সোমবার | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় Logo সদরপুরে গার্ডিয়ান এর এরিয়া অফিস উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকার মৃত্যু দাবী চেক বিতরণ। Logo ৪৫তম বিসিএস-এ ক্যাডার বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থী Logo হাবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের Logo জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল Logo মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন : ডা. জাহিদ Logo কচুয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা এনায়েত হাসিব

দেশত্যাগ নয়, ‘আপসহীনতায়’ খালেদা জিয়া বেছে নিয়েছিলেন কারাগার

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৪:৫৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আপসহীন নেত্রীতে পরিণত হন বেগম খালেদা জিয়া। তার ওপর দেশত্যাগের চাপ এসেছিল। কিন্তু তিনি করেননি। কারাবরণ মেনে নিয়েছেন। এমনকি জেলে থেকে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো’র মৃত্যুর খবর শুনেছেন। হৃদয় ভেঙেছে পুত্রশোকে। কিন্তু বিচলিত হননি। আপস করেননি। শারীরিক অবস্থা খারাপ তবু দেশের বাইরে যেতে দেয়নি বিগত পতিত হাসিনা সরকার।

কারাগারে থাকাবস্থায় বেগম খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে।

আইনজীবীরা জানান, এক-এগারো সময়ের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা গতি পায় ২০১৪ সাল থেকে। যখন ক্ষমতায় আজকের পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। এর জেরে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দেওয়া রায়ে বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আকতারুজ্জামান। উচ্চ আদালতে সেই সাজা বেড়ে হয়েছিল ১০ বছর। যা ছিল কেবলই শেখ হাসিনার ইচ্ছার প্রতিফলন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই যে তিনি ( বেগম খালেদা জিয়া) জেনেশুনে আপসহীন ছিলেন, এটা এরশাদ আমল থেকেই শুরু হয়েছে, যা এখন প্রমাণিত।
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে জেল বন্দি করতে পারা ছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বকে অন্তরীণ করা। তাকে রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার পায়তাড়া ছিল এটি।

উল্লেখ্য, কোভিড মহামারি চলাকালীন ২০২১ সালের ২৫ মার্চ, ৩ বছরের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর নির্বাহী আদেশে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে হাসপাতাল থেকে বাসা আর বাসা থেকে হাসপাতালে আসা-যাওয়ার মধ্যেই কেটেছে প্রায় চার বছর। গত বছরের আগস্টে অঅওয়ামী সরকার সরকার পতন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের শুরুর দিনই জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে বলে কথা জানান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়ার সাজা পূর্ণাঙ্গভাবে বাতিল হয়। এরপর আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

বহুবছর থেকেই তিনি ‘আপোষহীন’ নেত্রী হিসেবে পরিচিত। ছিলেন গৃহবধু। প্রেসিডেন্ট মরহুম জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তিনি ধীরে ধীরে দলে যুক্ত হন। সেসময় তিনি দলের হাল ধরেছিলেন বলেই আজও বিএনপি একটি সুসংগঠিত বৃহৎ দল। সরকারে গঠন করেছে বহুবার।

১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হিসেবে যোগ দেন। বছরখানেক যেতে না যেতেই নিজের রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় প্রশংসা অর্জন করেন। পরের বছর মার্চে তিনি দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদোন্নতি পান। এক মাস পর ১ এপ্রিল তিনি দলের বর্ধিত সভায় প্রথম বক্তৃতা করেন। বিচারপতি আব্দুস সাত্তার অসুস্থ হলে তিনি ১৯৮৪ সালের ১২ জানুয়ারি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন এবং একই বছরের ১০ মে চেয়ারপারসন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালে ১ সেপ্টেম্বর দলের চতুর্থ কাউন্সিলে দ্বিতীয়বার, ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে তৃতীয়বার এবং ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দলের দশম কাউন্সিলে চতুর্থবারের মতো বিএনপির চেয়ারপারসন হন।

ট্যাগস :

নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

দেশত্যাগ নয়, ‘আপসহীনতায়’ খালেদা জিয়া বেছে নিয়েছিলেন কারাগার

আপডেট সময় : ০৩:৫৪:৫৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আপসহীন নেত্রীতে পরিণত হন বেগম খালেদা জিয়া। তার ওপর দেশত্যাগের চাপ এসেছিল। কিন্তু তিনি করেননি। কারাবরণ মেনে নিয়েছেন। এমনকি জেলে থেকে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো’র মৃত্যুর খবর শুনেছেন। হৃদয় ভেঙেছে পুত্রশোকে। কিন্তু বিচলিত হননি। আপস করেননি। শারীরিক অবস্থা খারাপ তবু দেশের বাইরে যেতে দেয়নি বিগত পতিত হাসিনা সরকার।

কারাগারে থাকাবস্থায় বেগম খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে।

আইনজীবীরা জানান, এক-এগারো সময়ের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা গতি পায় ২০১৪ সাল থেকে। যখন ক্ষমতায় আজকের পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। এর জেরে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দেওয়া রায়ে বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আকতারুজ্জামান। উচ্চ আদালতে সেই সাজা বেড়ে হয়েছিল ১০ বছর। যা ছিল কেবলই শেখ হাসিনার ইচ্ছার প্রতিফলন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই যে তিনি ( বেগম খালেদা জিয়া) জেনেশুনে আপসহীন ছিলেন, এটা এরশাদ আমল থেকেই শুরু হয়েছে, যা এখন প্রমাণিত।
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে জেল বন্দি করতে পারা ছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বকে অন্তরীণ করা। তাকে রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার পায়তাড়া ছিল এটি।

উল্লেখ্য, কোভিড মহামারি চলাকালীন ২০২১ সালের ২৫ মার্চ, ৩ বছরের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর নির্বাহী আদেশে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে হাসপাতাল থেকে বাসা আর বাসা থেকে হাসপাতালে আসা-যাওয়ার মধ্যেই কেটেছে প্রায় চার বছর। গত বছরের আগস্টে অঅওয়ামী সরকার সরকার পতন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের শুরুর দিনই জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে বলে কথা জানান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়ার সাজা পূর্ণাঙ্গভাবে বাতিল হয়। এরপর আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

বহুবছর থেকেই তিনি ‘আপোষহীন’ নেত্রী হিসেবে পরিচিত। ছিলেন গৃহবধু। প্রেসিডেন্ট মরহুম জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তিনি ধীরে ধীরে দলে যুক্ত হন। সেসময় তিনি দলের হাল ধরেছিলেন বলেই আজও বিএনপি একটি সুসংগঠিত বৃহৎ দল। সরকারে গঠন করেছে বহুবার।

১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হিসেবে যোগ দেন। বছরখানেক যেতে না যেতেই নিজের রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় প্রশংসা অর্জন করেন। পরের বছর মার্চে তিনি দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদোন্নতি পান। এক মাস পর ১ এপ্রিল তিনি দলের বর্ধিত সভায় প্রথম বক্তৃতা করেন। বিচারপতি আব্দুস সাত্তার অসুস্থ হলে তিনি ১৯৮৪ সালের ১২ জানুয়ারি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন এবং একই বছরের ১০ মে চেয়ারপারসন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালে ১ সেপ্টেম্বর দলের চতুর্থ কাউন্সিলে দ্বিতীয়বার, ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে তৃতীয়বার এবং ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দলের দশম কাউন্সিলে চতুর্থবারের মতো বিএনপির চেয়ারপারসন হন।