নিউজ ডেস্ক:
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মালয়েশিয়ায় উন্মোচিত হলো জনশক্তি রপ্তানির দ্বার।
গত শুক্রবার মালয়েশিয়া সফরে থাকা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন।
মিয়ানমার ইস্যুতে ওআইসির বিশেষ সম্মেলনে যোগদান শেষে শ্রমবাজার ইস্যু নিয়ে দু’দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর গতকাল শুক্রবার এ ঘোষণা দিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
মালয়েশিয়ায় সদ্য স্থানান্তরিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ সপ্তাহ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইতোমধ্যে ছয় হাজার শ্রমিকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়ন করা হয়েছে। ধাপে ধাপে এ মাসেই আরো ৫০ হাজার শ্রমিকের কাগজপত্র সত্যায়ন হবে বলে আশা করেন তিনি।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ থেকে যত জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে এ বছর শুধু মালয়েশিয়াতেই তার চেয়ে বেশি শ্রমিক রপ্তানি হবে। আমরা সেই প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হচ্ছি।
এর আগে নতুন ভবনে স্থানান্তরিত মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। কথা বলেন সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে। স্থানান্তরিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মতৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের হাইকমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম, ডেপুটি হাইকমিশনার ফয়সাল আহমেদ, ডিফেন্স উইং মো. হুমায়ুন কবির, লেবার কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম, মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ওয়াহিদা আহমেদ, রাইচ হাসান সরোয়ার, প্রথম সচিব এস কে শাহীন, কমার্শিয়াল উইং ধনঞ্চয় কুমার দাস, প্রথম সচিব হেদায়েতুল ইসলাম, মশিউর রহমান, দ্বিতীয় সচিব তাহমিনা ইয়াসমিন, ফরিদ আহমেদ ও দূতাবাসের সব কর্মকর্তা।