শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

খাসিয়ামারা নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ, আতঙ্কে মানুষ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:৫৯:২৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • ৮০১ বার পড়া হয়েছে

জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নে খাসিয়ামারা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি, পুকুর ও জনপদ। ভাঙনের তীব্রতায় এলাকাবাসী আতঙ্কে দিন পার করছেন। টানা বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে খাসিয়ামারা নদীর মানচিত্র পাল্টে যাচ্ছে। গ্রামের মানুষ অসহায়।

এবার ভাঙনের মাত্রা অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর, টেংরাটিলা, টিলাগাঁওসহ একাধিক গ্রাম ইতোমধ্যেই নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথাও বসতঘর নদীতে ধসে পড়ছে, কোথাও আবার পুকুর, বাগান, ফসলি জমি হারিয়ে গেছে নদীর গর্ভে।

ভাঙনের ফলে স্থানীয় একটি আলীপুর বাজার, নির্মাণাধীন খাসিয়ামারা সেতু, আলীপুর নুরানি কিন্ডারগার্টেন, টেংরাটিলার আব্দুল করিম ও ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমের বসতভিটা, পুকুর ও ফসলি জমি ইতোমধ্যে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। ইতোমধ্যে আলীপুর গ্রামের কয়েকটি পরিবার বসতবাড়ি অন্যত্র স্থানান্তর করেছেন। তবে স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকায় ভাঙন আতঙ্ক নিয়েই বসবাস করছেন সাধারণ মানুষ।

টেংরাটিলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল করিম বলেন, ‘আমার বসতবাড়ির অর্ধেকটাই নদীতে চলে গেছে। এইভাবে আর ক’দিন চললে আমাদের ঘরবাড়ি আর থাকবে না।’

আমাদের ফসলি জমির অর্ধেকই খাসিয়ামারা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন অবশিষ্ট পুকুর ও বসতবাড়িটুকু বিলীন হওয়ার পথে।’

আলীপুর গ্রামের ভানু বিবি বলেন, ‘আমার জমিজমা, দোকানপাট ও বসতবাড়ি সব নদী গর্ভে চলে গেছে। গত ৫ বছরে অন্তত কয়েকবার বাড়ি স্থানান্তর করেছি। এখন আর স্থানান্তর করার মতো জমি টুকুও নাই। ভাঙন অব্যাহত থাকলে পরিবার পরিজন নিয়ে পথে নামতে হবে।’

একই গ্রামের মফিজ মিয়া বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে চাষ করা জমিটা চোখের সামনে নদীতে ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে কেউ এখনো এসে খোঁজও নেয়নি।’

সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘খাসিয়ামারা নদী এখন একটি বিপদে পরিণত হয়েছে। স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে না তুললে অচিরেই পুরো জনপদ ভাঙনের কবলে পড়বে। ইতোমধ্যে বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) দোয়ারাবাজারের এসও সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।’

দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরুপ রতন সিংহ জানান, ‘ভাঙন কবলিত আলীপুর ও টেংরাটিলা এলাকা পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলবো।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

খাসিয়ামারা নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ, আতঙ্কে মানুষ

আপডেট সময় : ০২:৫৯:২৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নে খাসিয়ামারা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি, পুকুর ও জনপদ। ভাঙনের তীব্রতায় এলাকাবাসী আতঙ্কে দিন পার করছেন। টানা বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে খাসিয়ামারা নদীর মানচিত্র পাল্টে যাচ্ছে। গ্রামের মানুষ অসহায়।

এবার ভাঙনের মাত্রা অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর, টেংরাটিলা, টিলাগাঁওসহ একাধিক গ্রাম ইতোমধ্যেই নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথাও বসতঘর নদীতে ধসে পড়ছে, কোথাও আবার পুকুর, বাগান, ফসলি জমি হারিয়ে গেছে নদীর গর্ভে।

ভাঙনের ফলে স্থানীয় একটি আলীপুর বাজার, নির্মাণাধীন খাসিয়ামারা সেতু, আলীপুর নুরানি কিন্ডারগার্টেন, টেংরাটিলার আব্দুল করিম ও ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমের বসতভিটা, পুকুর ও ফসলি জমি ইতোমধ্যে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। ইতোমধ্যে আলীপুর গ্রামের কয়েকটি পরিবার বসতবাড়ি অন্যত্র স্থানান্তর করেছেন। তবে স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকায় ভাঙন আতঙ্ক নিয়েই বসবাস করছেন সাধারণ মানুষ।

টেংরাটিলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল করিম বলেন, ‘আমার বসতবাড়ির অর্ধেকটাই নদীতে চলে গেছে। এইভাবে আর ক’দিন চললে আমাদের ঘরবাড়ি আর থাকবে না।’

আমাদের ফসলি জমির অর্ধেকই খাসিয়ামারা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন অবশিষ্ট পুকুর ও বসতবাড়িটুকু বিলীন হওয়ার পথে।’

আলীপুর গ্রামের ভানু বিবি বলেন, ‘আমার জমিজমা, দোকানপাট ও বসতবাড়ি সব নদী গর্ভে চলে গেছে। গত ৫ বছরে অন্তত কয়েকবার বাড়ি স্থানান্তর করেছি। এখন আর স্থানান্তর করার মতো জমি টুকুও নাই। ভাঙন অব্যাহত থাকলে পরিবার পরিজন নিয়ে পথে নামতে হবে।’

একই গ্রামের মফিজ মিয়া বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে চাষ করা জমিটা চোখের সামনে নদীতে ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে কেউ এখনো এসে খোঁজও নেয়নি।’

সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘খাসিয়ামারা নদী এখন একটি বিপদে পরিণত হয়েছে। স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে না তুললে অচিরেই পুরো জনপদ ভাঙনের কবলে পড়বে। ইতোমধ্যে বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) দোয়ারাবাজারের এসও সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।’

দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরুপ রতন সিংহ জানান, ‘ভাঙন কবলিত আলীপুর ও টেংরাটিলা এলাকা পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলবো।