শিরোনাম :
Logo সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন Logo বর্ষায় মসলা সংরক্ষণের ৫ উপায় Logo ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে ব্যাংক Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে মিলল শিক্ষার্থীর মরদেহ Logo সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo অর্থের বিনিময়ে পলাশবাড়ীর খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দিয়ে লাপাত্তা টিসিএফ Logo ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু; শিক্ষার্থীরা রাবি মেডিকেলের নাম দিল নাপা সেন্টার Logo জাতির উন্নতির জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন – মির্জা গালিব Logo গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউ’র মেয়াদ বাড়লো Logo লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক সভা মাদক সমাজ ও জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় ………….সাখাওয়াত জামিল সৈকত

১ মাস আগে থেকেই শরীরে প্রকাশ পায় হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৩:০৪:০৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

অকস্মাৎ হার্ট অ্যাটাক আর তাতেই শেষ হয়ে যেতে পারে জীবন৷ এখন প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে৷ খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে নানা কু-অভ্যাসের ফলেই নেমে আসে এই ভয়াবহ বিপদ৷ তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমন সত্যিই  আকস্মিক তা কিন্তু নয়৷ হার্ট অ্যাটাকের অন্তত একমাস আগে থেকে শরীরই জানান দেয় যে শরীরের ভেতরে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে৷

আমাদের শরীরের করোনারি আর্টারিতে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার দরুনই হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা দেখা যায়৷ তবে তা একদিনে হয় না৷ ধীরে ধীরে সে লক্ষণ ফুটে উঠতে থাকে৷ আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন সেই লক্ষণগুলো সম্পর্কে-

১। যদি অতিরিক্ত ক্লান্তিভাব গ্রাস করে, তবে তা অবহেলা করার কিছু নেই৷ কেননা এ ক্লান্তিই পরে অ্যাটাকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে৷ আসলে এই দূর্বলতা হল রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার ফল৷ আর্টারিগুলো সরু হয়ে যাওয়ার ফলে পেশি দূর্বল হয়ে পড়ে৷ এই ক্লান্তি তথা দূর্বলতা কিন্তু অ্যাটাকের অশনি সংকেত৷

২। ঝিমুনিকেও স্বাভাবিক ক্লান্তির কারণ ধরে নিয়ে অবজ্ঞা করা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে৷ কেননা পর্যাপ্ত রক্তপ্রবাহ না থাকার কারণে শরীরে ক্লান্তি, ঘাম ও অস্বস্তি দেখা দিতে পারে৷ এবং এসব বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শুরু হয়৷

৩। যদি কাঁধে, হাতে ক্রমাগত ব্যাথা হতে থাকে তবে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷ আর বুকে ব্যথা বা বুকে চাপ ধরলে তো অবহেলা করা উচিতই নয়৷

৪। হার্ট অ্যাটাকের আগে বহু রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, তারা হালকা জ্বরে ভুগছেন৷ কেউবা ঠাণ্ডা লাগায় ভুগছেন৷ এরকম হতে থাকলে কিন্তু শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখা উচিত৷

৫। যদি নিঃশ্বাসের সমস্যা দেখা যায়, দমবন্ধ লাগে, তবে মোটেও অবহেলা করা উচিত নয়৷ প্রতিটি অঙ্গই পর্যাপ্ত রক্ত ও অক্সিজেন চায়৷ কিন্তু হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফুসফুসও সমস্যায় পড়ে৷ তাই এই দমবন্ধ অবস্থা দেখা দেয়৷ এর সঙ্গে এসে জোড়ে বমি বমি ভাব, তলপেটে ব্যাথা ইত্যাদি উপসর্গ৷

সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হার্টের ক্ষতি ধারাবাহিকভাবে হতে থাকে৷ রক্তপ্রবাহ কমতে থাকার লক্ষণ আগেভাগেই জানান দেয় শরীর৷ সেইমতো বুঝে গোড়াতেই চিকিৎসা করলে অনেকসময়ই অ্যাটাকের সম্ভাবনা এড়ানো যায় ৷

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন

১ মাস আগে থেকেই শরীরে প্রকাশ পায় হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ !

আপডেট সময় : ০৩:০৪:০৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

অকস্মাৎ হার্ট অ্যাটাক আর তাতেই শেষ হয়ে যেতে পারে জীবন৷ এখন প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে৷ খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে নানা কু-অভ্যাসের ফলেই নেমে আসে এই ভয়াবহ বিপদ৷ তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমন সত্যিই  আকস্মিক তা কিন্তু নয়৷ হার্ট অ্যাটাকের অন্তত একমাস আগে থেকে শরীরই জানান দেয় যে শরীরের ভেতরে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে৷

আমাদের শরীরের করোনারি আর্টারিতে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার দরুনই হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা দেখা যায়৷ তবে তা একদিনে হয় না৷ ধীরে ধীরে সে লক্ষণ ফুটে উঠতে থাকে৷ আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন সেই লক্ষণগুলো সম্পর্কে-

১। যদি অতিরিক্ত ক্লান্তিভাব গ্রাস করে, তবে তা অবহেলা করার কিছু নেই৷ কেননা এ ক্লান্তিই পরে অ্যাটাকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে৷ আসলে এই দূর্বলতা হল রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার ফল৷ আর্টারিগুলো সরু হয়ে যাওয়ার ফলে পেশি দূর্বল হয়ে পড়ে৷ এই ক্লান্তি তথা দূর্বলতা কিন্তু অ্যাটাকের অশনি সংকেত৷

২। ঝিমুনিকেও স্বাভাবিক ক্লান্তির কারণ ধরে নিয়ে অবজ্ঞা করা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে৷ কেননা পর্যাপ্ত রক্তপ্রবাহ না থাকার কারণে শরীরে ক্লান্তি, ঘাম ও অস্বস্তি দেখা দিতে পারে৷ এবং এসব বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শুরু হয়৷

৩। যদি কাঁধে, হাতে ক্রমাগত ব্যাথা হতে থাকে তবে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷ আর বুকে ব্যথা বা বুকে চাপ ধরলে তো অবহেলা করা উচিতই নয়৷

৪। হার্ট অ্যাটাকের আগে বহু রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, তারা হালকা জ্বরে ভুগছেন৷ কেউবা ঠাণ্ডা লাগায় ভুগছেন৷ এরকম হতে থাকলে কিন্তু শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখা উচিত৷

৫। যদি নিঃশ্বাসের সমস্যা দেখা যায়, দমবন্ধ লাগে, তবে মোটেও অবহেলা করা উচিত নয়৷ প্রতিটি অঙ্গই পর্যাপ্ত রক্ত ও অক্সিজেন চায়৷ কিন্তু হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফুসফুসও সমস্যায় পড়ে৷ তাই এই দমবন্ধ অবস্থা দেখা দেয়৷ এর সঙ্গে এসে জোড়ে বমি বমি ভাব, তলপেটে ব্যাথা ইত্যাদি উপসর্গ৷

সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হার্টের ক্ষতি ধারাবাহিকভাবে হতে থাকে৷ রক্তপ্রবাহ কমতে থাকার লক্ষণ আগেভাগেই জানান দেয় শরীর৷ সেইমতো বুঝে গোড়াতেই চিকিৎসা করলে অনেকসময়ই অ্যাটাকের সম্ভাবনা এড়ানো যায় ৷