বায়েজিদ (পলাশবাড়ী) গাইবান্ধা :
আসন্ন ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে গাইবান্ধার-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসনে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ দিন দিন বেড়েই চলেছে ।পিছিয়ে নেই কোন প্রার্থী, মাঠে এখন সবর বিএনপি।
আসনটিতে ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। চায়ের দোকান থেকে পাড়া মহল্লায় পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনীয় প্রচার-প্রচরনা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে এই আসনে চারজন মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও দলীয়ভাবে এখনো চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।
এই আসনটিতে জয় পেতে বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে আছেন একাধিক প্রার্থী। ধানের শীষের মনোনয়ন দৌড়ে সম্ভাব্য কয়েকজন নাম ইতিমধ্যে শোনা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক,সাবেক ছাত্রনেতা ড.মিজানুর রহমান মিজান,জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন নিয়ন, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম।
গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর) অন্তর্ভুক্ত করে, শুধু একটি নির্বাচন নয়; এটি জনমানুষের আশা, আস্থা এবং পরিবর্তনের প্রতীক। এখানে ভোটাররা কেবল একজন প্রার্থী বেছে নিচ্ছেন না; তারা বেছে নিচ্ছেন মানবিক নেতৃত্ব, দায়িত্বশীলতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা। সেই নেতৃত্বের প্রতীক হিসাবে এগিয়ে এসেছেন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের সাবেক পরিচালক ও গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মঈনুল হাসান সাদিক।
তিনি কেবল একজন রাজনীতিক নন। তিনি একজন সফল চিকিৎসক, মানবিক নেতা, কর্মী বান্ধব সভাপতি এবং জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি, যিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন শুধু রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য নয়, বরং মানুষের আশা, আকাঙ্ক্ষা এবং আস্থা অর্জনের জন্য।
তার নেতৃত্বের মধ্যে মিশেছে জনগণের প্রতি গভীর দায়বদ্ধতা এবং রাজনৈতিক নৈতিকতার প্রতিফলন, যা তাকে গাইবান্ধা-৩ আসনের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ডাঃ সাদিকের এই অর্জন রাজনৈতিক নৈতিকতার স্বচ্ছ উদাহরণ। তিনি ২০১৯ সালে উপনির্বাচনে ভোটবর্জনের মাধ্যমে সঠিক রাজনৈতিক পথ বজায় রেখেছেন, অথচ জনগণ তার প্রতি আস্থা দেখিয়ে অসাধারণ সমর্থন জানিয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে, তিনি কেবল একজন নেতা নন; তিনি জনগণের ভরসা, বিশ্বাস এবং প্রত্যাশার প্রতীক।
ডাঃ সাদিক একজন মানবিক চিকিৎসক হিসেবে বহু বছর ধরে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার চিকিৎসা সেবা কেবল রোগ নিরাময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি মানুষের কষ্ট বোঝা, পাশে দাঁড়ানো এবং সহানুভূতি প্রকাশের প্রতীক। তিনি এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি রাজনীতিতেও বহন করেছেন।
ডাঃ সাদিক দলের কর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগ বজায় রেখেছেন, তাদের সঙ্গে একাত্ম হয়েছেন এবং দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য নিশ্চিত করেছেন। এই মানবিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তাকে সাধারণ ভোটার এবং দলের সদস্যদের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে দিয়েছে। তিনি জনগণের স্পন্দন বোঝেন এবং সেই স্পন্দনকে নেতৃত্বে রূপ দিতে সক্ষম।
ডাঃ সাদিকের শক্তি কেবল ব্যক্তি জনপ্রিয়তায় সীমাবদ্ধ নয়। তার নেতৃত্বের মূল ভিত্তি হলো জনগণের আশা ও সমস্যা বোঝা, তাদের প্রত্যাশাকে কার্যকর উদ্যোগে রূপ দেওয়া এবং দলের শক্তি একত্রিত করা।
ডাঃ মঈনুল হাসান সাদিকের ব্যক্তি ইমেজ ও নেতৃত্বের চরিত্র আকাশ-পাতাল তফাৎ। তিনি মানবিক, সংগঠক, চিকিৎসক এবং জননেতা। দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য বজায় রাখা, ভোটারদের আস্থা ধরে রাখা এবং বিএনপি’র জাতীয় শক্তি সঙ্গে সংযুক্ত করা—সবকিছুই তাকে শক্তিশালী প্রার্থী বানিয়েছে।
