কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াতের একমাত্র পথ কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল এই সড়কটি এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। বারবার সড়ক দুর্ঘটনায় সাধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীরাও আহত ও নিহত হলেও স্থানীয় প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এরই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। তারা দাবি করেছেন, সড়ক দ্রুত সংস্কারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে টেন্ডার বাস্তবায়ন এবং কাজ শুরু করতে হবে, যেন আর কোনো জীবন বিপন্ন না হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১১ টায় শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: তৌফিকুর রহমানের নিকট স্মারকলিপি জমা দেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ইবি শিক্ষার্থীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স এন্ড জিওগ্রাফি বিভাগের আব্দুল্লাহ আল নোমান, ইবির সাবেক সহ-সমন্বয়ক সাজ্জাতুল্লাহ শেখ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি সাজ্জাদ সাব্বির, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফুয়াদ হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলার সাবেক মুখ্য সংগঠক বেলাল হোসাইন বাধন, সুকান্ত দাস, রিয়াদ হাসান রাব্বি সহ অন্যান্যরা।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া-ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মহাসড়কের ভয়াবহ দুরবস্থার শিকার হচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান যাতায়াত পথ হওয়ায় একাডেমিক কার্যক্রম, পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড অত্যন্তভাবে নির্ভরশীল এই মহাসড়কের উপর। বর্তমানে সড়কটির অবস্থার কারণে যানবাহন চলাচল একপ্রকার অনিরাপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা, যা শিক্ষার্থীদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। এটি শুধু শারীরিক ঝুঁকি নয়, মানসিক ও একাডেমিকভাবে আমাদের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সর্বোচ্চ ২০ কর্মদিবসের মধ্যে টেন্ডার কার্যক্রম সম্পন্ন করে মেরামতের কাজ শুরু করার পদক্ষেপ নেওয়া হোক। অন্যথায়, আমরা শিক্ষার্থীরা বৃহত্তর স্বার্থে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।”
স্মারকলিপি গ্রহণের পর জেলা প্রশাসক মো: তৌফিকুর রহমান বলেন, “শিক্ষার্থীরা সড়ক সংস্কারের দাবিতে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছি। সড়ক সংস্কারে নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে এবং চলাচলের জন্য একদম অনুপযোগী স্থানগুলোর মেরামতও চলমান। আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে সমন্বয় করে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদারকি করবো।”