আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলে নিল সিরিয়ার বিদ্রোহীরা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:১৫:০৪ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

বিদ্রোহীদের দাপটে নাজেহাল হয়ে পড়েছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। আলেপ্পো, হামা শহরের পর এবার ডেরা অঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা দখলে নিয়েছে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা। ২০১১ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে এই শহর থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। খবর বিবিসির।

এ নিয়ে অল্প সময়ের ব্যবধানে গুরুত্বপূর্ণ তিন শহর হারালেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এ নিয়ে আসাদ ও তার মিত্র দেশ রাশিয়া ও ইরান বড় ধরনের চাপের মুখে রয়েছেন।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ বিষয়ক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সহিংস লড়াইয়ের পর বহু সামরিক স্থাপনা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

অন্যদিকে বিদ্রোহী সূত্রগুলোর বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে বিদ্রোহীরা। এর আওতায় সেনাবাহিনী শহর থেকে সরে যাবে। এ ছাড়া সামরিক কর্মকর্তাদের রাজধানী দামেস্কে নিরাপদে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হবে।

শুক্রবার এসওএইচআর বলেছে, দক্ষিণের বিদ্রোহীরা এখন ডেরা অঞ্চলের ৯০ ভাগের বেশি নিয়ন্ত্রণ করছে। শুধু সানামাইন অঞ্চলটি এখনো সরকারের হাতে রয়েছে।

ডেরা শহরটি কৌশলগত ও প্রতীকীভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি প্রাদেশিক রাজধানী এবং জর্ডান সীমান্ত ক্রসিংয়ের কাছেই অবস্থিত। ২০১১ সালে এখান থেকেই গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। এই বিক্ষোভ থেকেই দেশের চলমান গৃহযুদ্ধের সূচনা হয়। এতে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন।

গত সপ্তাহে দ্রুতগতিতে হামলা চালিয়ে আলেপ্পো দখল করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও তার মিত্ররা। আলেপ্পো দখলের পর বিদ্রোহীরা গত বৃহস্পতিবার মধ্যাঞ্চলের হামা শহরও দখলে নেয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীরা নতুন নতুন এলাকা দখলে নিলেও কিছু কিছু এলাকায় তারা আসাদ বাহিনীর কোনো বাধার মুখেই পড়ছে না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলে নিল সিরিয়ার বিদ্রোহীরা

আপডেট সময় : ০৯:১৫:০৪ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বিদ্রোহীদের দাপটে নাজেহাল হয়ে পড়েছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। আলেপ্পো, হামা শহরের পর এবার ডেরা অঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা দখলে নিয়েছে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা। ২০১১ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে এই শহর থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। খবর বিবিসির।

এ নিয়ে অল্প সময়ের ব্যবধানে গুরুত্বপূর্ণ তিন শহর হারালেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এ নিয়ে আসাদ ও তার মিত্র দেশ রাশিয়া ও ইরান বড় ধরনের চাপের মুখে রয়েছেন।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ বিষয়ক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সহিংস লড়াইয়ের পর বহু সামরিক স্থাপনা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

অন্যদিকে বিদ্রোহী সূত্রগুলোর বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে বিদ্রোহীরা। এর আওতায় সেনাবাহিনী শহর থেকে সরে যাবে। এ ছাড়া সামরিক কর্মকর্তাদের রাজধানী দামেস্কে নিরাপদে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হবে।

শুক্রবার এসওএইচআর বলেছে, দক্ষিণের বিদ্রোহীরা এখন ডেরা অঞ্চলের ৯০ ভাগের বেশি নিয়ন্ত্রণ করছে। শুধু সানামাইন অঞ্চলটি এখনো সরকারের হাতে রয়েছে।

ডেরা শহরটি কৌশলগত ও প্রতীকীভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি প্রাদেশিক রাজধানী এবং জর্ডান সীমান্ত ক্রসিংয়ের কাছেই অবস্থিত। ২০১১ সালে এখান থেকেই গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। এই বিক্ষোভ থেকেই দেশের চলমান গৃহযুদ্ধের সূচনা হয়। এতে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন।

গত সপ্তাহে দ্রুতগতিতে হামলা চালিয়ে আলেপ্পো দখল করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও তার মিত্ররা। আলেপ্পো দখলের পর বিদ্রোহীরা গত বৃহস্পতিবার মধ্যাঞ্চলের হামা শহরও দখলে নেয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীরা নতুন নতুন এলাকা দখলে নিলেও কিছু কিছু এলাকায় তারা আসাদ বাহিনীর কোনো বাধার মুখেই পড়ছে না।