শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

ভিত্তিহীন অপহরন ও ধর্ষণ মামলা দায়ের হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:১৮:১৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫
  • ৭৬৪ বার পড়া হয়েছে

দিনাজপুর প্রতিনিধি- ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অপহরন ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করায় এবং অবিচার, জুলুম ও হয়রানীর ন্যায্য তদন্তের ভিত্তিতে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার ১০ আগস্ট সকাল ১১ টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ঠাকুরগাঁও সদরের বহুভাষী গ্রামের মোহাম্মদ মিমনূর। এ সময় তার বন্ধু রিফাত হোসেন, বন্ধু লিমন, তৃষা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০২৩ সালে ডিসেম্বরে এক মেয়ের সাথে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে মেয়ে তার মোবাইল নম্বর জোগাড় করে একাধিকবার যোগাযোগ করে এবং প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

পরবর্তীতে মেয়ের বড় বোন আফরিন ও তার পরিবার মিমনূরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং সম্পর্ক বিচ্ছেদের দিকে ধাবিত করতে থাকে। কিন্তু বারবার ফোনে যোগাযোগ করে এবং এক পর্যায়ে আত্মহত্যার ভয় দেখায়। পরবর্তীতে মেয়ে বিষপান করে। এমন অবস্থা দেখে উভয়ের সম্মতিতে ছেলে ও মেয়ে দিনাজপুর কোর্টে এসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তবে বিবাহর বিষয়ে পরিবারের কেউ জানতো না, শুধুমাত্র মেয়ের মা অবগত ছিলেন।

চলতি বছরের মার্চ মাসে মেয়ে ছেলের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। এ সময় মেয়ের মায়ের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি কিছুদিনের মধ্যে যোগাযোগ করবে বলে আশ্বস্ত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মিমনূর অভিযোগ করেন, পরবর্তীতে আমি তাদের বাড়িতে গিয়ে আমাদের বিয়ের বিষয়ে অবগত করি এবং তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু তার বাবা অন্যের প্ররোচনায় পরে আমার বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। যার প্রমাণ মামলার এজাহারে আমার নামের সাথে বিন্দুমাত্র মিল নেই। যার ফলাফল আমি বিনা অপরাধে ৫৭ দিন কারাবরণ করি।

এখন বাদীপক্ষ আমার থেকে টাকা দাবি করেছে এবং এর বিনিময়ে মামলা প্রত্যাহার করবে কথা বলে আসছে। আমার প্রতি অবিচার জুলুম ও হয়রানীর ন্যায্য তদন্তের ভিত্তিতে সুষ্ঠু বিচার চাই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

ভিত্তিহীন অপহরন ও ধর্ষণ মামলা দায়ের হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৬:১৮:১৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫

দিনাজপুর প্রতিনিধি- ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অপহরন ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করায় এবং অবিচার, জুলুম ও হয়রানীর ন্যায্য তদন্তের ভিত্তিতে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার ১০ আগস্ট সকাল ১১ টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ঠাকুরগাঁও সদরের বহুভাষী গ্রামের মোহাম্মদ মিমনূর। এ সময় তার বন্ধু রিফাত হোসেন, বন্ধু লিমন, তৃষা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০২৩ সালে ডিসেম্বরে এক মেয়ের সাথে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে মেয়ে তার মোবাইল নম্বর জোগাড় করে একাধিকবার যোগাযোগ করে এবং প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

পরবর্তীতে মেয়ের বড় বোন আফরিন ও তার পরিবার মিমনূরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং সম্পর্ক বিচ্ছেদের দিকে ধাবিত করতে থাকে। কিন্তু বারবার ফোনে যোগাযোগ করে এবং এক পর্যায়ে আত্মহত্যার ভয় দেখায়। পরবর্তীতে মেয়ে বিষপান করে। এমন অবস্থা দেখে উভয়ের সম্মতিতে ছেলে ও মেয়ে দিনাজপুর কোর্টে এসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তবে বিবাহর বিষয়ে পরিবারের কেউ জানতো না, শুধুমাত্র মেয়ের মা অবগত ছিলেন।

চলতি বছরের মার্চ মাসে মেয়ে ছেলের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। এ সময় মেয়ের মায়ের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি কিছুদিনের মধ্যে যোগাযোগ করবে বলে আশ্বস্ত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মিমনূর অভিযোগ করেন, পরবর্তীতে আমি তাদের বাড়িতে গিয়ে আমাদের বিয়ের বিষয়ে অবগত করি এবং তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু তার বাবা অন্যের প্ররোচনায় পরে আমার বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। যার প্রমাণ মামলার এজাহারে আমার নামের সাথে বিন্দুমাত্র মিল নেই। যার ফলাফল আমি বিনা অপরাধে ৫৭ দিন কারাবরণ করি।

এখন বাদীপক্ষ আমার থেকে টাকা দাবি করেছে এবং এর বিনিময়ে মামলা প্রত্যাহার করবে কথা বলে আসছে। আমার প্রতি অবিচার জুলুম ও হয়রানীর ন্যায্য তদন্তের ভিত্তিতে সুষ্ঠু বিচার চাই।