শিরোনাম :
Logo ৭৮ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে চাঁদপুর এলজিইডির অবহিতকরন সভা Logo পিয়াস আফ্রিদির উদ্যোগে চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের পথচলা Logo প্রান্তিক মানুষের আস্থার নাম সরাইলকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিক Logo ইবিতে সিরাতুন নবি (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী Logo ইবি ক্যাম্পাসে তালিকাভুক্ত নয় এমন  সংগঠনের সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা Logo সুন্দরবনের বিনা পাশে প্রবেশ করায় তিন জেলা কটক  Logo খুবি রিসার্চ সোসাইটির নতুন নেতৃত্বে বকসী-গৌর Logo চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক Logo কাল চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo খানপুর ইয়ং স্টার ক্লাবের উদ্যোগে আট দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঈদ ফ্যাশনে পালাজ্জো !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৩৪:০৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ জুন ২০১৭
  • ৭৬৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ফ্যাশনে মেয়েদের পোশাকে বৈচিত্র্য এবং নতুনত্ব সবসময়ই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর তা যদি কোনো উৎসবকে সামনে রেখে হয়, তাহলেতো সেটা আরো বড় ব্যাপার।

তবে ফ্যাশনের আরো একটি বড় এবং মজার ব্যাপার হলো, তাতে ঘুরে ফিরে চলে আসে পুরোনো কোনো ঢং। আর তাইতো সত্তর-আশির দশকের বেলবটম প্যান্টের কথা মনে পড়ে যেতে পারে বর্তমান সময়ের পালাজ্জো দেখে।

হ্যাঁ, পালাজ্জো হয়তো বর্তমান সময়ের ফ্যাশনে নতুন কিছু নয়, তবে তার ডিজাইন আর স্টাইলে নিত্য নতুন যে সকল পরিবর্তন আসছে, তাতে তাকে নতুন না বলেও উপায় থাকে না।

পালাজ্জো নতুন কোনো ফ্যাশন নয়। আমাদের দেশে আগে বেলবটম প্যান্ট ছিল। মাঝে ছিল ডিভাইডার সালোয়ারের প্রচলন। এখন পাশ্চাত্য ফ্যাশনের অনুকরণে আবারো এসেছে ঢোলা প্যান্টের চল, একটু অন্যভাবে পালাজ্জো নামে। গরমে পরার জন্য এই ঢোলা প্যান্ট খুবই আরামদায়ক। আর তার থেকেও বড় কথা, যেকোনো স্টাইলিস পোশাকের সঙ্গে খুব সহজেই মানিয়ে যায় পালাজ্জো। বাড়িয়ে তোলে সৌন্দর্য্যও।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এবারের ঈদে অনান্য পোশাকের সঙ্গে পালাজ্জোর প্রচলনটাই সবচেয়ে বেশি। শর্ট কামিজ, মিড লং বা লং কামিজ দিয়ে পরার জন্য পালাজ্জো রয়েছে নারীদের প্রথম পছন্দে। নকশা করা বা প্রিন্টেড পালাজ্জোর সঙ্গে একরঙা টপস, আর একরঙা পালাজ্জোর সঙ্গে নকশাদার জামা পরলে মানায় ভালো। কামিজ ছাড়াও ফতুয়া, অল্প ঢোলা বা ফিটেড শার্টের সঙ্গেও পালাজ্জো ভালো যায়। প্রিন্টেড টপস ইন করেও পালাজ্জো পরতে পারেন।

শুরুতে লং কামিজের সঙ্গে একরঙা পালাজ্জো ফ্যাশন ট্রেন্ড থাকলেও এবার তা বদলেছে। এই ঈদে ডিজাইন হিসেবে কোমরে কুঁচিওয়ালা বা কুঁচিবিহীন দুই ধরনের পালাজ্জোই রয়েছে বাজারে। অনেকে পালাজ্জো পরতে চাইলেও লং কামিজ পরতে চায় না। তাদের জন্য এবার পালাজ্জোর ধরন ও কাটেও এসেছে ভিন্নতা।

এ ব্যপারে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের দীপ্তি মণি ফ্যাশন হাউজের ডিজাইনার দীপ্ত চন্দ্র জানান, এখন পালাজ্জো কিংবা প্যান্টে একসঙ্গে বিভিন্ন কাট দেখা যাচ্ছে। রয়েছে পেনসিল প্যান্ট, সিগারেট প্যান্ট, চাপা ও লম্বায় ছোট কাটের পালাজ্জো, স্কিনি জিনস, স্কিনি ক্যাজ্যুয়াল প্যান্ট, স্কার্ট প্যান্টের সমারোহ। চাপা কিংবা গোড়ালি থেকে একটু উঁচু প্যান্টের নকশায় থাকছে ভিন্নতা। আগে কয়েকটি রঙ থাকলেও এখন মেয়েদের প্যান্টে নীল, আসমানি, কালো, লাল, গোলাপি, সবুজ, বেগুনিসহ নানা রকম রঙ দেখা যাবে।

বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে লিনেন, নরম সুতি, নিটওয়্যার দিয়ে তৈরি পালাজ্জোর নিচের ঝুলটা। নিচের দিকে ত্রিভুজের মতো কাট এসেছে। যোগ হচ্ছে লেইস ও সুতার কাজ।

পালাজ্জোতে প্রিন্টের কাপড়ও ব্যবহার করা হচ্ছে। এক রঙয়ের কিংবা প্রিন্টের পালাজ্জোর ওপর হাতের কাজ, মেশিন এমব্রয়ডারিসহ নানা ধরনের কাজ যোগ করে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে এবারের ঈদের ট্রেন্ডে।

এক রঙার চাইতে প্রিন্টেড পালাজ্জোর দাম একটু বেশি। কাটছাঁট আর কাপড়ের ধরনের কারণে পালাজ্জোর দাম একেক জায়গায় একেক রকম। ৪০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে পালাজ্জো পাওয়া যাবে ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

৭৮ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে চাঁদপুর এলজিইডির অবহিতকরন সভা

ঈদ ফ্যাশনে পালাজ্জো !

