জেলার রাজাপুর উপজেলার নারী উদ্যেক্তা মাহফুজ রুনার খামার পরিদর্শন করে এসব কথা বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় রুনার খামারটি পরিদর্শনে যান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার। তিনি খামারের পশুপালন ব্যবস্থা, খাদ্য সংরক্ষণ, দুগ্ধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া ঘুরে দেখে উদ্যোক্তা রুনার প্রশংসা করেন।
পরিদর্শন শেষে ড. হায়দার বলেন, মাহফুজ রুনা আজ একজন নারী হয়ে তিনি যা করতে পেরেছেন, তা আমাদের প্রত্যেকের জন্য অনুপ্রেরণা। আমরা চাই, প্রত্যেক গ্রামে ছোট ছোট খামার গড়ে উঠুক-এক-দুইটি পশু পালন থেকে যেন উদ্যোক্তা তৈরি হয়। বিএনপি এই উন্নয়ন চায় – টেকসই, অংশগ্রহণমূলক ও জনগণভিত্তিক উন্নয়ন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন-এই ধরনের নারী ও গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের জন্য ‘কৃষি কার্ড’ চালু করা হবে। এর মাধ্যমে তারা ব্যাংক ঋণ, পশুপালন প্রশিক্ষণ, খাদ্যভাতা ও স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা পাবেন। ড. হায়দার বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকার উন্নয়নের নামে মেগা প্রকল্প দেখিয়ে জনগণের অর্থ লুট করেছে। সেই প্রকল্পগুলোর কোনো বাস্তব সুফল জনগণ পায়নি।
নারী উদ্যেক্তা মাহফুজ রুনা নিজের পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন একটি আদর্শ খামার। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ১৮টি অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী ও বিভিন্ন জাতের বেশ কিছু ছাগল। প্রতিদিন এ খামার থেকে প্রায় ১৩০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়, যা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে তিনি পরিবারসহ প্রতিবেশী কয়েকজনর কর্মসংস্থানও নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়ভাবে তিনি ইতিমধ্যে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা গোলাম আজম সৈকত।
এছাড়াও ইপস্থিত ছিলেন, রাজাপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জাকারিয়া সুমন, উপজেলা বিএনপির সদস্য ও গালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আবুয়াল হাসান চাঁন মিয়া, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি গোলাম ফারুক মোল্লা, উপজেলা তাতীদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমানসহ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা।