শিরোনাম :
Logo জরিমানার কবলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ Logo কচুয়ায় প্রবাসী নেতা কামরুজ্জামানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে সংবর্ধনা ও জার্সি বিতরণ Logo সাজিদের রহস্যজনক মৃত্যু: উত্তাল ক্যাম্পাস, উপাচার্যের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘হেল্থ অ্যান্ড ফুড সেফটি অ্যাসোসিয়েশন এর নেতৃত্বে আরিফুল ও রাফি Logo ইবিতে তারুণ্যে’র ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo পিন্ডি ভেঙেছি দিল্লির দাসত্ব করার জন্য নয়: নাহিদ Logo ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে: আখতার Logo ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ তীর্থযাত্রী নিহত Logo গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় Logo বেইজিংয়ে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ৩০ জনের মৃত্যু

বিচারকদের ফেসবুক ব্যবহার করাই উচিত নয়: ভারতের শীর্ষ আদালত

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:১৬:০৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭২৭ বার পড়া হয়েছে

বিচারকদের শুধু ফেসবুক নয়, কোনও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই ব্যবহার করা উচিত নয়। একটি মামলার ক্ষেত্রে এমনটাই মন্তব্য করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।  বিচারকদের জীবন হওয়া উচিত সন্ন্যাসীদের মতো, মনে করে ভারতের শীর্ষ আদালত।

মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্টে বিচারপতি অদিতিকুমার শর্মা এবং বিচারপতি সরিতা চৌধুরিকে বরখাস্ত করে আদালত। তারা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান। পরে সুপ্রিম কোর্টে ওই দু’জন নারী বিচারপতিকে বরখাস্ত করার বিরুদ্ধে মামলার শুনানি চলছিল। শুনানীতে সেই মামলার দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে তাদের করা একটি ফেসবুক পোস্ট আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহের বেঞ্চ ওই দুই বিচারপতির উদ্দেশে মন্তব্য করে, ‘‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি খোলামেলা জায়গা। আপনাদের সন্ন্যাসীর মতো জীবন যাপন করতে হবে, আর কাজ করতে হবে ঘোড়ার মতো। বিচারক এবং বিচারপতিদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। একদমই তাদের ফেসবুকে যাওয়া উচিত নয়।’’

কোনও মামলায় বিচারকদের ব্যক্তিগত মতামত সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করা উচিত নয়, মৌখিক পর্যবেক্ষণ আদালতের। কারণ, সে ক্ষেত্রে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। যে মামলার রায় এখনও ঘোষিত হয়নি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকেই সেই রায় সম্পর্কে ইঙ্গিত পেয়ে যেতে পারেন সাধারণ মানুষ। বরখাস্ত হওয়া বিচারপতিদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে আইনজীবী মামলা লড়ছিলেন, তিনিও শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত হয়েছেন। জানিয়েছেন, মামলা সংক্রান্ত কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা উচিত নয় কোনও বিচারকের। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কিছুটা সংযত হয়ে থাকতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর ছয় জন নারী সিভিল বিচারককে বরখাস্ত করেছিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। তাঁদের কাজের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে চলতি বছরের ১ আগস্ট তাঁদের মধ্য থেকে চার জনকে আবার ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় উচ্চ আদালত। দু’জনকে আর ফেরানো হয়নি। তারা হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন।

আবেদনকারী বিচারপতি অদিতি শর্মা সম্পর্কে হাইকোর্টের বক্তব্য, ২০১৯-২০ সালের পর থেকে তার কাজে ঢিলেমি এসেছে। একেবারেই আশানুরূপ হয়নি বিচারপতি হিসাবে তার কাজ। মামলা নিষ্পত্তির হারও কমেছে। ওই বিচারপতি আদালতে পাল্টা জানিয়েছেন, ২০২১ সালে তার গর্ভপাত হয়। তার কিছু দিনের মধ্যে তার ভাইয়ের ক্যানসার ধরা পড়ে। এই সমস্ত ব্যক্তিগত সমস্যার প্রভাব তার কাজের উপর পড়েছিল বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী। তাদের আবেদন বিবেচনা করছে শীর্ষ আদালত।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জরিমানার কবলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

বিচারকদের ফেসবুক ব্যবহার করাই উচিত নয়: ভারতের শীর্ষ আদালত

আপডেট সময় : ০৪:১৬:০৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বিচারকদের শুধু ফেসবুক নয়, কোনও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই ব্যবহার করা উচিত নয়। একটি মামলার ক্ষেত্রে এমনটাই মন্তব্য করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।  বিচারকদের জীবন হওয়া উচিত সন্ন্যাসীদের মতো, মনে করে ভারতের শীর্ষ আদালত।

মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্টে বিচারপতি অদিতিকুমার শর্মা এবং বিচারপতি সরিতা চৌধুরিকে বরখাস্ত করে আদালত। তারা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান। পরে সুপ্রিম কোর্টে ওই দু’জন নারী বিচারপতিকে বরখাস্ত করার বিরুদ্ধে মামলার শুনানি চলছিল। শুনানীতে সেই মামলার দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে তাদের করা একটি ফেসবুক পোস্ট আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহের বেঞ্চ ওই দুই বিচারপতির উদ্দেশে মন্তব্য করে, ‘‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি খোলামেলা জায়গা। আপনাদের সন্ন্যাসীর মতো জীবন যাপন করতে হবে, আর কাজ করতে হবে ঘোড়ার মতো। বিচারক এবং বিচারপতিদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। একদমই তাদের ফেসবুকে যাওয়া উচিত নয়।’’

কোনও মামলায় বিচারকদের ব্যক্তিগত মতামত সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করা উচিত নয়, মৌখিক পর্যবেক্ষণ আদালতের। কারণ, সে ক্ষেত্রে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। যে মামলার রায় এখনও ঘোষিত হয়নি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকেই সেই রায় সম্পর্কে ইঙ্গিত পেয়ে যেতে পারেন সাধারণ মানুষ। বরখাস্ত হওয়া বিচারপতিদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে আইনজীবী মামলা লড়ছিলেন, তিনিও শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত হয়েছেন। জানিয়েছেন, মামলা সংক্রান্ত কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা উচিত নয় কোনও বিচারকের। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কিছুটা সংযত হয়ে থাকতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর ছয় জন নারী সিভিল বিচারককে বরখাস্ত করেছিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। তাঁদের কাজের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে চলতি বছরের ১ আগস্ট তাঁদের মধ্য থেকে চার জনকে আবার ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় উচ্চ আদালত। দু’জনকে আর ফেরানো হয়নি। তারা হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন।

আবেদনকারী বিচারপতি অদিতি শর্মা সম্পর্কে হাইকোর্টের বক্তব্য, ২০১৯-২০ সালের পর থেকে তার কাজে ঢিলেমি এসেছে। একেবারেই আশানুরূপ হয়নি বিচারপতি হিসাবে তার কাজ। মামলা নিষ্পত্তির হারও কমেছে। ওই বিচারপতি আদালতে পাল্টা জানিয়েছেন, ২০২১ সালে তার গর্ভপাত হয়। তার কিছু দিনের মধ্যে তার ভাইয়ের ক্যানসার ধরা পড়ে। এই সমস্ত ব্যক্তিগত সমস্যার প্রভাব তার কাজের উপর পড়েছিল বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী। তাদের আবেদন বিবেচনা করছে শীর্ষ আদালত।