এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি– প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৬তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সবাইকে হারিয়ে দীর্ঘ পরবাস জীবন শেষে অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও এদেশের মাটি ও মানুষের টানে দেশে ফিরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই থেকে আজ অবধি দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এখন সবার কাজ হবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করা। যতদিন এই দেশে এই প্রকৃতি বেঁচে থাকবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো দক্ষতা ও সৃজনশীলতার জন্য শেখ হাসিনাও বেঁচে থাকবেন। বক্তারা বলেন, বিএনপি নাকি ভিশন ২০৩০ ঘোষণার পর অনেক চাঙ্গা হয়েছে। আমরা মনে করি ভেতরে ভেতরে আরো ফাটল ধরেছে। তার প্রমাণ সারাদেশে বিএনপির ধাওয়া পালটা ধাওয়া দেখেই বোঝা যায়। তারা বলছে-বিএনপিকে ভাঙার জন্য আওয়ামী লীগ ইন্দন দিচ্ছে। কিন্তু তাদের দলের যে অবস্থা এতে ইন্ধনের প্রয়োজন পড়েনা। তারা নিজেরাই ভেঙে পড়ছে। আর আওয়ামী লীগ নিজেদের ভেতরে ঐক্য নিয়ে কাজ করছে। ঐক্যই আওয়ামী লীগের শক্তি। বক্তারা বলেন, বাংলার ১৬ কোটি মানুষের আজ কেউই না খেয়ে থাকে না। মানুষ শেখ হাসিনার মাধ্যমে তাদের অধিকার খুঁজে পেয়েছে। আমাদের আদর্শ হলো বঙ্গবন্ধু-আর আমাদের নেত্রী হলো শেখ হাসিনা। আমরা কোন ভাইয়ের রাজনীতি করি না। আগামী সাধারণ নির্বাচনে সকল ভেদাভেদ ভুলে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে সবাইকে একই ছাতার তলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
গত ১৭ মে বুধবার সন্ধ্যায় বাসুনিয়াপট্টিস্থ দলীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ আলাউদ্দীনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজিজুল ইমাম চৌধুরী। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেলের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বজলুল হক, শিক্ষা ও মানব উন্নয়ন সম্পাদক কামরুল হুদা হেলাল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ আব্দুল করিম, বন ও পরিবেশ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম তারিক, দপ্তর সম্পাদক সেলিম আখতার চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন, উপদেষ্টা নূরসাবা হোসেন, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম খালেকুজ্জামান রাজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার দে, জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন মুন্না, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী যুবনেতা রবিউল ইসলাম রবু, হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম প্রমূখ।