স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মান্দারতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই মাঠটি বছরের ৬ মাস পানির নিচে থাকে। ফলে শিশু শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলতে পারে না।
সরেজমিন দেখা গেছে, মাঠের সিংহভাগ জুড়ে জমে আছে পানি, বাকি অংশে বড় বড় গর্ত। বিদ্যালয়ের পুরাতন একটি ভবন ভাঙ্গার পর তৈরী হওয়া এই গর্ত ভরাট করা হয়নি। অথচ ওই স্কুলে প্রতি বছর স্লিপসহ নানা খাতে টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বা অ্যাসেম্বলির কোনো সুযোগ নেই। মাঝে মধ্যে বারান্দায় আর ইটপাটকেলের মধ্যে অ্যাসেম্বলি সম্পন্ন করান শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা বলছেন, মাঠে মাটি ভরাটের প্রয়োজন। তারা এ জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর আর জনপ্রতিনিধিদের কাছে ঘুরেছেন, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এখন সামান্য বৃষ্টি হলেই স্কুল মাঠে হাটু পানি জমে থাকে। পানি বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এই অবস্থা থাকে মাসের পর মাস। বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ মারাত্বক ভাবে বিঘনিত হচ্ছে বলে তাদের অভিমত।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোশারফ হোসেন জানান, ৭২ শতক জমির উপর ১৯৫৫ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ২২৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। যাদের পাঠদানে ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। আরো আছেন একজন দপ্তরি। প্রতিবছর শতভাগ ছেলে-মেয়ে পাশ করছে এই প্রতিষ্ঠান থেকে। তবে বিদ্যালয় এলাকার পরিবেশ বর্তমানে খুবই খারাপ হয়ে দাড়িয়েছে। অফিস থেকে শ্রেণী কক্ষে যাবার জন্য অনেক সময় শিক্ষকদের প্যান্ট গুটিয়ে যেতে হয়। কোমলমতি ছেলে-মেয়েরা বিদ্যালয় মাঠে ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। কখনও ক্লাসে যেতে গিয়ে পাঁ পিছলে পড়তে হয়।
প্রধান শিক্ষক মোঃ মোশারফ হোসেন আরো জানান, বিদ্যালয় মাঠের ৭০ ভাগ বছরের ৬ মাস পানির নিচে থাকে। এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হাসান জানান, তারা ইতিমধ্যে চলাচলের জন্য একটা রাস্তা তৈরী করার ব্যবস্থা করেছেন। আগামীতে এডিবি’র বরাদ্ধ থেকে মাঠে মাটি ভরাটের জন্য এখন থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছেন মাঠে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।