নিউজ ডেস্ক:
বাংলা সাহিত্যে সনেটের প্রবর্তক কবি মাইকেল মধুসুদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কবির জন্মস্থান যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে গত শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা। আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এইমেলা। ২৫ জানুয়ারি মাইকেল মধুসুদন দত্তের ১৯৩ তম জন্মবার্ষিকী।
জানা যায়, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক গত শনিবার বিকাল ৫টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মধুমেলার উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর।
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে থাকবেন যশোরের সকল সংসদ সদস্য সদস্য ছাড়াও পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।
মেলায় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত যশোর ও কেশবপুরের সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে এদিকে মধুমেলা ও জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি, বাংলাভাষা ও সাহিত্যের আলোকদিশারী এই কবির জন্মবার্ষিকীতে সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী মানুষের পক্ষ থেকে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। তাঁর হাতে বাংলা সাহিত্য পেয়েছে নবরূপ, হয়েছে সমৃদ্ধ ও ঐশ্বর্যমণ্ডিত। তিনি একাধারে বাংলা সাহিত্যে প্রথম মহাকাব্যের রচয়িতা, অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক, সনেট রচয়িতা ও আধুনিক শিল্পকলাসম্মত নাট্যকার। তিনি অভ‚তপূর্ব সৃষ্টি-নৈপূণ্য প্রদর্শন করে বাংলা সাহিত্যে পথিকৃতের ভ‚মিকা পালন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের অনন্য সাহিত্যকীর্তি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। পুরাতন ধ্যান-ধারণা ও মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে তিনি বাংলা সাহিত্যকে নবজীবন দান করেছেন।
কবির জন্মবার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং মধুমেলার সার্বিক সাফল্য কামনা করে তিনি বলেন, বাংলা কাব্যের গতানুগতিক রীতি-প্রকরণ ভেঙে নতুন ছন্দ যোজনায় কবি আমাদেরকে বিচিত্র কাব্য-সম্ভার উপহার দিয়েছেন।