শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত Logo ওয়েব পোর্টাল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ইবির আইসিটি বিভাগে নবীনবরণ Logo পলাশবাড়ীতে ভিডাব্লিউ ডি প্রকল্পে অনিয়মসহ স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। Logo যবিপ্রবি ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা: নিষিদ্ধ সংগঠনের দুই কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ Logo তেকানী ইউনিয়নের সচিব হালিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ Logo কচুয়ার শিক্ষা ও পরিবেশ উন্নয়নে ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমানের অনন্য উদ্যোগ Logo কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অক্টোবর থেকে: বেবিচক চেয়ারম্যান” Logo মাদকসহ সাতক্ষীরা শহরের চিহ্নিত চোরাকারবারি আটক Logo দুর্নীতি ও অপচয়ের কারণে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারছি না: জ্বালানি উপদেষ্টা

হাসিনার গ্রাফিতি মোছার চেষ্টা, রুখে দিলেন শিক্ষার্থীরা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১১:৩১:০০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৭ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্য-সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে শেখ হাসিনার ব্যঙ্গ গ্রাফিতি (ঘৃণা স্তম্ভ হিসেবেও পরিচিত) গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন সিটি করপোরেশন কর্মীরা।

এ ঘটনায় তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে টিএসসি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভীর রাতে টিএসসি-সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ব্যঙ্গাত্মক গ্রাফিতি ক্রেন নিয়ে মুছতে আসে সিটি করপোরেশনের কিছু লোক। শেখ হাসিনার গ্রাফিতির মাথা পর্যন্ত মুছে ফেললেও শেখ মুজিবের পুরোটাই মুছে ফেলা হয়েছে। শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলা অবস্থায় শিক্ষার্থীরা এসে বাধা দিলে তারা এটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, শেখ হাসিনার গ্রাফিতিটা ছিল মূলত ঘৃণা স্তম্ভ। এটি জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি। আমরা এটি দেখে প্রক্টরকে কল করলে প্রক্টর এসে জানান, তাকে গোয়েন্দা সংস্থা কল করেছেন শেখ মুজিব এবং শেখ হাসিনার ছবি মুছে দেওয়ার জন্য। পরে প্রক্টর এস্টেট অফিসকে জানালে অফিস সিটি করপোরেশন ও মেট্রো কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এটি মুছে ফেলার উদ্যোগ নেয়। যা শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে সম্ভব হয়নি।

এরপর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ এ ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন এবং একটি অফিশিয়াল বিবৃতি দিয়ে দুঃখপ্রকাশের কথা জানান। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার মুছে যাওয়া অংশে শিক্ষার্থীদের শেখ হাসিনার বিকৃত ছবি আঁকতে বলেন এবং ঘৃণা স্তম্ভকে অফিশিয়ালি স্বীকৃতি দেবেন বলে উল্লেখ করেন।

পরবর্তী সময় শেখ হাসিনার মুছে যাওয়া গ্রাফিতির অংশে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনার আরেকটি ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন আঁকেন।

শেখ হাসিনার পতনের আগেই ৩ আগস্ট মেট্রোরেলের পিলারে থাকা শেখ হাসিনার এই গ্রাফিতিতে কালি মেখে দেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সেদিন ও পরদিন (৩ ও ৪ আগস্ট) বিক্ষোভ চলাকালীন প্রায় সারাদিনই এর মধ্যে জুতা নিক্ষেপ করতে থাকে আপামর জনতা। ফলে এটি জুলাই বিপ্লবের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে আবির্ভূত হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

হাসিনার গ্রাফিতি মোছার চেষ্টা, রুখে দিলেন শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ১১:৩১:০০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্য-সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে শেখ হাসিনার ব্যঙ্গ গ্রাফিতি (ঘৃণা স্তম্ভ হিসেবেও পরিচিত) গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন সিটি করপোরেশন কর্মীরা।

এ ঘটনায় তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে টিএসসি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভীর রাতে টিএসসি-সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ব্যঙ্গাত্মক গ্রাফিতি ক্রেন নিয়ে মুছতে আসে সিটি করপোরেশনের কিছু লোক। শেখ হাসিনার গ্রাফিতির মাথা পর্যন্ত মুছে ফেললেও শেখ মুজিবের পুরোটাই মুছে ফেলা হয়েছে। শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলা অবস্থায় শিক্ষার্থীরা এসে বাধা দিলে তারা এটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, শেখ হাসিনার গ্রাফিতিটা ছিল মূলত ঘৃণা স্তম্ভ। এটি জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি। আমরা এটি দেখে প্রক্টরকে কল করলে প্রক্টর এসে জানান, তাকে গোয়েন্দা সংস্থা কল করেছেন শেখ মুজিব এবং শেখ হাসিনার ছবি মুছে দেওয়ার জন্য। পরে প্রক্টর এস্টেট অফিসকে জানালে অফিস সিটি করপোরেশন ও মেট্রো কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এটি মুছে ফেলার উদ্যোগ নেয়। যা শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে সম্ভব হয়নি।

এরপর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ এ ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন এবং একটি অফিশিয়াল বিবৃতি দিয়ে দুঃখপ্রকাশের কথা জানান। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার মুছে যাওয়া অংশে শিক্ষার্থীদের শেখ হাসিনার বিকৃত ছবি আঁকতে বলেন এবং ঘৃণা স্তম্ভকে অফিশিয়ালি স্বীকৃতি দেবেন বলে উল্লেখ করেন।

পরবর্তী সময় শেখ হাসিনার মুছে যাওয়া গ্রাফিতির অংশে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনার আরেকটি ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন আঁকেন।

শেখ হাসিনার পতনের আগেই ৩ আগস্ট মেট্রোরেলের পিলারে থাকা শেখ হাসিনার এই গ্রাফিতিতে কালি মেখে দেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সেদিন ও পরদিন (৩ ও ৪ আগস্ট) বিক্ষোভ চলাকালীন প্রায় সারাদিনই এর মধ্যে জুতা নিক্ষেপ করতে থাকে আপামর জনতা। ফলে এটি জুলাই বিপ্লবের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে আবির্ভূত হয়।