শিহাব উদ্দিন সরকার, যবিপ্রবি প্রতিনিধি:
মঙ্গল শোভাযাত্রা, পূজা অর্চনা, গীতা পাঠ, কীর্তনসহ নানা কর্মসূচিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে জন্মাষ্টমী মহোৎসব পালন করা হয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় ঢোল-তবলা বাজিয়ে শ্রীকৃষ্ণের নাম-গানের মাধ্যমে ধরাধমে তাঁর আগমনকে স্বাগত জানান ভক্তবৃন্দ।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১১ টায় যবিপ্রবির অস্থায়ী মন্দিরের সামনে থেকে যবিপ্রবির সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রদক্ষিণ করে আবার অস্থায়ী মন্দিরের সামনে এসে শেষ হয়।
পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, শ্রীকৃষ্ণ যেমন অন্যায় অবিচার দূর করার জন্যে লড়েছেন ঠিক তেমনই গত জুলাই আন্দোলনে অন্যায়ের প্রতিবাদে লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নামে এবং অত্যাচারীর পতন ঘটায়। যে সকল দোসররা তাদের সাহায্য করেছিল তারাও আজ বিতাড়িত। আমরা আর কোন অপশক্তির সামনে মাথা নত করবো না। সমাজে তখনই অত্যাচার বীজ বপন করে যখন অধিনস্তরা চুপচাপ তা সহ্য করে। ক্যাম্পাসকে শিক্ষার্থীবান্ধব করার জন্য আমরা যা কাজ করা দরকার তা আমরা করে যাচ্ছি। পারস্পারিক সহাবস্থানের মাধ্যমে সকল ধর্মের মানুষের একত্রে বসবাসই বাংলাদেশের ঐতিহ্য। যার যার ধর্ম সে পালন করবে, এটাই আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। আশা করি, সম্প্রীতির এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন পরিবারের সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।
শোভাযাত্রা ও আলোচনা পর্ব শেষে শুরু হয় পূজা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা অর্চনা। পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে জন্মাষ্টমি উপলক্ষে ভক্তবৃন্দ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে অঞ্জলি প্রদান করেন। ধর্মীয় রীতি অনুসারে শিক্ষার্থী ভক্তবৃন্দ গীতা পাঠ ও কীর্তন করেন। পরে ভক্তবৃন্দের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
জন্মাষ্টমির বিভিন্ন পর্বে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির প্রক্টর ড. মোঃ ওমর ফারুক, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তরুন সেন, ফার্মেসী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কিশোর কুমার সরকার ও বিভিন্ন হলের সহকারী প্রভোস্ট, সহকারী প্রক্টরসহ বিভিন্ন বিভাগের সনাতন শিক্ষার্থীবৃন্দ।