নিউজ ডেস্ক:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে দেশকে জঙ্গি, মাদক ও জলদস্যু-বনদস্যু মুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, এ প্রত্যয়ে র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি ইউনিট কঠোর অবস্থান নিয়ে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে শিগগিরই সুন্দরবনকে জলদস্যু ও বনদস্যু মুক্ত ঘোষণা করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার দুপুরে খুলনার লবণচরের র্যাব-৬ কার্যালয়ে জলদস্যু ও বনদস্যুদের আত্মসমর্পণ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন করতে হলে যুব সমাজকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি তিন হাজারের অধিক মাদক ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
আজকের অনুষ্ঠানে দীর্ঘদিনের দস্যুতার জীবন ছেড়ে স্বাভাবিক ও সুন্দর জীবনের প্রত্যয় নিয়ে সুন্দরবনের জলদস্যু-বনদস্যু বাহিনীর ৫৭ সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মসমর্পণ করেন।
এরা হলেন, র্যাব-৬’র আওতাধীন দাদা ভাই বাহিনীর ১৫জন, হান্নান বাহিনীর নয়জন এবং আমির আলী বাহিনীর সাত জন। অপরদিকে র্যাব-৮’র আওতাধীন সূর্য বাহিনীর দশজন, ছোট সামসু বাহিনীর নয় জন এবং মুন্না বাহিনীর সাত জন।
এ অনুষ্ঠানে ইতোপূর্বে র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণকারী ৫৮জন জলদস্যু ও বনদস্যুর প্রত্যেককে পূর্নবাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত এক লাখ টাকা করে চেক প্রদান করা হয়।
অন্যান্যের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, নৌ-পুলিশের ডিআইজি শেখ মো. মারুফ হাসান, র্যাব-৮’র অধিনায়ক আতিকা ইসলাম, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান এবং খুলনা জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন র্যাব-৬’র অধিনায়ক খোন্দকার রফিকুল ইসলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির অন্যান্য সদস্য, পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি’র উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।