শনিবার | ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ভোমরায় বিশাল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে কাতার Logo জীবননগর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন সভাপতি মানিক, সম্পাদক রিপন Logo শিবির নেতার বিরুদ্ধে নোবিপ্রবি ছাত্রদলের অভিযোগ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া Logo নোবিপ্রবির মেগা প্রকল্প সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী Logo খুবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৯৭ পরিক্ষার্থী  Logo টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার Logo খুবিতে ইউনেস্কো ও ইউজিসির উদ্যোগে পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন Logo সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ

বিচারকদের ফেসবুক ব্যবহার করাই উচিত নয়: ভারতের শীর্ষ আদালত

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:১৬:০৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

বিচারকদের শুধু ফেসবুক নয়, কোনও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই ব্যবহার করা উচিত নয়। একটি মামলার ক্ষেত্রে এমনটাই মন্তব্য করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।  বিচারকদের জীবন হওয়া উচিত সন্ন্যাসীদের মতো, মনে করে ভারতের শীর্ষ আদালত।

মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্টে বিচারপতি অদিতিকুমার শর্মা এবং বিচারপতি সরিতা চৌধুরিকে বরখাস্ত করে আদালত। তারা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান। পরে সুপ্রিম কোর্টে ওই দু’জন নারী বিচারপতিকে বরখাস্ত করার বিরুদ্ধে মামলার শুনানি চলছিল। শুনানীতে সেই মামলার দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে তাদের করা একটি ফেসবুক পোস্ট আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহের বেঞ্চ ওই দুই বিচারপতির উদ্দেশে মন্তব্য করে, ‘‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি খোলামেলা জায়গা। আপনাদের সন্ন্যাসীর মতো জীবন যাপন করতে হবে, আর কাজ করতে হবে ঘোড়ার মতো। বিচারক এবং বিচারপতিদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। একদমই তাদের ফেসবুকে যাওয়া উচিত নয়।’’

কোনও মামলায় বিচারকদের ব্যক্তিগত মতামত সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করা উচিত নয়, মৌখিক পর্যবেক্ষণ আদালতের। কারণ, সে ক্ষেত্রে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। যে মামলার রায় এখনও ঘোষিত হয়নি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকেই সেই রায় সম্পর্কে ইঙ্গিত পেয়ে যেতে পারেন সাধারণ মানুষ। বরখাস্ত হওয়া বিচারপতিদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে আইনজীবী মামলা লড়ছিলেন, তিনিও শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত হয়েছেন। জানিয়েছেন, মামলা সংক্রান্ত কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা উচিত নয় কোনও বিচারকের। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কিছুটা সংযত হয়ে থাকতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর ছয় জন নারী সিভিল বিচারককে বরখাস্ত করেছিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। তাঁদের কাজের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে চলতি বছরের ১ আগস্ট তাঁদের মধ্য থেকে চার জনকে আবার ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় উচ্চ আদালত। দু’জনকে আর ফেরানো হয়নি। তারা হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন।

আবেদনকারী বিচারপতি অদিতি শর্মা সম্পর্কে হাইকোর্টের বক্তব্য, ২০১৯-২০ সালের পর থেকে তার কাজে ঢিলেমি এসেছে। একেবারেই আশানুরূপ হয়নি বিচারপতি হিসাবে তার কাজ। মামলা নিষ্পত্তির হারও কমেছে। ওই বিচারপতি আদালতে পাল্টা জানিয়েছেন, ২০২১ সালে তার গর্ভপাত হয়। তার কিছু দিনের মধ্যে তার ভাইয়ের ক্যানসার ধরা পড়ে। এই সমস্ত ব্যক্তিগত সমস্যার প্রভাব তার কাজের উপর পড়েছিল বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী। তাদের আবেদন বিবেচনা করছে শীর্ষ আদালত।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ভোমরায় বিশাল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

বিচারকদের ফেসবুক ব্যবহার করাই উচিত নয়: ভারতের শীর্ষ আদালত

আপডেট সময় : ০৪:১৬:০৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বিচারকদের শুধু ফেসবুক নয়, কোনও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই ব্যবহার করা উচিত নয়। একটি মামলার ক্ষেত্রে এমনটাই মন্তব্য করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।  বিচারকদের জীবন হওয়া উচিত সন্ন্যাসীদের মতো, মনে করে ভারতের শীর্ষ আদালত।

মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্টে বিচারপতি অদিতিকুমার শর্মা এবং বিচারপতি সরিতা চৌধুরিকে বরখাস্ত করে আদালত। তারা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান। পরে সুপ্রিম কোর্টে ওই দু’জন নারী বিচারপতিকে বরখাস্ত করার বিরুদ্ধে মামলার শুনানি চলছিল। শুনানীতে সেই মামলার দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে তাদের করা একটি ফেসবুক পোস্ট আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহের বেঞ্চ ওই দুই বিচারপতির উদ্দেশে মন্তব্য করে, ‘‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি খোলামেলা জায়গা। আপনাদের সন্ন্যাসীর মতো জীবন যাপন করতে হবে, আর কাজ করতে হবে ঘোড়ার মতো। বিচারক এবং বিচারপতিদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। একদমই তাদের ফেসবুকে যাওয়া উচিত নয়।’’

কোনও মামলায় বিচারকদের ব্যক্তিগত মতামত সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করা উচিত নয়, মৌখিক পর্যবেক্ষণ আদালতের। কারণ, সে ক্ষেত্রে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। যে মামলার রায় এখনও ঘোষিত হয়নি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকেই সেই রায় সম্পর্কে ইঙ্গিত পেয়ে যেতে পারেন সাধারণ মানুষ। বরখাস্ত হওয়া বিচারপতিদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে আইনজীবী মামলা লড়ছিলেন, তিনিও শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত হয়েছেন। জানিয়েছেন, মামলা সংক্রান্ত কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা উচিত নয় কোনও বিচারকের। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কিছুটা সংযত হয়ে থাকতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর ছয় জন নারী সিভিল বিচারককে বরখাস্ত করেছিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। তাঁদের কাজের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে চলতি বছরের ১ আগস্ট তাঁদের মধ্য থেকে চার জনকে আবার ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় উচ্চ আদালত। দু’জনকে আর ফেরানো হয়নি। তারা হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন।

আবেদনকারী বিচারপতি অদিতি শর্মা সম্পর্কে হাইকোর্টের বক্তব্য, ২০১৯-২০ সালের পর থেকে তার কাজে ঢিলেমি এসেছে। একেবারেই আশানুরূপ হয়নি বিচারপতি হিসাবে তার কাজ। মামলা নিষ্পত্তির হারও কমেছে। ওই বিচারপতি আদালতে পাল্টা জানিয়েছেন, ২০২১ সালে তার গর্ভপাত হয়। তার কিছু দিনের মধ্যে তার ভাইয়ের ক্যানসার ধরা পড়ে। এই সমস্ত ব্যক্তিগত সমস্যার প্রভাব তার কাজের উপর পড়েছিল বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী। তাদের আবেদন বিবেচনা করছে শীর্ষ আদালত।