মোঃ মাসুদ রানা, কচুয়া :
হাসি-খুশি মুখ, স্বপ্নভরা চোখ আর অগণিত আশা নিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন তিনি। পরিবারের হাল ধরবেন, চাকরি করবেন, সমাজের উপকারে আসবেন—এমনই স্বপ্ন ছিল সাইদুজ্জামান রাফির। কিন্তু নিয়তির নিষ্ঠুর ছোবলে সবকিছু থেমে যায় এক মুহূর্তেই। গত বছরের ১৮ই সেপ্টেম্বর এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে যায় কচুয়ার তরুণ এই প্রাণ।
তার চলে যাওয়ার এক বছর পরও যেন কিছুই মানতে পারছে না পরিবার। শুক্রবার দুপুরে কচুয়ার চাঁংপুর গ্রামে রাফির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, এলাকাবাসীসহ অসংখ্য মানুষ জড়ো হন।
বিশিষ্ট সমাজসেবক মোহাম্মদ জাকির হোসেনের পুত্র রাফি ছিলেন পরিবারের গর্ব ও আশা। কর্মজীবনে প্রবেশের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েই চলে যেতে হয়েছিল তাকে। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন পরিবারের আত্মীয়-স্বজন, এলাকাবাসী ও অসংখ্য মুসল্লি।
মিলাদ পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস খান এবং দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আবুল কাশেম ভূঁইয়া। চোখের জলে ভিজে ওঠে উপস্থিত সকলের মন। দোয়া শেষে রাফির কবর জিয়ারত করেন পরিবারের সদস্যরা।রাফির মা ও বাবা এখনো প্রতিদিন ছেলের কবরে গিয়ে অশ্রু ঝরান।
এলাকাবাসীর ভাষায়—“রাফি ছিল সবার প্রিয়। হাসিমুখে সবার সাথে মিশে যেত। তার মতো সন্তান সমাজে বিরল। আজও মনে হয় সে আমাদের মাঝেই আছে।
রাফির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর এ দোয়া মাহফিল পরিণত হয়েছিল ভালোবাসা, স্মৃতি আর কান্নায় ভরা এক আবেগঘন সমাবেশে। প্রিয় ছেলেকে হারানোর বেদনা বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের বুক চিরে কাঁটার মতো বিঁধে রয়েছে এখনও। উপস্থিত সবার একটাই প্রার্থনা—আল্লাহ যেন রাফিকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে স্থান দান করেন।