সুতিষ্ণ তর্ক চর্চায় গড়ি আগামী পৃথিবী। এই স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে ২০১৮ সালে পথ চলা শুরু করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এ্যারাবিক ডিবেটিং ক্লাব (এডিসি) মাহদী হাসানকে সভাপতি ও নেছার উদ্দিন চৌধুরী কে সম্পাদক করে শনিবরি (১ মার্চ ) সকালে নতুন কমিটি গঠন করেছে ।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ সভাপতি-মোঃ শরিফুল ইসলাম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক:মো. আররাফি সিরাজী,সাংগঠনিক সম্পাদক :মোহাম্মদ রাকিবুল আমিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক-জুবায়ের আহম্মে, দপ্তর সম্পাদক:আবু নোমান নিলয়, সহ দপ্তর সম্পাদক:সুমাইয়া খাতুন, কোষাধ্যক্ষ:মো: তৌহিদুর রহমান, সহ কোষাধ্যক্ষ:তাহমিনা ঊর্মি,প্রচার সম্পাদক:মোঃ আকিব হোসেন,উপ প্রচার সম্পাদক:রাকিবুল ইসলাম, পাঠচক্র ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম নাঈম সাদিয়া মুতমায়িন্নাহ, ইয়াসমিন খাতুন, নুরুসসসালাম গালিব, সাদ্দাম হোসেন, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ আজগর হোসাইন, জাকারিয়া সাকিব,মোঃ মামুনুর রশিদ,মোঃ আশিক।
কমিটির সব নিযুক্ত সভাতি বলেন,বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষতা অর্জন ও মুক্ত চিন্তার চর্চার অন্যতম মাধ্যম হলো বিতর্ক। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত Arabic Debating Club (ADC) শুরু থেকেই বাংলা, আরবি ও ইংরেজি ভাষায় বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে যুক্তিবাদী মনন গঠনের পথ প্রশস্ত করে আসছে।নবনিযুক্ত সভাপতি হিসেবে, আমি মোঃ মেহেদী হাসান, গভীর কৃতজ্ঞতা ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে এই দায়িত্ব গ্রহণ করছি। এই ক্লাবকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করতে আমি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বাস করি, যুক্তির আলোচনার মাধ্যমে চিন্তাধারা পরিশীলিত হয়, দৃষ্টিভঙ্গি বিস্তৃত হয় এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়। তাই, ADC-কে আরও শক্তিশালী করতে আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আসুন, যুক্তির পথে হাঁটি, বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ঘটাই এবং ভাষাগত দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করি।
ক্সলাবের নবনিযুক্ত সম্পাদক নেছার উদ্দিন বলেন, হিসেবে নির্বাচিত “বিতর্ক কেবল যুক্তির লড়াই নয়, এটি জ্ঞানের চর্চা, চিন্তার উৎকর্ষতা এবং সমাজকে বদলে দেওয়ার হাতিয়ার। আমি এই ক্লাবের সদস্যদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে এবং যুক্তিবাদী মানসিক বিকাশে কাজ করব।
তাদের পরবর্তী লক্ষ্যসমূহ, নিয়মিত বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন – স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ তৈরি করা, নতুন বিতার্কিক তৈরি – শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতর্কের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, গবেষণা ও যুক্তিবিদ্যার উন্নয়ন – বিতর্কের বিষয়বস্তু আরও গভীরভাবে বিশ্লেষণ ও গবেষণার সুযোগ তৈরি করা, অনলাইন ও অফলাইন কার্যক্রম বৃদ্ধি – সামাজিক মাধ্যমে ক্লাবের কার্যক্রম প্রচার ও ভার্চুয়াল বিতর্কের আয়োজন করা, বিতার্কিকদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালা – বক্তৃতা, বিশ্লেষণ এবং দলগত কাজের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ চালু করা।