খুব সহজেই।

৫। পিলিং এর মাধ্যমে-

পিলিং এর ফলে ফল ও সবজির গুনগত মান কমলেও তাতে থাকা কীটনাশক ও সারের স্তর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যার ফলে আপনি রোগের হাত থেকে খুব সহজেই নিজেকে দূরে করাখতে পারবেন।

৬। মোমের প্রলেপ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়-

বাজারে বিক্রি হওয়া বেশির ভাগ ফলের মধ্যেই থাকে মোমের প্রলেপ। যা খালি চোখে খুব সহজেই ধরা পরে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপেল, নাশপাতিতে বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাই এই ধরণের ফলের গায়ে ছুঁরি বা নখ দিয়ে আঁচরের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে তা মোম মুক্ত কিনা।

৭। হোয়াইট ভিনেগার সমাধানের উপায়-

১০ শতাংশ নেনিগার এবং ৯০ শতাংশ পানি এক সঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রন তৈরী করুণ। তারপর তাতে ১৫ থকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন বাজার থেকে নিয়ে আসা শাকসবজি থেকে শুরু করে ফল। এর ফলে খুব সহজেই কীটনাশক এবং ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করতে পারবেন ফল ও সবজি।