নিউজ ডেস্ক:
১৩ বছর ধরে এক বাবার বিরুদ্ধে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ কাজে লম্পট বাবাকে সহযোগিতা করেছেন মেয়ের মা নিজেই।
অষ্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে এই নারকীয় ঘটনা ঘটেছে। এ জঘন্য অপরাধের দায়ে সম্প্রতি ধর্ষিতার বাবা ও মাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন সিডনির আদালত।
মেয়েটির বয়স এখন ১৮ বছর। প্রায় ৫ বছর বয়স থেকে তার বাবা তাকে ধর্ষণ করে আসছিলেন। ছোটবেলায় বাবা মায়ের ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি। কিন্তু সম্প্রতি আদালতের কাছে মুখ খোলে ধর্ষিতা মেয়ে। গোপনীয়তার জন্য আদালত সেই নরপিশাচ বাবা-মা ও মেয়ের নাম পরিচয় প্রকাশ করেননি।
সিডনি জেলা আদালত ধর্ষিতার বাবাকে ৪৮ বছর ও মাকে ১৬ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন।
এ অপরাধে আদালত ধর্ষিতার বাবাকে ৪৮ বছর ও মাকে ১৬ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। এখন বাবার বর্তমান বয়স ৫৯ বছর আর মায়ের বয়স ৫১ বছর। ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েটির বাবাকে যে সাজা দেওয়া হয়েছে তাতে কারাদণ্ড থাকাবস্থায় তার মৃত্যু হবে। আর মা যদি কারাদণ্ড থেকে মুক্ত হয়ে বের হন তাহলেও তার উপর নজরদারী অব্যাহত থাকবে।
সিডনি জেলা আদালতের জজ সারাহ হুগ্গেট জানান, তাদের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ আছে তাতে মনে হয় না মৃত্যুর আগে তারা কারাগার থেকে মুক্তি পাবে। তারা তাদের মেয়েকে এক দুদিন নয়, টানা ১৩ বছর ধরে নির্যাতন করেছে।
তিনি আরও জানান, মেয়েটির বাবা নরপিশাচ। তিনি মাত্র পাঁচ বছর বয়স থেকেই নিজের মেয়েকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ধর্ষণ করে আসছিলেন। যেমন বাবা দিবস বা খ্রিস্টমাস ইত্যাদি দিবসে বিভিন্ন অজুহাতে তাকে ধর্ষণ করতেন। আর এ জঘন্য কাজে সহযোগিতা করতেন তারই গর্ভধারিনী মা।
নিজের বাবার দ্বারা ১৩ বছর ধরে ধর্ষিত হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে মেয়েটি।
মেয়েকে তার বাবার সাথে যৌনমিলন করানোর জন্য বিভিন্নভাবে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করতেন মা। তিনি এও বলতেন একাজ করলে তাকেও ভালো লাগবে এবং এতে কোনো দোষও হবে না। এভাবে বুঝিয়ে মেয়েকে বাবার সাথে যৌনমিলনে বাধ্য করতেন। এমনও দিন গেছে, যখন তার বাবা সারা রাত মেয়েকে জোর করে বেঁধে ধর্ষণ করেছেন।
আদালত ধর্ষক এ বাবার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ধর্ষণের সময় মেয়ের গলায় চেইনশো (ছোট আকৃতির ইলেকট্রিক করাত) ধরতেন নরপিশাচ বাবা। এভাবে তাকে শুধু ধর্ষণই করতেন না শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনও করতেন।
আর প্রথম থেকেই মেয়েটির মা স্বামীকে ধর্ষণের কাজে সাহায্য করে আসছিলেন। অনেক সময় যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তার মেয়েটি বিছানায় বমি করেছে। তখন তার মা সেই বমিও খেতে বাধ্য করেছেন মেয়েটিকে।
অনেক সময় তারা তাকে অসহ্য যন্ত্রণা দিয়ে ধর্ষণ করেছেন। আবার ধর্ষণের সময় তাকে চিৎকার করতেও বলা হতো। তার মা বলতেন, চিৎকার করলে তার ভালো লাগবে। তাই সে যেন জোরে জোরে চিৎকার করে। মাঝে মাঝে তার গলায় লোহার শিকল দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হতো। আবার পুরো নগ্ন করে কুকুরের খাঁচার ভেতর গলায় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। তার সাথে এমন আচরণ করা হতো যা মানুষ পশুর সাথেও করে না।