শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

শোভাযাত্রা, পিঠা-পুলিতে মুখর পাবিপ্রবির বাংলা নববর্ষ ১৪৩২

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৪১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭৮৩ বার পড়া হয়েছে

নাফিস সাদিক (পাবিপ্রবি প্রতিনিধি) ‘

সো হে বৈশাখ’—রবীন্দ্রনাথের এই চিরন্তন আহ্বান যেন প্রাণ ছুঁয়ে গেল পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, ঐতিহ্যবাহী পিঠার স্টল, লোকজ সংস্কৃতির নানা উপস্থাপনাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন করেছে পাবিপ্রবি পরিবার।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে কেন্দ্রীয় মঞ্চ থেকে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। এতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আউয়াল। সঙ্গে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শামীম আহসানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শত শত শিক্ষার্থী।

শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক ঘুরে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মূল মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। মুখোশ, মহিষের গাড়ি, পটচিত্র, পালকি, রঙিন ব্যানার, বাদ্যযন্ত্র ও লোকজ উপাদানে ছিল শোভাযাত্রার বিশেষ আকর্ষণ।
এ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা হয় পৃথক স্টল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী হল, বিভাগ ও ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকে এসব স্টলে পরিবেশন করা হয় নানান ঐতিহ্যবাহী খাবার, দেশীয় খেলনা, হস্তশিল্প ও পিঠা-পুলির সম্ভার। পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল সৃজনশীল সাজসজ্জা ও উৎসবের আমেজ।

দিনভর চলা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গান, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও নাটকের মধ্য দিয়ে বাংলা সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন তারা।

ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী ইউসুফ খান রাচি বলেন, “২০১৯ সালের পর এমন বড় আয়োজন এবারই প্রথম। নিজ হাতে স্টল সাজানো আর পিঠা বিক্রির অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ।”

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব বলেন, “এ রকম আয়োজনে সবাই একে অপরের কত আপন মনে হয়! এর মাধ্যমে আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে জানতে পারি, কাছ থেকে ছুঁতে পারি। ”পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এমন প্রাণবন্ত আয়োজন যেন প্রমাণ করে—পাবিপ্রবি শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি সংস্কৃতির চার ভূমিও।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

শোভাযাত্রা, পিঠা-পুলিতে মুখর পাবিপ্রবির বাংলা নববর্ষ ১৪৩২

আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৪১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

নাফিস সাদিক (পাবিপ্রবি প্রতিনিধি) ‘

সো হে বৈশাখ’—রবীন্দ্রনাথের এই চিরন্তন আহ্বান যেন প্রাণ ছুঁয়ে গেল পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, ঐতিহ্যবাহী পিঠার স্টল, লোকজ সংস্কৃতির নানা উপস্থাপনাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন করেছে পাবিপ্রবি পরিবার।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে কেন্দ্রীয় মঞ্চ থেকে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। এতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আউয়াল। সঙ্গে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শামীম আহসানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শত শত শিক্ষার্থী।

শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক ঘুরে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মূল মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। মুখোশ, মহিষের গাড়ি, পটচিত্র, পালকি, রঙিন ব্যানার, বাদ্যযন্ত্র ও লোকজ উপাদানে ছিল শোভাযাত্রার বিশেষ আকর্ষণ।
এ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা হয় পৃথক স্টল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী হল, বিভাগ ও ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকে এসব স্টলে পরিবেশন করা হয় নানান ঐতিহ্যবাহী খাবার, দেশীয় খেলনা, হস্তশিল্প ও পিঠা-পুলির সম্ভার। পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল সৃজনশীল সাজসজ্জা ও উৎসবের আমেজ।

দিনভর চলা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গান, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও নাটকের মধ্য দিয়ে বাংলা সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন তারা।

ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী ইউসুফ খান রাচি বলেন, “২০১৯ সালের পর এমন বড় আয়োজন এবারই প্রথম। নিজ হাতে স্টল সাজানো আর পিঠা বিক্রির অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ।”

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব বলেন, “এ রকম আয়োজনে সবাই একে অপরের কত আপন মনে হয়! এর মাধ্যমে আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে জানতে পারি, কাছ থেকে ছুঁতে পারি। ”পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এমন প্রাণবন্ত আয়োজন যেন প্রমাণ করে—পাবিপ্রবি শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি সংস্কৃতির চার ভূমিও।