নির্বাচনের চূড়ান্ত চিত্র:
১. বিএনপি’র জাতীয় ঢেউ – জনগণ পরিবর্তনের জন্য বিএনপি’র দিকে ঝুঁকছে।
২. ডাঃ সাদিকের মানবিক ও সংগঠনগত দক্ষতা – চিকিৎসক থেকে জননেতা, মানুষের কাছে বিশ্বস্ত।
৩. তৃণমূলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা – দল এক হয়ে মাঠে ভোটারদের কাছে পৌঁছাচ্ছে।
এই সমন্বয় প্রমাণ করে যে, আসন্ন নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ আসনে ডাঃ মঈনুল হাসান সাদিকই গণমানুষের পছন্দ এবং বিজয়ের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী।
ডাঃ সাদিকের রাজনৈতিক শক্তি কেবল ভোটে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি মানুষের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে জনগণের জীবনের বাস্তব সমস্যার সমাধান করেন। তার নেতৃত্বে বিএনপি এক কালে বিভক্ত দল নয়; এটি একতাবদ্ধ আন্দোলন, যা মানুষের প্রত্যাশা ও আস্থা পূরণে প্রস্তুত।
তিনি কেবল দলের নেতা নন; তিনি জনগণের পালস এবং আশা বোঝেন। তার মানসিকতা, কর্মদক্ষতা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি তাকে জনগণের হৃদয়ের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। গাইবান্ধাবাসী সহ রাজনৈতিক বিশ্লেষকগন মনে করেন যে, বিএনপির ইতিহাসে এই প্রথম পলাশবাড়ী – সাদুল্যাপুর সংসদীয় আসনে একজন সৎ, সাহসী, জনবান্ধন, পরিচ্ছন্ন এবং কর্মীবান্ধব লিডার পেয়েছেন।
অধ্যাপক ডাক্তার ময়নুল হাসান সাদিক শুধু বিএনপির নেতাকর্মী ও ভোটারদের কাছেই জনপ্রিয় না উনি দল -মত নির্বিশেষে আপামর জনসাধারণ পছন্দের ব্যক্তি। অধিকাংশ সাধারণ মানুষ মনে করেন যে, ডাক্তার ময়নুল হাসান সাদিক এর বিকল্প শুধুই ডাক্তার সাদিক।
গাইবান্ধা-৩ আসনের মানুষ বেছে নিচ্ছেন মানবিক নেতৃত্ব, গণতান্ত্রিক আশা এবং পরিবর্তনের প্রতীক।
ডাঃ মঈনুল হাসান সাদিক একজন সফল চিকিৎসক, মানবিক নেতা, কর্মীবান্ধব সভাপতি এবং জনগণের আস্থা ও সমর্থনের প্রতীক। তার নেতৃত্বে জনগণ একটি নির্ভরযোগ্য, যোগ্য এবং মানবিক নেতৃত্বের অধিকারী।
গাইবান্ধা-৩ আসনে বিজয় ডাঃ মঈনুল হাসান সাদিকের হাতেই আসবে। জনগণ তার মানবিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ভোট দিয়ে স্বীকৃতি জানাবে, এবং পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুরের মানুষ নতুন আশা ও পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসবে এমনটাই আশা করেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
বিএনপির তৃণমূল নেতারা বলছেন, দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে এ আসনের কাজ করার জন্য প্রস্তুত। পাশাপাশি বিএনপির ধানের শীষের জয়ের জন্য সৎ এবং যোগ্য প্রার্থী দিতে হাই কমান্ডের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেই সঙ্গে তারা আরো বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ। আর সেই প্রতিরোধ হবে ব্যালটের মাধ্যমে বিএনপির জয়।
তরুণ ভোটাররা বলেন, আগামী নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকেই তরুণরা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন। এলাকার উন্নয়নে যারা সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে কাদের পক্ষে তরুণ ভোটাররা মাঠে কাজ করবেন। আর এমন নেতা বিএনপির মাঝে দৃশ্যমান।
উল্লেখ্য : বিগত ১৯৮৬ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ছয়বার এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত পেয়েছেন জাপার ডক্টর টি এম ফজলের রাব্বি চৌধুরী। ২০১৪ ও ২০১৮ (১০-১১তম) টানা দু’বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ডা. ইউনুস সরকার নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি নির্বাচিত হয়।
পলাশবাড়ী উপজেলার ১ পৌরসভা ও ৮ ইউনিয়ন এবং সাদুল্লাহপুর ১১ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
এই দুই উপজেলায় পুরাতন ভোটার সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৮১ হাজার ৪৫৮ জন। এর মধ্যে পলাশবাড়ী উপজেলায় ২ লাখ ২২ হাজার ৪৮৯ এবং সাদুল্লাহপুর উপজেলায় ২ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬৯ জন।



