আপডেট সময় : ১২:৩৪:০৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ফ্যাশনে মেয়েদের পোশাকে বৈচিত্র্য এবং নতুনত্ব সবসময়ই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর তা যদি কোনো উৎসবকে সামনে রেখে হয়, তাহলেতো সেটা আরো বড় ব্যাপার।

তবে ফ্যাশনের আরো একটি বড় এবং মজার ব্যাপার হলো, তাতে ঘুরে ফিরে চলে আসে পুরোনো কোনো ঢং। আর তাইতো সত্তর-আশির দশকের বেলবটম প্যান্টের কথা মনে পড়ে যেতে পারে বর্তমান সময়ের পালাজ্জো দেখে।

হ্যাঁ, পালাজ্জো হয়তো বর্তমান সময়ের ফ্যাশনে নতুন কিছু নয়, তবে তার ডিজাইন আর স্টাইলে নিত্য নতুন যে সকল পরিবর্তন আসছে, তাতে তাকে নতুন না বলেও উপায় থাকে না।

পালাজ্জো নতুন কোনো ফ্যাশন নয়। আমাদের দেশে আগে বেলবটম প্যান্ট ছিল। মাঝে ছিল ডিভাইডার সালোয়ারের প্রচলন। এখন পাশ্চাত্য ফ্যাশনের অনুকরণে আবারো এসেছে ঢোলা প্যান্টের চল, একটু অন্যভাবে পালাজ্জো নামে। গরমে পরার জন্য এই ঢোলা প্যান্ট খুবই আরামদায়ক। আর তার থেকেও বড় কথা, যেকোনো স্টাইলিস পোশাকের সঙ্গে খুব সহজেই মানিয়ে যায় পালাজ্জো। বাড়িয়ে তোলে সৌন্দর্য্যও।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এবারের ঈদে অনান্য পোশাকের সঙ্গে পালাজ্জোর প্রচলনটাই সবচেয়ে বেশি। শর্ট কামিজ, মিড লং বা লং কামিজ দিয়ে পরার জন্য পালাজ্জো রয়েছে নারীদের প্রথম পছন্দে। নকশা করা বা প্রিন্টেড পালাজ্জোর সঙ্গে একরঙা টপস, আর একরঙা পালাজ্জোর সঙ্গে নকশাদার জামা পরলে মানায় ভালো। কামিজ ছাড়াও ফতুয়া, অল্প ঢোলা বা ফিটেড শার্টের সঙ্গেও পালাজ্জো ভালো যায়। প্রিন্টেড টপস ইন করেও পালাজ্জো পরতে পারেন।

শুরুতে লং কামিজের সঙ্গে একরঙা পালাজ্জো ফ্যাশন ট্রেন্ড থাকলেও এবার তা বদলেছে। এই ঈদে ডিজাইন হিসেবে কোমরে কুঁচিওয়ালা বা কুঁচিবিহীন দুই ধরনের পালাজ্জোই রয়েছে বাজারে। অনেকে পালাজ্জো পরতে চাইলেও লং কামিজ পরতে চায় না। তাদের জন্য এবার পালাজ্জোর ধরন ও কাটেও এসেছে ভিন্নতা।

এ ব্যপারে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের দীপ্তি মণি ফ্যাশন হাউজের ডিজাইনার দীপ্ত চন্দ্র জানান, এখন পালাজ্জো কিংবা প্যান্টে একসঙ্গে বিভিন্ন কাট দেখা যাচ্ছে। রয়েছে পেনসিল প্যান্ট, সিগারেট প্যান্ট, চাপা ও লম্বায় ছোট কাটের পালাজ্জো, স্কিনি জিনস, স্কিনি ক্যাজ্যুয়াল প্যান্ট, স্কার্ট প্যান্টের সমারোহ। চাপা কিংবা গোড়ালি থেকে একটু উঁচু প্যান্টের নকশায় থাকছে ভিন্নতা। আগে কয়েকটি রঙ থাকলেও এখন মেয়েদের প্যান্টে নীল, আসমানি, কালো, লাল, গোলাপি, সবুজ, বেগুনিসহ নানা রকম রঙ দেখা যাবে।

বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে লিনেন, নরম সুতি, নিটওয়্যার দিয়ে তৈরি পালাজ্জোর নিচের ঝুলটা। নিচের দিকে ত্রিভুজের মতো কাট এসেছে। যোগ হচ্ছে লেইস ও সুতার কাজ।

পালাজ্জোতে প্রিন্টের কাপড়ও ব্যবহার করা হচ্ছে। এক রঙয়ের কিংবা প্রিন্টের পালাজ্জোর ওপর হাতের কাজ, মেশিন এমব্রয়ডারিসহ নানা ধরনের কাজ যোগ করে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে এবারের ঈদের ট্রেন্ডে।

এক রঙার চাইতে প্রিন্টেড পালাজ্জোর দাম একটু বেশি। কাটছাঁট আর কাপড়ের ধরনের কারণে পালাজ্জোর দাম একেক জায়গায় একেক রকম। ৪০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে পালাজ্জো পাওয়া যাবে ।