নিউজ ডেস্ক:
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কর্মকাণ্ডে (সিএসআর) অংশগ্রহণ আরো বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
গত শনিবার রাজধানীর মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাসেম মো. শিরিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির ভাষণে অর্থমন্ত্রী বলেন, ডাচ-বাংলা ব্যাংক যে ধরনের সামাজিক কার্যক্রম গ্রহণ করছে, তা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানও করতে পারে। এজন্য দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিএসআরে আরও বেশি উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মুহিত বলেন, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বয়স ২০ বছর। প্রতিষ্ঠার ষষ্ঠ বছর থেকেই এই বৃত্তি প্রদান করে আসছে। ব্যাংকটি দুটি সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যখাতে এই ব্যাংকের কার্যক্রমগুলো দেখার মতো এবং উল্লেখযোগ্য। এরকম চিন্তা-ভাবনা যদি অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানও করে, বিশেষ করে বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান এ ধরনের কার্যক্রম হাতে নিলে দেশ ও সমাজ উপকৃত হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের জাতির উন্নয়নে একটি প্রধান বিষয় হলো শিক্ষার প্রসার। যদিও প্রায় ৩০ শতাংশ জনগণ অশিক্ষিত। তবে প্রাইমারি ধাপে আমরা খুবই ভালো করছি। মাধ্যমিক পর্যায়ে এখনও আমরা তেমন অগ্রগতি সাধন করতে পারিনি। এ ব্যাপারে আমাদের কার্যক্রম আরো জোরদার করতে হবে।
সরকার গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে মুহিত বলেন, সরকার শিক্ষার প্রসার বিশেষ করে গুণগত শিক্ষার প্রসারে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে।
এক্ষেত্রে অবশ্য সাধারণ জনগণের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। জনগণকে আরও বেশি করে কর দিতে হবে। সরকারের রাজস্ব বাড়াতে হবে। তাহলেই সরকার সেই রাজস্বের সদ্ব্যবহার করতে পারবে।
অর্থমন্ত্রী বৃত্তিপ্রাপ্তদের প্রতি বৃত্তির টাকা যথাযথ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। পাশাপাশি তাদের উজ্জ্বল ভাবিষৎ কামনা করেন।