শিরোনাম :
Logo ঘাতকের বুলেটে সাভারের রাজপথে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন শিক্ষার্থী ইয়ামিন Logo পলাশবাড়ীতে ধানের শীর্ষ প্রতিকের পক্ষে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত Logo হাবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী ব্র‍্যাকনেট প্রেজেন্টস আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি সামার সিম্পোজিয়াম ২০২৫ Logo সাজিদের মৃত্যু ‘অস্বাভাবিক’ দাবি করে ইবি শিক্ষার্থীদের প্রেস কনফারেন্স Logo শেরপুরে ‘রূপসী শেরপুর’-এর মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন Logo জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত Logo খাগড়াছড়ির ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন Logo সাজিদের জানাজা সম্পন্ন, মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তদন্তের ঘোষণা Logo ঊচত এর দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

জলাবদ্ধতা সমাধানযোগ্য সমস্যা : মেয়র !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:৪৭:০৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০১৭
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, জলাবদ্ধতা সমাধান যোগ্য সমস্যা। তবে এর জন্য দরকার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। একই সঙ্গে নগরবাসীকেও এ ব্যাপারে সচেতনতার পরিচয় দিতে হবে। চসিক খাল, নালা-নর্দমা ও ড্রেন পরিস্কার করবে। কিন্তু নগরবাসী যদি দায়িত্বশীলতার পরিচয় না দেন, নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য না ফেলে ড্রেন, নালা-নর্দমায় ফেলে, তাহলে তো সেখান দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারবে না। তখন তো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবেই।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবুল হোসেন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার, সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, এন টিভির ব্যুরো প্রধান শামসুল হক হায়দারি, চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা শারমিন, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক প্রমুখ।

সিটি মেয়র বলেন, আস্তে আস্তে জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে আনা হচ্ছে। গত  দুই বছর আমরা প্রবর্তক মোড়, বাকলিয়া, শুলকবহর, ষোলশহরসহ বেশ কিছু জায়গায় পরিকল্পনা করে ড্রেন-নালা সংস্কার, সড়ক উঁচু করার কাজ করেছি। এ বছর সেখানে জলাবদ্ধতা হয়নি। বর্তমানে ৮৮৪ কোটি টাকার আরেকটি উন্নয়ন প্রকল্প একনেকে পাশ হওয়ার অপেক্ষায় আছে। এ প্রকল্পের আওতায় এক্সেস রোড, পোর্ট কানেকটিক রোড, হালিশহর ও পতেঙ্গার একাধিক সড়ক সংস্কার করা হবে। আমরা আশা করছি, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আগামী বর্ষায় এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা হবে না।
আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম বছরে বিলবোর্ড অপসারণকে যদি আমার চ্যালেঞ্জ হয়, তাহলে দ্বিতীয় বছরে আমার চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ফুটপাত ও সড়ক হকার মুক্ত করা। তাই আগামী ১ জুলাইয়ের পর সড়ক-ফুটপাতে আর কোনো হকার থাকবে না। তারা নির্দিষ্ট পরিচয়পত্রের মাধ্যমে, নির্দিষ্ট স্থানে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত থাকবে। আগামী ২৫ জুলাই আমার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি। ২৬ জুলাই আমরা বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। ওই অনুষ্ঠানের আগেই আমি নগরবাসীকে হকার মুক্ত ফুটপাত উপহার দিতে চাই।

ভেজাল বিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে প্রতিষ্ঠানকে পর পর তিনবার জরিমানা করা হবে আগামীতে তাদের সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স নবায়ন করতে দেওয়া হবে না। আমরা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কারণ যেসব বড় বড় প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হচ্ছে, সে সব প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা ছিল। কিন্তু অভিযানের মাধ্যমে আমরা যা দেখছি তা অত্যন্ত দুঃখজনক।

যানজট প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন, নানা কারণে যাজনট হচ্ছে। তবে প্রথম দফায় আমরা নগরের ভ্যান গাড়িগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করব। রিক্সার লাইসেন্সের পর এবার আমরা ভ্যান গাড়িগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনব।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঘাতকের বুলেটে সাভারের রাজপথে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন শিক্ষার্থী ইয়ামিন

জলাবদ্ধতা সমাধানযোগ্য সমস্যা : মেয়র !

আপডেট সময় : ০২:৪৭:০৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, জলাবদ্ধতা সমাধান যোগ্য সমস্যা। তবে এর জন্য দরকার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। একই সঙ্গে নগরবাসীকেও এ ব্যাপারে সচেতনতার পরিচয় দিতে হবে। চসিক খাল, নালা-নর্দমা ও ড্রেন পরিস্কার করবে। কিন্তু নগরবাসী যদি দায়িত্বশীলতার পরিচয় না দেন, নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য না ফেলে ড্রেন, নালা-নর্দমায় ফেলে, তাহলে তো সেখান দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারবে না। তখন তো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবেই।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবুল হোসেন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার, সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, এন টিভির ব্যুরো প্রধান শামসুল হক হায়দারি, চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা শারমিন, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক প্রমুখ।

সিটি মেয়র বলেন, আস্তে আস্তে জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে আনা হচ্ছে। গত  দুই বছর আমরা প্রবর্তক মোড়, বাকলিয়া, শুলকবহর, ষোলশহরসহ বেশ কিছু জায়গায় পরিকল্পনা করে ড্রেন-নালা সংস্কার, সড়ক উঁচু করার কাজ করেছি। এ বছর সেখানে জলাবদ্ধতা হয়নি। বর্তমানে ৮৮৪ কোটি টাকার আরেকটি উন্নয়ন প্রকল্প একনেকে পাশ হওয়ার অপেক্ষায় আছে। এ প্রকল্পের আওতায় এক্সেস রোড, পোর্ট কানেকটিক রোড, হালিশহর ও পতেঙ্গার একাধিক সড়ক সংস্কার করা হবে। আমরা আশা করছি, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আগামী বর্ষায় এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা হবে না।
আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম বছরে বিলবোর্ড অপসারণকে যদি আমার চ্যালেঞ্জ হয়, তাহলে দ্বিতীয় বছরে আমার চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ফুটপাত ও সড়ক হকার মুক্ত করা। তাই আগামী ১ জুলাইয়ের পর সড়ক-ফুটপাতে আর কোনো হকার থাকবে না। তারা নির্দিষ্ট পরিচয়পত্রের মাধ্যমে, নির্দিষ্ট স্থানে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত থাকবে। আগামী ২৫ জুলাই আমার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি। ২৬ জুলাই আমরা বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। ওই অনুষ্ঠানের আগেই আমি নগরবাসীকে হকার মুক্ত ফুটপাত উপহার দিতে চাই।

ভেজাল বিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে প্রতিষ্ঠানকে পর পর তিনবার জরিমানা করা হবে আগামীতে তাদের সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স নবায়ন করতে দেওয়া হবে না। আমরা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কারণ যেসব বড় বড় প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হচ্ছে, সে সব প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা ছিল। কিন্তু অভিযানের মাধ্যমে আমরা যা দেখছি তা অত্যন্ত দুঃখজনক।

যানজট প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন, নানা কারণে যাজনট হচ্ছে। তবে প্রথম দফায় আমরা নগরের ভ্যান গাড়িগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করব। রিক্সার লাইসেন্সের পর এবার আমরা ভ্যান গাড়িগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনব।