নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ গ্লুকোমা রোগে আক্রান্ত। এই রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে ৪০ বছর বয়স থেকে চক্ষু পরীক্ষার সঙ্গে গ্লুকোমা রোগের পরীক্ষাও করতে হয়।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটির ৭ম বার্ষিক জাতীয় সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
দিনব্যাপী এই সম্মেলনে শতাধিক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয় যাতে দেশ-বিদেশের প্রায় সাড়ে ৪০০ চক্ষুবিশেষজ্ঞ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, যে কোনো বয়সে চোখে গ্লুকোমা হতে পারে। এটা চোখের এক জটিল রোগ যা অনিবারণযোগ্য অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারণ। গ্লুকোমার প্রাথমিক কোনো উপসর্গ থাকে না। তবে এটি ধীরে ধীরে ও নীরবে মানুষের দৃষ্টিশক্তি ধ্বংস করে দেয়।
সকালে সম্মেলনের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, বিজ্ঞান ও রাজনীতি এক নয় তবে বিজ্ঞান এগিয়ে গেছে অনেক দূর। তিনি আচ্ছন্নকারী রোগ ছানি, গ্লুকোমা, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও গ্লুকোমা বিশেষজ্ঞদের প্রতি আহ্বান জানান।
সন্ধ্যার অধিবেশনে ‘গ্লুকোমা বাংলা’ নামে অ্যাপ্লিকেশন উদ্বোধন করা হয়। এই অ্যাপ্লিকেশনের লেখক বিশিষ্ট গ্লুকোমা বিশেষজ্ঞ, এশিয়া প্যাসিফিক গ্লুকোমা সোসাইটির কার্যনির্বাহী বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এম. নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলা ভাষায় লিখিত এই অ্যাপ্লিকেশনটি যে কেউ গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে অথবা goo.gl/tkdEGL ঠিকানায় গিয়ে ডাউনলোড করে নিতে পারবে। এতে বাংলা ভাষায় গ্লুকোমা রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।
সম্মলনে বক্তারা বলেন, গ্লুকোমা রোগের সমস্যা হচ্ছে একবার অন্ধ হয়ে গেলে আর ভালো করা যায় না। চোখের যে নার্ভটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেটা আর আগের অবস্থায় ফিরে আসে না। কিন্তু আগে নির্ণয় করা গেলে চিকিৎসা করা যায়। তবে এটা ধীরে ধীরে হয়।
বক্তারা আরো বলেন, চোখের সমস্যায় শিশুদের স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ। ৪০ বছরের বেশি বয়সের লোকদের বিশেষ করে যাদের পরিবারে গ্লুকোমা রয়েছে তাদের চিকিৎসকের কাছে এসে চক্ষু পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন !